আব্রড এর একটি বাড়ির সত্য ভুতের গল্প

আব্রড এর একটি বাড়ির সত্য ভুতের গল্প

আব্রডে একটা পরিবার ছিলো-
ওই পরিবার এ বাবা মা ও তাদের একটা মেয়ে ছিলো, বাবা মা দুই জনেই চাকরি করতো।এজন্য তারা অনেক সময়ই ব্যাস্ত থাকতো, তাই তারা তাদের মেয়েকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারতো না, তাই সে একা একা থাকতো। সে জন্য মেয়েটা মানসিক সমস্যায় পড়তেছিলো।মেয়েটির নাম ছিল স্টাফেনী।

তাই স্টাফেনীর বাবা মা, তাকে দেখে রাখার জন্য একজন আয়া ঘষতে থাকলো। একদিন স্টাফেনীর বাবা চার্জের মারিয়া নামের এক পাদ্রীকে খুঁজে পেল তার মেয়ের আয়া হিসেবে।এভাবে তাদের দিনগুলো ভালোই কাটছিল।

স্টাফেনীর, এঞ্জেল নামের একজন বেস্টফ্রেড ছিলো।একদিন স্টাফেনী স্কুলে গিয়ে দেখে তার বেস্টফ্রেড এঞ্জেল এর মন খারাপ।স্টাফেনী,এঞ্জেল কে জিজ্ঞেস করলো তোমার মন খারাপ কেনো।এঞ্জেল বললো তার বয়ফ্রেন্ড গতকাল কার অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে।আর সে এই বিষয়টা মেনে নিতে পারছিলো।এবং সে ডিপ্রেশন পরে যা এই ব্যাপারটা নিয়ে।

স্টাফেনী তাকে সান্তনা দিলো। এবং এঞ্জেল কে একটু সময় দেওয়া জন্য স্কুল শেষে তার বাসায় নিয়ে আসলো।বাসায় যাওয়ার পর মারিয়া পাদ্রী স্টপেনীর সাথে তার বান্ধবীকে দেখে বললো, তোমরা তো দুইজন আছো তাহলে তোমরা একটু বসো আমি বাহিরে থেকে একটু কাজ শেষ করে আসছি।এটা বলে মারিয়া পাদ্রী চলে গেলো।

স্টাফেনীর বাসাটা ছিলো ২তলার আর স্টাফেনীর রুমটাও ছিলো ২তলায়।সে তার বান্ধবীকে নিয়ে তার রুমে চলে গেলো।রুমে যাওয়া পর এঞ্জেল একা বাসা দেখে হঠাৎ তার আচরণ পরিবর্তন হয়ে গেল।

স্টাফেনী ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারছিল না। একটু আগেই তার মন এতো খারাপ ছিল হঠাৎ এতো চাঞ্চল্যকর কিভাবে হয়ে উঠলো।

এঞ্জেল স্টাফেনীকে বললো আজকে আমার জন্য অনেক বড় একটা দিন আজকে আমি আমার মৃত বয়ফ্রেন্ড মার্ক এর সাথে কথা বলবো।স্টাফেনী অবাক হয়ে বলল কিভাবে? এঞ্জেল বললো প্লানচেট করার মাধ্যমে।স্টাফেনী কিছুই বুজতে পারছিলো না।কিন্তু তবুও তার বান্ধবী মন রাখার জন্য সে প্লানচেট করতে রাজি হলো।দুজনে মিলে প্ল্যানচেটে বসলো।

এঞ্জেল বলল তুমি চুপ করে শক্ত করে আমার হাত ধরে রাখবে আর চোখ বন্দ করে রাখপ।স্টাফেনী তাই করলো।(আব্রড এর একটি বাড়ির সত্য ভুতের গল্প)

