আকাশ

আকাশ

ভূপৃষ্ঠ থেকে এটিকে একটি কাল্পনিক গোলক কল্পনা করা হয় যেখানে সূর্য, তারা ,চাঁ

সাধারণত আকাশ শব্দটি ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে যেকোনো বিন্দু নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয়েছে আকাশ।

দিনের আলোয় আলোর বিক্ষেপণের জন্য আকাশ নীল রং দেখায়।আর রাতের বেলায় আকাশকে তারায় পরিপূর্ণ একটি কালো গালিচার মত মনে হয়।

দিনের বেলায় মেঘ না থাকলে আকাশে সূর্য দেখাযায়। আর রাতের আকাশে চাঁদ, গ্রহসমূহ এবং তারা দৃশ্যমান থাকে। মেঘ, রংধনু, অরোরা বা মেরুপ্রভা, বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনা আকাশে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে আকাশ।

আলোর বিক্ষেপণের কারণে আকাশ নীল দেখা যায়। কোন কণিকার ওপর আলো পড়লে সেই কণিকা আলোকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়, যাকে আলোর বিক্ষেপণ বলে থাকে।

আকাশ

যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, সেই আলোর বিক্ষেপণ তত বেশি হয়ে থাকে। আলোর বিক্ষেপণ এর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চতুর্ঘাতের ব্যস্তানুপাতিক হয়। বেগুনি ও নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম হয় আকাশ।

তাই আকাশে এই আলো দুইটির বিক্ষেপণ বেশি দেখা যায়। আবার আমাদের চোখ বেগুনি অপেক্ষা নীল বর্ণের আলোর প্রতি অধিক সংবেদনশীল হয় । তাই আকাশ নীল দেখা যায়।

মেঘের অণু বেশ বড় হয় এবং তাই তা নীল ছাড়া অন্য আলোকেও বিক্ষেপিত হয়ে থাকে। যার ফলে মেঘের বর্ণ অনেকটা সাদাটে হয়ে থাকে আকাশ।

একারণেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তকালীন সময় আকাশ লাল দেখাযায়। এসময় সূর্য দিগন্তরেখার কাছে অবস্থান করে থাকে। তাই সূর্যরশ্মি পৃথিবীতে আসতে পুরু বায়ুমণ্ডল ভেদ করতে পারে না।

তখন নীল আলো বিক্ষেপিত হয়ে বিভিন্ন দিকে চলে যায় কিন্তু লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় তা কম বিক্ষেপিত হয় এবং পৃথিবীতে চলে আসে। তাই তখন আকাশ লাল দেখাযায় আকাশ।

আদিকাল থেকে মানুষ আকাশ বলতে বোঝে আমরা উপর দিকে তাকালে যে সুবিসত্মৃত নীলিমা দেখতে পাই সেটিকে৷ মহাবিশ্ব বলে।

আকাশ

আমাদের উপর সুবিসত্মৃত বিশাল নীলিমা এতদুভয়ের সমন্বয়ে এ মহাবিশ্ব৷ আর এ আকাশ সম্পর্কে বহু কল্প কাহিনী রচিত হয়েছিলো।

মানুষ ধারণা করতে আমাদের উপর অনেক উঁচুতে এ আকাশের অবস্থান যা কনক্রিট জাতীয় কোন কিছু দ্বারা নির্মি তো ছাদের মতো দারিয়ে আছে।

মানুষ ধারনা করতো এ আকাশের উপর স্রষ্টার বিশেষ সৃষ্টি বসবাস করে। আরো ধারণা করতো এ আকাশের উপর হয়ত এরম্নপ আরো অনেক আকাশ আছে আকাশ।

আকাশ

এ যমিন সম্পর্কেও বহু কল্প কাহিনী রচিত হতো।মানুষ মনে করতো মাটির অতল গহবরে আরো অনেক জগত আছে। এমনকি এখনও যারা মহাবিশ্ব সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান রাখে না তাদের অনেকে এরম্নপ ধারণা পোষণ করে থাকে তারা।

বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ এ মুর্খতাসূলভ ধারণা থেকে অকেটা বেরিয়ে আসতে পেরেছে।মহাবিশ্ব সম্পর্কে বিজ্ঞানের সুপ্রতিষ্ঠিত জ্ঞান থেকে এ পর্যনত্ম যে ধারণা পাওয়া যায় তা হল-

আমরা যে সুবিশাল নীলিমাকে আকাশ বলি সেটা অবশ্য সূর্যের রঙের খেলা ছাড়া কিছু নয়। আর এ পৃথিবী মহাবিশ্বের তুলনায় মোটেও সুবিশাল নয় আকাশ।

এ পৃথিবী যা রয়েছে সে গ্যালাঙ্রি মানচিত্র আঁকলে আমাদের সূর্যকে দেখা যায় একটি ৰুদ্র বিন্দু যা আমাদের এ পৃথিবীর চেয়ে লৰ গুণ বড়।আর আমাদের এ সুবিশাল পৃথিবী।সে মানচিত্রে পৃথিবীকে খালি চোখে দেখাও যায় না।

আমাদের এ গ্যালাক্সি  যখন ক্লাস্টার অব গ্যালাঙ্রি সাথে তুলনা করা হয় তখন আমাদের এ গ্যালাক্সি কে  দেখা যায় এক অতি ৰুদ্র বিন্দুর আকৃতিতে।

আকাশ

পৃথিবী ও তথাকথিত আকাশ যদি এতদুভয়ের সমন্বয়কে মহাবিশ্ব বুঝাতো তাহলে মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলাতে অযৌক্তিক মনে হয় না।

কারণ এ পৃথিবের বুকে প্রাণী জগতের মধ্যে সব দিক দিয়েই মানুষ শ্রেষ্কি।

কিন্তু মহাবিশ্বের সাথে আমাদের পৃথিবীর তুলনা করলে আমরা কত ৰুদ্র ও নগণ্য তা বলার অপেৰা রাখে না।

আকাশ

আল-ক্বুরআনে আকাশ ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে যে প্রতিচ্ছবী একেছে তা আদিকাল থেকে মানুষ এ সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করতো তার চেয়ে বেশি কিছু নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *