কম্পিউটার ভাইরাস এবং ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়

কম্পিউটার ভাইরাস এবং ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়

কম্পিউটার ভাইরাস হলো একটি স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম যা নিজে থেকেই নির্বাহ, সংক্রমণ এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে। এই প্রোগ্রাম গুলো এইভাবে তৈরি করা হয় যা কম্পিউটারে সিপিউতে আশ্র‍্য গ্রহন লরে কম্পিউটারকে অস্বাভাবিক কাজ করতে বাধ্য করে।১৯৮৪ সালে Virus শব্দটি আবিষ্কার করেন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানি ফ্রেড কোহেন (Fred Cohen), Virus এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Vital Information Resources Under Seize. ( কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ প্রোগ্রামগুলোর গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলো বন্ধ/বাজেয়াপ্ত করে রাখা।)

ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমঃ

ভাইরাস যেহেতু একটি স্বয়ংক্রিয়া প্রোগ্রাম তাই এটি কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে বা ডিভাইস থেকে ডিভাইসে যেকোনো মাধ্যমের আশ্র‍য় নিয়ে সংক্রমন হতে থাকে। সংক্রমণকারী মাধ্যমগুলো হলো—
ক. যেকোন Removable ডিভাইস (যেমন- পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড), ফ্লপি ডিস্ক, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি মাধ্যমে৷ ডেটা স্থানান্তর করা অবস্থায় ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

খ. ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে।

গ.পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে।

ঘ. কম্পিউটারের নেটওয়ার্কর মাধ্যমে।

ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটারের লক্ষণসমূহঃ
ক. কম্পিউটার চালু ও বন্ধ হতে বেশী সময় লাগে।

খ.যেকোন ধরনের প্রোগ্রাম এক্সিকিউট হতে অনেক বেশি সময় নেয়।

গ.হার্ডডিস্কের পার্টিশন নষ্ট হয়্র যায়।

ঘ.EXE ফাইলের আকাএ পরিবর্তিত বা পরিবর্তন হয়ে যায়।

ঙ.Hard Disk এর ভলিউম নাম পরিবর্তন হয়ে যায়।

চ.অনাকাঙ্ক্ষিত সতর্কতা (Unexpected Error) বার্তা প্রদান করে।

ছ. তারিখ ও সময় পরিবর্তন হয়ে যায়।

জ. কম্পিউটারের ফাইল হাইড (Hide) হয়ে যায়।

ঝ. মেমাওরিতে জায়গার পরিমাণ কম দেখায়।

ঞ. হঠাৎ করে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায়।

ট. কম্পিউটার Hangহাং হয়ে যায়।

ভাইরাস কম্পিউটারের কী কী ক্ষতি করেঃ
ক. কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

খ. হার্ডডিস্কের সকল ডেটা মুছে যেতে পারে।

গ. কম্পিউটার বার বার রিস্টার্ট হতে পারে।

ঘ. সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল মুছে যেতে পারে।

ঙ. ফাইল, তারিখ,ও সময় পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।

চ. কম্পিউটার অপারেশন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি সময় নিতে পারে।

ছ. হার্ডডিস্কের Bad Sector দেখা দিতে পারে।

ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়ঃ

ক. বাইরের কোন হার্ডডিস্ক, মেমরি কার্ড,পেনড্রাইভ অথবা অন্যান্য Removable ড্রাইভ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।

খ.নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট এর আওতাভুক্ত কম্পিউটারগুলোতে এন্টিভাইরাস ও ফায়্যারওয়াল ব্যবহার করা।

গ. Removable ড্রাইভ দ্বারা যদি ডেটা আদান-প্রদান করতেই হয় তবে অবশ্যই আপডেটেড এন্টি ভাইরাস দ্বারা স্ক্যান করে নিতে হবে অথবা ফরম্যাট করে নিতে হবে।

ঘ.পাইরেটেড সফটওয়্যার যেহেতু ভাইরাসের বাহক তাই সফটওয়্যারের পাইরেটেড কপি ব্যবহার না করাই উত্তম।

ঙ.সিডি, ডিভিডি, পেনড্রাইভ বা যেকোনো বহণযোগ্য ডিস্ক এর ক্ষেত্রে autorun অপশন করে দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *