অবহেলা থেকেই সফলতা

অবহেলা থেকেই সফলতা

নিঝুমকে আমার খুব ভালো লাগতো। কিন্তু এই ভালো লাগার কথাটা কখনোই ওকে বলতে পারতাম না। ওর চোখের দিকে তাকালেই আমার মাঝে কেমন যানি একটা মায়া কাজ করতো। হয়তো আমার কাছে মনে হতো ওই আমার কাছে সেরা। আমার ভালো লাগার কথাটা কখনোই ওকে বুঝতে দিতাম না। কারণ আমি জানতাম, ভালোবাসা প্রকাশ করলেই শুরু হবে মানসিক নির্যাতন।

Success-from-negligence

ওকে নিয়ে ভাবতেই কেটে গেলো দুই সপ্তাহ।

ওকে আমি বেশির ভাগ সময়ই চোখের পাতায় রাখি। হঠাৎ কিছু দিন পর লক্ষ্য করলাম, ওর পেছনে পেছনে অনেক বখাটে ছেলেরা ঘুরতে শুরু করেছে। এবং ওকে প্রপোজ করার প্রস্তুতিও নিচ্ছে। আর নিঝুম যদি একবার রাজি হয়ে যায়, তাহলে আমার গোপন ভালোবাসাটা নির্ঘাত চাপামাটি পরে যাবে। তখন এক আকাশ আফসোস নিয়ে বাচতে হবে আমাকে।

কিন্তু আমার দ্বারা কি সম্ভব ওকে প্রপোজ করার? ওরে প্রপোজ করতে আমার মতো ভীতু পাহাড় সমান সাহসের প্রয়োজন যা আমার মাঝে মোটেও নেই।

বিষয়টা আমার বন্ধুদেরে জানালাম। ওরা বলল, আরে ভীতু ভয় না পেয়ে যা প্রপোজ টা করে দে। কিচ্ছু হবে না তোর যা আমরা আছি তো।

সব বন্ধুরা মিলে আমাকে উৎসাহ দিলো নিঝুমকে প্রপোজ করার জন্য। ওদের কথায় আমি রাজি হয়ে গেলাম।

পরের দিন সকাল আটটা সময় সময় শিমুলতলার রাস্তার পাশে দাড়ালাম। যে রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন সকাল করে নিঝুম প্রাইভেট পড়তে যায়। তাকে প্রপোজ করার কথা ভাবতে ভাবতে বুকের বা পাশটা কাঁপছে। জানি না আজ কি হবে আমার।

এখন ৮:১০ বাজে। লক্ষ্য করলাম, নিঝুম ওর বান্ধবীদের সাথে আসছে।

এবার মাথা থেকে সব উল্টা পাল্টা চিন্তা বাদ দিয়ে মনে একটু সাহস জাগালাম। এবার ও আমার সামনে এসে পরলো। আসে পাশে লক্ষ্য করলাম, কেউ আছে নাকি। নাহ কেউ নেই।

পেছন থেকে নিঝুমকে ছোট্ট করে একটা ডাক দিলাম_, Hi নিঝুম। ও দাড়িয়ে গেলো।

এবার ওর সব বান্ধবীদের সামনে পাঠিয়ে দিল। বলল_ কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলেন।

image

মাথাটা নতো করে পেছন দিক থেকে গোলাপ টা বের করে বললাম,
I Love You – ভালোবাসি তোমাকে

এই কথাটা বলার পর সাথে সাথে ও যে কা করলো তার জন্য আমি মোটেও প্রস্ততই ছিলাম না।
ও রাগ পেয়ে আমার গালে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলো। আর অনেক খারাপ আচরণ করলো। নিঝুমকে আমার খুব ভালো লাগতো। কিন্তু এই ভালো লাগার কথাটা কখনোই ওকে বলতে পারতাম না। ওর চোখের দিকে তাকালেই আমার মাঝে কেমন যানি একটা মায়া কাজ করতো। হয়তো আমার কাছে মনে হতো ওই আমার কাছে সেরা। আমার ভালো লাগার কথাটা কখনোই ওকে বুঝতে দিতাম না। কারণ আমি জানতাম, ভালোবাসা প্রকাশ করলেই শুরু হবে মানসিক নির্যাতন।

ওকে নিয়ে ভাবতেই কেটে গেলো দুই সপ্তাহ।

ওকে আমি বেশির ভাগ সময়ই চোখের পাতায় রাখি। হঠাৎ কিছু দিন পর লক্ষ্য করলাম, ওর পেছনে পেছনে অনেক বখাটে ছেলেরা ঘুরতে শুরু করেছে। এবং ওকে প্রপোজ করার প্রস্তুতিও নিচ্ছে। আর নিঝুম যদি একবার রাজি হয়ে যায়, তাহলে আমার গোপন ভালোবাসাটা নির্ঘাত চাপামাটি পরে যাবে। তখন এক আকাশ আফসোস নিয়ে বাচতে হবে আমাকে।

কিন্তু আমার দ্বারা কি সম্ভব ওকে প্রপোজ করার? ওরে প্রপোজ করতে আমার মতো ভীতু পাহাড় সমান সাহসের প্রয়োজন যা আমার মাঝে মোটেও নেই।

বিষয়টা আমার বন্ধুদেরে জানালাম। ওরা বলল, আরে ভীতু ভয় না পেয়ে যা প্রপোজ টা করে দে। কিচ্ছু হবে না তোর যা আমরা আছি তো।

সব বন্ধুরা মিলে আমাকে উৎসাহ দিলো নিঝুমকে প্রপোজ করার জন্য। ওদের কথায় আমি রাজি হয়ে গেলাম।

পরের দিন সকাল আটটা সময় সময় শিমুলতলার রাস্তার পাশে দাড়ালাম। যে রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন সকাল করে নিঝুম প্রাইভেট পড়তে যায়। তাকে প্রপোজ করার কথা ভাবতে ভাবতে বুকের বা পাশটা কাঁপছে। জানি না আজ কি হবে আমার।

এখন ৮:১০ বাজে। লক্ষ্য করলাম, নিঝুম ওর বান্ধবীদের সাথে আসছে।

এবার মাথা থেকে সব উল্টা পাল্টা চিন্তা বাদ দিয়ে মনে একটু সাহস জাগালাম। এবার ও আমার সামনে এসে পরলো। আসে পাশে লক্ষ্য করলাম, কেউ আছে নাকি। নাহ কেউ নেই।

পেছন থেকে নিঝুমকে ছোট্ট করে একটা ডাক দিলাম_, Hi নিঝুম। ও দাড়িয়ে গেলো।
মাথাটা নিচু করে বললাম,তোমার সাথে কিছু কথা আছে আমার এই বলে।

এবার ওর সব বান্ধবীদের সামনে পাঠিয়ে দিল। বলল_ কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলেন।

মাথাটা নতো করে পেছন দিক থেকে গোলাপ টা বের করে বললাম,
I Love You – ভালোবাসি তোমাকে

Success-from-negligence

এই কথাটা বলার সাথে সাথে ও যে কাজটি করলো তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তত ছিলাম না সত্যি বুজতে পারলাম না।
ও রাগ পেয়ে আমার গালে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলো। আর অনেক খারাপ আচরণ করলো। আর বলল, তোর মতো অযোগ্য ছেলেকে যেনো আমার সামনে আর না দেখি। কথাটা মাথায় রাখিস! এই কথা বলে ও আমার সামনে থেকে চলে গেলো তখন।

আমি মাথা নিচু করে অসহায়ের মতো পেছন থেকে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। আগেই ভেবেছিলাম যে, ভালোবাসা প্রকাশ করলেই শুরু হবে মানসিক নির্যাতন।

তার এসব আচরণে খুব খুব কষ্ট পেলাম। চোখে টলমলে পানির স্রোত বইতে লাগলো। খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে আমার। কিন্তু কে দেখবে আমার বুক ফাটা কান্না?

সেখান থেকে মাথা নিচু করে বাসায় চলে আসলাম। আর প্রতিজ্ঞা করলাম, কখনো ওর সামনে যাবো না। ওর ছাঁয়া পযর্ন্তও দেখবো না। প্রমিস।

আপাতত নিঝুমের চিন্তা ভাবনা সব মাথা থেকে ছুড়ে দিলাম। এইচ এস সি পরিক্ষাটা শেষ করলাম। এক মাস পরে রেজাল্ট আসলো আমি পুরো কলেজের মধ্যে সেকেন্ড হয়েছি। খুব খুশি আমি।

ভাবলাম, আর সময় নষ্ট না করে ব্যবসার কাজে লেগে পড়ি। কিন্তু এতটাকা কোথায় পাবো? আব্বুকে বললাম, আমার টাকা দরকার ব্যবসার জন্য। আব্বু কিছু ধান ক্ষেতের জমি বিক্রি করে টাকা মেনেজ করে দিল। এবার কয়েকটা কোম্পানির সাথে কন্টাক্ট করলাম কমিশন ব্যবসার জন্য। তারা আমাকে পর্যাপ্ত লাভ দিয়ে মাল ডেলিভারি নেবে।

ব্যবসার এক বছর কেটে গেলো। কষ্ট আর পরিশ্রমে পর্যাপ্ত আয় রোজগারে বেশ ভালো উন্নতি হলো আমার। ভালো একটা বাড়ি বানালাম। গাড়িও কিনলাম। নিজের স্টাটাসও পাল্টালাম। এখন আমি একে আরিফ অনেকটা পরিবর্তন।

নিঝুমের কানে খবর গেলো যে, আমি এই এলাকার অনেক বড় একজন ব্যবসায়ি। অর্থ-সম্পদ, গাড়ি-বাড়ি, এবং যোগ্যতা সব হয়ে গেছে আমার।

নিঝুম নিজের ভুল বুঝতে পারলো যে, অযোগ্য ছেলেটাও একদিন যোগ্যবান হয়। আর ভালোবাসা কখনো যোগ্যতা যাচাই করে হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *