এবার বিএনপির কুমিল্লা সমাবেশে নেই ‘পরিবহন ধর্মঘট’-এর বাধা
ঢাকার থেকে কাছের বিভাগীয় শহর হচ্ছে কুমিল্লায় বিরোধী দল বিএনপির সমাবেশ। নির্ধারিত সমাবেশ শুরুর আগেই সমাবেশস্থল হল কুমিল্লা টাউন হল মাঠ ছাড়িয়ে আশে পাশের এলাকা গুলো দলটির কর্মী ও সমর্থকে পূর্ণ হয়ে গেছে।
এছাড়াও কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন এলাকা ছাড়া আশেপাশের নানা জেলা ও উপজেলা থেকে দলটির নেতা , কর্মী ও সমর্থকরা মিছিলসহ আসছেনযোগদান করতে ।
এর আগে অনেকবার দেখা গেছে বিএনপির এর আগের বিভাগীয় সমাবেশ গুলোর এক দিন আগে থেকেই দেখা গেছে সংশ্লিষ্ট শহরটিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে ‘পরিবহন ধর্মঘট’- এর নামে।
বিএনপির তরফ থেকে বরাবরই অভিযোগ করা হয়েছে এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সমর্থনপুষ্ট পরিবহন মালিক -শ্রমিক সমিতি গুলো সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই সাজানো হয় ‘ পরিবহন ধর্মঘটন’ ডেকেছে।
যদিও সরকারি দল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সব সময় ।
তবে কুমিল্লা সমাবেশের আগে এমন কোন পরিবহন ধর্মঘট দেখা যায়নি এখন অব্দি ।
তবে জানা গেছে সমাবেশের দিন কুমিল্লায় ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে রাখার একটি অভিযোগ উঠেছে । যে অভিযোগ ছিল অন্যান্য শহরের সমাবেশ গুলোতে ও।
দিনের বেলা এগারটার দিক থেকেই শুরু হয়েছে সমাবেশের কার্যক্রম এবং বেলা দুইটার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতারা মঞ্চে উঠবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ।
বিভাগীয় পর্যায়ে এটি বিএনপির সপ্তম সমাবেশএ পর্যন্ত । চট্টগ্রামে সমাবেশের মাধ্যমে দলটি ধারাবাহিক এ কর্মসূচি শুরু করেছিলো নির্বাচন প্রচার ।
এরপর ময়মনসিংহ , তারপর খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও সিলেটে ও সমাবেশ করেছে বিরোধী দলীয় বিএনপি। এসব সমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সংসদ বিলুপ্ত করে দেয়ার আহবান করেছেন মিস্টার আলমগীর ।
এছাড়াও চট্টগ্রাম ছাড়া বাকী সব সমাবেশের দিনেই স্থানীয়ভাবে পরিবহন ধর্মঘট আহবান করেছিলো মালিক শ্রমিকদের একটি বড় অংশ । তবে এবার কুমিল্লায় তেমন কিছু দেখা যায়নি ।
মূলত নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন হওয়া , গুম ও খুনের প্রতিবাদ , সাথে দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মুক্তি ওবিএনপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশের ফেরার সুযোগ তৈরির জন্য সব মামলা প্রত্যাহারসহ নানা দাবিতে দলটি এ সমাবেশের এ ধারাবাহিক কর্মসূচি শুরু করেছেন ।
তবে এটি শেষ হবে ঢাকার সমাবেশের মধ্য দিয়ে।
আসন্ন কুমিল্লার সমাবেশকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরেই কুমিল্লা অঞ্চলে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছে বিএনপি। নেতাকর্মীদের অনেকে ২/৩ দিন আগেই কুমিল্লায় এসেছেন বলে জানা যায় ।
কুমিল্লা ও আশেপাশের এলাকা গুলোতে দলটির শক্ত সাংগঠনিক অবস্থান ওআছে ।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন যে শহরের হোটেল মোটেল গুলো আগে থেকেই পূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীকে । আজ ভোর থেকেই একের পর এক মিছিল আসছে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে ।
মিছিলকারীদের অনেকের হাতে মধ্যে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ ওদেখা গেছে। আবার কেউ কেউ দলটির নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি বহন এ করছিলেন ।