এঞ্জেল একটি মন্ত্র পড়ে প্ল্যানচেটের কাগজে একটি পয়সা রেখে তার বয়ফ্রেন্ডের নাম ধরে ডাকতে থাকলো, মার্ক তুমি কি আছো তুমি থাকলে আমার সামনে আসো আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই।এভাবে এঞ্জেল মার্ক এর নাম দরে বার বার ডাকতে থাকলো।প্রায় আধাঘণ্টা পর দুজনেই শুনতে পেলো ছাদের উপরে কেউ একজন বুডজুতা পরে শব্দ করে হাটছে।

তখন স্টেফানি আরো জোরে বলতে থাকলো মার্ক তুমি কি এসেছো।এই কথা শুনে হঠাৎ জুতার শব্দ আরো বেরে গেলো আর চারো দিকে ঝড়ো হাওয়া বইতে লাগলো।হঠাৎ একটি অদৃশ্য ছায়া তাদের দুজনকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ছুড়ে ফেলল। এমন সময় মারিয়া পাদ্রী বাসার দিকে আসছিল সে বাড়ির বাইরে থেকে দেখতে পেল পুরো বাড়িটা ঝড়ে উড়িয়ে দিচ্ছে। সে দৌড়ে ভিতরে গিয়ে দেখল স্টফেনী ও এন্জেল মাটিতে অচেতন অবস্থায় পরে আছে।

সে তারাতারি স্টাফেকে উঠাতে গিয়ে দেখলো একটা কালো ছায়া তার গারের উপর বসে আছে।সে স্টাফেনীকে দরার আগেই সেই কালো ছায়াটা স্টাফেনীর শরীরে ডুকে গেলো এবং সে ছায়াটা মারিয়া পাদ্রী কে জোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো।মারিয়া ভয়ে বাড়ি থেকে দৌড়ে পালালো।

রাতে স্টাফেনীর বাবা মা কাজ থেকে ফিরে দেখে, স্টাফেনী আর এঞ্জেল ঐইভাবেই মাটিতে পরে আছে আহতো হয়ে।তারা তাদের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেল।হাসপাতালে নেওয়ার পর এঞ্জেল দুই তিন পর সুস্থ হয়ে বাসায় গেলেও স্টাফেনী  কোমাইয় চলে গেলো।আর এই দিকে সবাই মারিয়া পাদ্রীকে অনেক খুজার পরও কোথাও আর খুজে পেলো না।একদিন রাতে স্টাফেনীর মা তার হাসপাতালে রুমের বাইরে দরজার গ্যালাক্সি প্লাস  থেকে দেখতে পেলো একটি ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে আছে ।স্টাফেনীর মা সাথে সাথে রুমে গেলে আর কিছুই দেখতে পেলো না।

কিছু দিন পর স্টাফেনী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল। কিন্তু স্টাফেনীর আর আগের মতো নেই।সে রাতে ঘুমাতো না কোনো কিছু চাইতো না কেমন যেনো হয়ে গেছিলো।তাই স্টাফেনী বাবা মা তাকে ভালো করে দেখাশোনা করতে থাকলো।একদিন স্টাফেনী মা তাকে খাওয়ানোর জন্য তার পাশে গিয়ে বসে।এমন সময় সে হঠাৎ দেখলো স্টাফেনীর গায়ে একা একাই আচরের দাগ উঠতে শুরু করল।

এইটা দেখে স্টাফেনীর মা খাবার রেখে করতে যাবে তখনি স্টাফেনী তার মায়ের হাত ধরে ফেলল এবং তাকে খামচাতে শুরু করল। একপর্যায়ে খামচাতে খামচাতে তার মাকে মেরে ফেলল। এইসব শব্দ শুনে যখন তার বাবা আসলো তখন সে তার বাবাকেও গলা টিপে মেরে ফেলল। দুজনকে মারার পর স্টাফেনী নিজেকে নিজেই মেরে ফেলল।

তারপর থেকে ওই বাড়িতে আর কেউ যায়নি।এমন কি কেউ যদি ঐই বাড়ির পাশে দিয়ে যায় তখন দূর থেকে দেখে স্টাফেনী মতো একটা অবয়ব জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *