**ইহুদিদের চক্রান্ত***
আমি একবার ফ্রান্সে গেলাম। আমার এক বন্ধু আমাকে তার একটি ঘটনা বলল। রমজান মাস এসেছে, আমাকে রোযা রাখতে হবে। সে বললো, তারাবিহ পড়তে হবে। তাই আমি আমার প্রফেসরকে বললাম, আমাকে
ছুটি দিয়ে দিন। তিনি বললেন, কেনো, তোমার ছুটির প্রয়োজন কিসের?
আমি বললাম, আমাকে অমুক জায়গায় যেতে হবে। সেখান থেকে আমি প্রতিদিন আসতে পারব না। তিনি বললেন, আমি তোমাকে এখানেই এমন জায়গার সন্ধান দিচ্ছি। আমি বললাম, তাহলে তো বেশ ভালো হয়। তিনি
আমাকে ইউনির্ভার্সিটির একটা জায়গায় নিয়ে গেলেন।
সেখানে গিয়ে আমি এক যুবককে দেখতে পেলাম। মুখে কালো দাড়ি। মাথায় পাগড়ি। পরনে জুব্বা। মেসওয়াকসহ অযু করছে। নামায পড়ছে। আযান দিচ্ছে। একজন সামনে গিয়ে কুরআন পড়ছে অন্যরা পিছনে থেকে শুনছে। মাসভর রোযা রাখছে। তারপর ইতিকাফও করেছে।
তিনি বললেন, আমি ঈদের নামায পড়ে ফিরে এসে আমার প্রফেসরকে বললাম, আপনি আমার প্রতি বড়োই অনুগ্রহ করেছেন।
এমন কিছু ভালো মানুষের সন্ধান করে দিয়েছেন। আমার রমজান বেশ ভালোভাবে কেটেছে। তিনি মুচকি হেসে বললেন, তুমি কি জান, ওরা সবাই ইহুদি? আমি বললাম, তা তো জানি না। বলতে লাগলেন, তারা একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে যে, ইসলামে মুসলমানদের যেভাবে রোযা রাখতে বলা হয়েছে, তোমরাও তাদের অনুরূপ এক মাস রোযা রেখে দেখো, এর মধ্যে কী কল্যাণ নিহিত রয়েছে এবং কী অকল্যাণ রয়েছে। কণ্যাণকর হলে আমরা অকপটে তা গ্রহণ করে নিবো। বর্তমানে বিশ্বে এসব কাজ হচ্ছে।
আমাদের যুবকরা বহির্বিশ্বের যেসব ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিয়াতের উপর পি.এইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করে, সেখানকার ইসলামিয়াত বিভাগের বিভাগীয় প্রাধন ইহুদি থাকে।
এবার বলুন, বিশ্বে ইসলামবিরোধী কী কী কর্মকাণ্ড হচ্ছে? আল্লাহহু আকবার। বর্তমান বিশ্বে আমাদের সবচেয়ে বড়ো শত্রু হলো ইহুদিরা। তারা প্রতিনিয়ত পরোক্ষভাবে ইসলমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
***ইহুদিদের আরেকটি চক্রান্ত***
আমি একবার রাশিয়া সফর করছিলাম। মাওলানা আবদুল্লাহ ও অন্যান্যরা আমার সফরসঙ্গী ছিলেন। রেলসফর করছিলাম। ইতোমধ্যে একব্যক্তি এসে আমার সাথে ও অন্যান্যদের সাথে সাক্ষাৎ করল। তার মুখে দাড়ি ছিল। তারপর সাথীদের সাথে কথা বলতে লাগল। লোকটি চলে গেলে আমি সাথীদের জিজ্ঞাসা করলাম কী বলছিল?
সাথীরা বলল, আপনার ব্যাপারে জানতে চাইলো। আপনি কে? আমরা বললাম, একজন আলেম ও পীর। সে বলল, কোথা থেকে এসেছেন? আমরা বললাম, পাকিস্তান থেকে। বলল, তোমরাও রাশিয়ান, আমিও রাশিয়ান। তোমরা তাকে ধোঁকা দাও।
তাকে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় জায়গায় ঘুরিয়ে তার টাকা-পয়সা শেষ করে ফেলো। দেখবে, টাকা-পয়সা শেষ হয়ে গেলে সে দেশে ফিরে যাবে। এসব লোকদিয়ে আমাদের কোনো উপকার নেই। তাকে এখান থেকে মিথ্যা অজুহাত দিয়ে বের করে দাও, যাতে এখানে কেউ ইসলামের কাজ করতে না পারে। এ ধরনের বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার বেশ কয়েবার হয়েছে।