ইন্টারনেট ও তার ইতিহাস
ইন্টারনেটের ইতিহাস শুরু হয় ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের অগ্রগতির সাথে সাথে ১৯৫০ সালে। ইন্টারনেট সম্পর্কে জনসাধারণ প্রথম ধারণা পেয়েছিল, যখন কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক লিওনার্ড ক্রাইনরক তার গবেষণার জন্য ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলস (UCLA) থেকে আরপানেট (ARPANET)-এর মাধ্যমে একটি বার্তা স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SRI)-এ পাঠান যেখানে নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের দ্বিতীয় অংশ স্থাপিত করা হয়েছিল।
১৯৬০ সালের শেষের দিকে এবং ১৯৭০ সালের প্রথমদিকে প্যাকেট সুইচিং নেটওয়ার্ক যেমন NPL Network, CYCLADES, Merit Network এবং Telnet ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ প্রোটোকল আবিষ্কার করা হয়। ১৯৮১ সালে ন্যাশনাল সাইন্স ফাউন্ডেশন “কম্পিউটার সাইন্স নেটওয়ার্ক (CSNET)” এবং ১৯৮২ সালে ন্টারনেট “প্রোটোকল স্যুট (TCP/IP Suit)” আরপানেট (ARPANET)-এর মাধ্যমে পরিচিত করান।
ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা :
ইন্টারনেট বর্তমান বিশ্বের এক অসাধারণ আবিষ্কার, যার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের মানুষ একে অপরের সাথে তথ্যের আদান-প্রদান বা শেয়ার করতে পারছে। এই ইন্টারনেট হচ্ছে কম্পিউটার নির্ভর নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এবং কম্পিউটার-এর বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হয়।
যেমন :তথ্যের আদান-প্রদান : সারাবিশ্বে বর্তমানে তথ্য বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য-বিনিময়ের ফলে মানুষের জীবনকে আরও অগ্রসরমান করা হচ্ছে।
তথ্য আহরণ : পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের ঘটনা যেকোনো বিষয়ের ধারণা ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্যে পাওয়া যায় এবং তা সার্চ ইঞ্জিনের ডেটাবেজ-এ জমা করে রাখা হয়।
ই-মেইল : ই-মেইল (E-mail) বা ইলেকট্রনিক মেইল হচ্ছে ইন্টারনেটে ব্যবহারযোগ্য অন্যতম প্রযুক্তি যা মানুষে মানুষে যোগাযোগ স্থাপনকে সহজ করে দিয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সিং : ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্স করে বর্তমান বিশ্বের মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় কাজের জায়গাগুলোকে অতি সূক্ষ্মভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষার ক্ষেত্রে : বর্তমান যুগের পড়াশুনা ইন্টারনেট নির্ভর অর্থাৎ ইন্টারনেট হচ্ছে জ্ঞানার্জনের মহাসমুদ্র। আজকাল ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরি, শিক্ষকদের ক্লাস ঘরে বসে পেয়ে যাচ্ছে।
বাণিজ্যের ক্ষেত্রে : ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে পণ্য কেনা-বেচা, পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করে লাভবান হচ্ছে।
বিনোদন : ইন্টারনেট বিনোদনের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিমা পালন করে। বর্তমানে মানুষ অনলাইনে মুভি, নাটক, রেডিও এর প্রোগ্রাম দেখতে পাচ্ছে ও শুনতে পাচ্ছে।