কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়?
জীবনে সফল হতে চাইলে যেমন বিশেষ কিছু গুণাবলী অর্জন করা প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন ব্যক্তিত্ব অর্জনের। তাহলে ব্যক্তিত্বের মূল কথাগুলো কি;
এখানেই গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিসের কথা এসে যায়। নিজেকে জানার মাঝেই ব্যক্তিত্বের বিকাশ।
জীবনকে চরম ও পরমভাবে উপলব্ধির যে শিক্ষা সক্রেটিস মানুষকে দিয়ে গেছেন। তা যুগের পর যুগ ধরে মানুষের মনের দূরন্ত কৌতূহল পূরণ করে আসছে। জীবনে সফল হতে চাইলে সক্রেটিসের কথাটির পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
নিজেকে প্রশ্ন করুন আমি কে? এই প্রশ্নের উত্তর যদি মানুষ হয়। তাহলে মানুষের জীবন খাতায় মহামানবগণ যুগ যুগ ধরে যে বাক্যগুলো জুড়ে দিয়েছেন।
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়? সেগুলোর মূল কথাই হচ্ছে; সাফল্য লাভের জন্য মানুষকে কঠোর অধ্যবসায় ও অনুশীলনের চেষ্টা করতে হবে। জীবন মানেই কাজ, কাজ এবং কাজ।
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়
এবার আপনাকে ভাবতে হবে সাফল্য লাভের জন্য আপনার কি করা উচিত 1 এখন আপনি যা করছেন তার কোনো বাস্তবতা আছে কিনা? কতটুকু সময় কর্মে ব্যয় হচ্ছে আর কতটুকু সময় অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে তার হিসেবটুকু আপনাকে মিলিয়ে দেখতে হবে।
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়
কাজের সময়ের যোগফল যদি অবহেলায় নষ্ট সময়ের চাইতে কম হয় তাহলে মনে রাখবেন কিছুতেই আপনি সাফল্যের মুখ দেখবেন না।
সাফল্য লাভের জন্য চাই আত্ম-বিশ্বাস। আত্ম-জ্ঞান, আত্মোপলব্ধি, আত্ম- জিজ্ঞাসা ও কর্মের প্রতি গভীর মনোযোগ। জীবনকে সাফল্যের পথে পরিচালিত করতে পারেন তারাই যারা জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত আর বাধা-বিপত্তিকে পথে এগিয়ে যাওয়া যায়।
আসলে কর্মই ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করে। ভাগ্য বলে যে কথাটা পৃথিবীতে আজ প্রচলিত আছে। কর্ম ছাড়া এ ভাগ্যের কোনো মূল্য নেই কর্ম যে জিনিসটির জন্ম দেয় তার পরিবর্তিত রূপই হচ্ছে-ভাগর।
পৃথিবীর অসংখ্য কৃর্তি ও সফল মানুষের জীবনী পর্যালোচনা করলে এ সত্যের সন্ধান ছেলে যে বিশ্বের বিখ্যাত সব মানুষই কঠোর অধ্যবসায় ও ব্যক্তিত্বের জোরেই বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক এইচ. জি. ওয়েলস এর বেলায়ও তাই। ব্যক্তিত্ব ও অধ্যবসায় এবং কঠোর পরিশ্রমের জোরেই তিনি খ্যাতি লাভ করেছিলেন।
জীবনে সফল হতে চাইলে যেমন বিশেষ কিছু গুণাবলী অর্জন করা প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন ব্যক্তিত্ব অর্জনের। তাহলে ব্যক্তিত্বের মূল কথাগুলো কি;
এ ক্ষেত্রে ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের নামও উল্লেখযোগ্য। ব্যক্তিত্ব ও কঠোর অধ্যবসায়ের ক্ষেত্রে সম্রাট নেপোলিয়ন ছিলেন অতুলনীয়।
তাঁর অসাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সুনিপুণ রণ কৌশলই যুদ্ধ জয়ের ক্ষেত্রে সফলতা এনে দিয়েছিল। সফল মানুষের গোপন রহস্য জানার মাঝে যে কৌতূহলের স্বাদ পাওয়া যায় তা ব্যক্তির বিকাশ ও কঠোর অধ্যবসায়ের জন্য এক মহা উপায়।
আপনার জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতা যে আপনার হাতে এ পরম সত্য কথাটা যখন আপনার মাথায় চেপে বসবে: তখন কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়।
এর একটা সহজ উপায় আপনি অবশ্যই খুঁজে পাবেন। আপনি এখন যা করবেন বলে ভাবছেন; সে সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা আছে কিনা? আপনার আত্ম-বিশ্বাস আপনাকে কতটুকু প্রয়াস দিচ্ছে। আত্মোপলব্ধি থেকেই আত্ম-বিশ্বাসের জন্ম হয়।
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়
ভেবে চিন্তে কাজ করুন। কোনো কিছু না ভেবে অন্ধকারের যাত্রী হয়ে অন্ধের মত পথ চলবেন না। আপনার সামান্য একটু ভুলের জন্য, ভুল সিদ্ধান্তের জন্য জীবন থেকে অনেকগুলো বছর ঝরে যেতে পারে।
এ কথা কি একবারও চিন্তা করেছেন? চিন্তাও এক প্রকার শক্তি। যাকে বলে চিন্তাশক্তি; সুস্থ মস্তিকে চিন্তা করে আপনি যে উপায় খুঁজে পাবেন। তা আপনাকে সঠিকভাবে পথ চলতে সাহায্য করবে। মনে মনে নিশ্চিত ভাবেই জেনে রাখুন যে, সব কিছুই নির্ভর করে সঠিক
চিন্তা-ভাবনা করে যে ধারণা ও অনুভূতি পাওয়া যায় তার মধ্য দিয়ে নিজেকে পরিচালনা করার উপর। তারপর বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ে আত্মোনিয়োগ করা। প্রখ্যাত লেখক গ্রেনভিল ক্লিসার, তাঁর সফল হওয়ার উপায় বইটিতে এই উপদেশ দিয়েছেন যে, জীবনে সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে একটা পরিকল্পনা ছকে নিন;
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়?সফলতার বিস্তারি জেনে নিন যেমন: কিছু সময় ঘুমের জন্য, কিছু সময় খেলার জন্য, কিছু সময় বিনোদনের জন্য আর বাকী সময় কাজের জন্য ব্যয় করুন। তাঁর উপদেশ হল ছক বা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলুন; অলসতা করবেন না: সাফল্য আপনার আসবেই। জীবন মানেই কাজ সফল হওয়া
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়
প্রতিটি মানুষের ব্যস্ত থাকার উপায় হচ্ছে কাজ।কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকুন; নয়তো নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। জীবনে যতটুকু সময় পাবেন কাজে ব্যয় করুন। ভাগ্য আপনাকে গড়বে না, বরং আপনি নিজেই ভাগ্যের মহা স্রষ্টা। এ কথাটি আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র কোরআন শরীফে বলে দিয়েছেন। আপনার সাফল্য ও ব্যর্থতার ভাগীদার আপনি নিজেই। হয়তো আপনারই অবজ্ঞা ও অলসতার দরুণ আজ ব্যর্থতার খাঁচায় বন্দী।
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়
ব্যর্থতার কাফন জড়িয়েছে আপনাপকে। এখন আপনার মুক্তির উপায়ের জন্য চাই কাজ। কঠোর পরিশ্রম। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডু অর ডাই।’ কাজ যদি করতে না পার তাহলে কাজের মধ্যে ডুবে মর। তাঁর কথাটির অর্থ দাঁড়ায়, ‘কঠোর পরিশ্রম কর।’ আমাদের সাফল্যের সবচেয়ে বড় বাঁধা হচ্ছে-আমরা কাজ করতে চাই না। আমরা কখন কি কাজ করব প্রতিদিনের একটা ছক তৈরি করতে হবে।
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়?
ছক অনুযায়ী অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। জীবনে সফল হতে চেয়ে বসে থাকলে চলবে না। কাজে যোগ দিতে হবে। জীবনে যারা সফল হয়েছেন তাদের ইতিহাস জেনে নিন; আগে মার্ক টোয়েনের কথাই আসা যাক। কীভাবে মার্ক টোয়েন তাঁর শব্দ ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে জীবনে সফল হয়েছিলেন।
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়
তরুণ বয়সে তিনি ঘোড়ার গাড়িতে করে মিশৌরী থেকে নেভার্দা পর্যন্ত সমস্ত জায়গা ভ্রমণ করেছিলেন। এই গাড়িতে যাত্রী এবং ঘোড়া উভয়েরই খাবার এবং এমনকি পানীয়জলও পরিবহন করতে হত। কাজেই যাত্রীদের সাথে এসব বহন করা ছিল অত্যন্ত কষ্টকর।
এতদসত্ত্বেও মার্ক টোয়েন তাঁর নিকট ওয়েস্টোরের একটা অভিধান সাথে রাখতেন। পার্বত্য পথের চড়াই উতরাই পেরোবার ক্লান্তিকর পরিস্থিতিতেও মরুভূমি অতিক্রমের অস্বস্তিকর পরিবেশেও তিনি গভীর মনোযোগ সহকারে অভিধানটি পাঠ করতেন, নতুন নতুন শব্দ শিখতেন।
এভাবে নিদারুণ কষ্টের মধ্যেও তিনি অনুশীলনের দ্বারা তাঁর জ্ঞান ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। নানা জানা-অজানা শব্দ সম্ভারে সমৃদ্ধ হয়েছিল তাঁর মস্তিষ্ক। পীট ও লর্ড চাহাম উভয়েই অভিযানের প্রতিটি পৃষ্ঠা, প্রতিটি শব্দ দু’বার করে পড়তেন। ব্রাউনিং প্রতিটি ঘন্টার পর ঘন্টা অভিধান পাঠ করতেন।
লিংকন নক্ষত্রালোকে বসতেন এবং অভিধান পড়তেন। উড্রো উইলসন নিশ্চিত ভাবেই একজন জ্ঞানী ও ইংরেজি ভাষাবিদ। জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাসহ তাঁর কতিপয় লেখা নিশ্চিত ভাবেই বিশ্ব সাহিত্যের সম্পদ।
তিনি কীভাবে তাঁর শব্দ ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন নিজের মুখেই শুনুন; “আমার পিতা আমাদের পরিবারের কোনো সভ্য ভুল কথা বলুক তা সহ্য করতেন না।
কোনো শিশু ভুল কিছু বললে সাথে সাথে তা শুদ্ধ করে দেয়া হত। কোনো নতুন শব্দ পাওয়া গেলে তা আমাদের কাছে বার বার ব্যাখ্যা করা হত; এভাবে বিভিন্ন বাক্যে তার ব্যবহার শিখিয়ে দেয়া হত।
ফলে আমরা সকলেই নতুন নতুন শব্দ শিখতে সক্ষম হতাম এবং এগুলো মনে রাখার ব্যাপারে কঠোর অনুশীলন করতে হত আমাদেরকে।” নিউ ইয়র্কের একজন বক্তা সারাদিন পরিশ্রম করে যে বক্তৃতা তৈরি করতেন;
রাতে বিশ্রামের আগে অভিধান দেখে আবার শব্দ বদলাতেন। ফলে তাঁর বক্তৃতার ভাষা হয়ে উঠত প্রাঞ্জল ও হৃদয়গ্রাহী। যেদিন তিনি বক্তৃতা তৈরি করতেন না; সেদিন তিনি ফারনডলস এর সমার্থক শব্দ, বিপরীতার্থক শব্দ ও পদান্বয়ী অব্যয় নির্বাচন করতেন।
প্রতিটি শব্দের অর্থ লিখতেন এবং ব্যবহার করতেন। ফলে প্রতিদিনই তিনি নতুন শব্দ শিখতে এবং ব্যবহার করতে সক্ষম হতেন। এর অর্থ এই যে, প্রতিদিন অন্তত একটি করে শব্দ শিখলেও বছরে আপনার শব্দ ভাণ্ডারে যোগ হবে ৩৬৫ টি নতুন শব্দ। যদি পাঁচটি করে হয় তাহলে এর সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮২৫-এ।
তিনি যেসব শব্দ লিখতেন সেগুলো অর্থসহ পকেট নোট বুকে লিখে রাখতেন এবং অবসর সয়য়ে তা পাঠ করতেন। ফলে কোনো শব্দই তিনি কখনও ভুলতেন না। কারণ তিন বার ব্যবহার করার পর কোনো শব্দ সহজেই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যায় না।
আমার নানান ধরনের উপমায় হয়তো আপনি ভাবছেন লেখকের শব্দ ভাঙারে যাওয়ার দরকার কি? তবে এ শব্দের অন্তরালে যে রোমান্টিক কাহিনী লুকিয়ে থাকতে পারে তা হয়তো আপনার জানা নেই। আসলে পৃথিবীতে এখনও জ্ঞানের অনেক কিছুই আছে যা আমাদের জানা নেই। জানার যেমন শেষ নেই তেমনি জ্ঞানেরও শেষ নেই কথাটি বাস্তব সত্যি।
কোনো কিছুর রহস্য যখন আপানার মনে আগ্রহের জন্ম দেবে তখন আপনার জানার কৌতূহল আরও বাড়তে থাকবে । আর জানার কৌতূহল ও আগ্রহ বাড়লেই আপনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক কিছুই শিখতে পারবেন। শুধু শিখতে পারবেন তাই নয়, ইচ্ছে করলে জ্ঞানীর খাতায় আপনার নামও লেখাতে পারবেন।
যদি অনবরত জ্ঞানের চর্চা চালিয়ে যেতে পারেন। যদি নিজেকে সব সময় ছাত্র মনে করনে; তাহলে জীবনে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। আসলে আপনাকে যে উপদেশ দিচ্ছি আমিও একজন ছাত্র।
আমি সারাজীবন ছাত্র হয়েই থাকতে চাই। জ্ঞানের সাগরটা এতই বড় যে এই পৃথিবীর মত আরও দশটি পৃথিবীও সেখানে তলিয়ে যাবে। এ সাগরের শেষ কোথায় আমার জানা নেই।
শুরুটা কোথায় তাও জানা নেই। খুঁজতে গিয়ে যে রহস্যের সন্ধান পাচ্ছি তা ভেদ করে সামনে এগোবার কোনো সুযোগও নেই। এই দুর্ভেদ্য সাগরের ভেতরেই ডুবে আছি।
এখানে ডুবে জল খাওয়াতেই আমার তৃপ্তি। আবার অনেকেই অনেক শব্দই জানি কিন্তু এর পিছনে ফেলে আসা অতীতকে জানি না। সেটাকে আমি কিছুক্ষণ আগে শব্দের রোমান্টিকতা বলে আখ্যা দিয়েছি। অভিধান কেন ব্যবহার করবেন?
শুধুমাত্র শব্দের অর্থের জন্য নয়, শব্দের প্রকৃতি ও উৎপত্তির জন্যও অভিধান বিশেষ প্রয়োজন। অবশ্য সব অভিধানে শব্দের উৎপত্তির ইতিহাস লেখা থাকে না।
আবার সবগুলো শব্দের উৎপত্তিও দেয়া থাকে না। কারণ সব শব্দের উৎপত্তি জানার প্রয়োজন নেই। আবার সব শব্দের উৎপত্তিও অভিধান প্রণেতার জানা নেই।
আগেই বলেছি জ্ঞানের সাগরটা এতই বড় যে এখানে যে কেউ তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে। শব্দের সংজ্ঞার পরে প্রদত্ত ব্রাকেটে সাধারণত শব্দের ইতিহাস, উৎপত্তি প্রভৃতি আলোচিত থাকে।
কখনো এটা মনে করবেন না যে, আপনি প্রতিদিন যেসব শব্দ ব্যবহার করেন তা অর্থহীন ধ্বনিমাত্র। অথচ তাদের রং আছে, তারা জীবন্ত এবং রোমাণ্টিক।
চিনির জন্য কোনো গ্রোসারকে টেলিফোন করলেই এটা ব্যবহারেই শব্দ প্রয়োগ শেষ নয়। বরং আমরা সাধারণত যেসব শব্দ ব্যবহার করি সে সব শব্দে বিভিন্ন ভাষা ও সভ্যতা থেকে সংগৃহীত শব্দ আছে যেমন; টেলি অর্থ দূর এবং ফোন অর্থ ধ্বনি-এ দু’টি গ্রীক শব্দ সংযোজনে টেলিফোন শব্দের জন্ম।
পুরাতন ফরাসী শব্দ গ্লোসিয়ার থেকে গ্রোসার শব্দের উৎপত্তি এবং ফরাসী গ্লোসিয়ার শব্দটি এসেছে ল্যাটিন গ্রোসারিয়াস থেকে। এর অর্থ হচ্ছে যিনি পাইকারী বা গ্রস হিসেবে বিক্রি করেন। মনে করুন আপনি একটি কোম্পানীতে কাজ করছেন অথবা আপনি নিজেই কোম্পানীর মালিক।
পুরাতন ফরাসী শব্দ কম্পানিয়ন থেকে কোম্পানী শব্দের জন্ম। কম্পানিয়ন শব্দের সাহিত্যগত অর্থ হচ্ছে, ‘কম উইথ এন্ড পেনিস ব্রেড।’ অর্থাৎ আপনার কম্পানিয়ন হচ্ছে সেই ব্যক্তি যার সাথে আপনি রুটি খান।
সুতরাং কোম্পানী শব্দের অর্থ হচ্ছে; কতিপয় ব্যক্তির সমিতি যাঁরা একসাথে নির্দিষ্ট হারে ভাতা পেতেন। এবার আপনার হাতে যে বইটি আছে তার সাহিত্যিক অর্থ হচ্ছে; বহুদিন আগে ইক্ষু সেক্সসনেরা বিচ গাছ এবং বিচ কাঠে তাদের শব্দ খোদাই করে রেখেছিল। সেই বিচ থেকেই মূলত বইয়ের উৎপত্তি।
আপনার পকেটে যে ডলার আছে। অথবা ডলার নামে যে মুদ্রাটি চালু আছে। তা প্রথমে ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে ব্যবহার করা হয় এবং তার উল্লেখ দেখা যায় সেন্ট জোয়াসিম এর থালায় বা ডেল-এ।
জেনিটর এবং জানুয়ারী; এই শব্দ দু’টির উৎপত্তি রোমে বসবাসকারী এটুসকান কামার এর দরজার জন্যে তৈরি থালা ও বল্টু থেকে।
মৃত্যুর পরে তাঁকে দেবতার মত সম্মান দেয়া হয়। কেননা তিনিই প্রথম মানুষেকে দরজা খুলতে ও বন্ধ করতে শিখান। তাই তাঁরই স্মরণে একটি বছরের শেষে নতুন বছরের প্রারম্ভের মাসকে বলা হয় জানুয়ারী।
সুতরাং যখনই আমরা জানুয়ারী বলি তখন আমরা এমন একজন লোকের স্মৃতির প্রতি সম্মান দেখাই যিনি খ্রিষ্টের জন্মের হাজার হাজার বছর আগে এই বিশ্বে এসেছিলেন এবং যার স্ত্রীর নাম ছিল জেন। ইংরেজি বছরের সপ্তম মাস জুলাই নাম হয়েছে জুলিয়াস সিজারের নামনুসারে।
সম্রাট আগাষ্টাসের নামানুসারে আগষ্ট মাস। আগষ্ট মাস জুলিয়াস থেকে ছোট হোক এটা তিনি মানতে রাজি ছিলেন না; সুতরাং ফেব্রুয়ারী থেকে একটি দিন নিয়ে এই মাস অর্থাৎ আগষ্টের সাথে যোগ করা হয়।
প্রতিটি শব্দের ঠিক এই রকমই একটি করে ইতিহাস আছে। জীবনের প্রয়োজনে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। আপনি যতি কোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চান, তা হলে প্রথমেই আপনার আগ্রহের বিশেষ প্রয়োজন।
আমার মতে, “এই পৃথিবীটা একটা বিশাল পাঠশালা, এখানে যে যত জ্ঞান আহরণ করতে পারবে সে তার নিজেকে ততই সম্পদ হিসেবে তৈরী করতে পারবে।” কেননা, আপনি যত বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ হয়ে উঠবেন আপনার জীবনের বাঁধাগুলিকে তত দ্রুত গুড়িয়ে দিযে সাফল্য লাভ করতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনি আপনার ক্ষতিগুলোকে লাভে পরিণত করতে সক্ষম হবেন। আমরা জীবনের প্রয়োজনে অনেক রকমের কাজ করে থাকি কিন্তু সব কাজ সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। কাজ করা বলতে কিন্তু কাজের অর্থ ব্যাপক, কাজ বলতে সঠিক ভাবনা চিন্তার মাধ্যমে নিজেকে কিছুতে ব্যস্ত রাখা।
যেমন, কোনো বৈজ্ঞানিক কিংবা গবেষক চিন্তামগ্ন হয়ে সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন, এটাও একটি কাজ। আমি লিখছি সেটাও একটি কাজ। আবার কোনো জেলে মাছ ধরছে সেটাও একটি কাজ। এসব কাজের কথা বিবেচনা করলেই বুঝা যাচ্ছে যে সকল কাজ সমান গুরুত্ব বহন করে না।
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়
কিছু কিছু কাজ আছে যা আমাদেরকে শুধুমাত্র আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করে। আবার কিছু কিছু কাজ আছে যা অর্থ, সম্মান, যশ ও খ্যাতির মাধ্যমে আমাদেরকে গৌরবময় স্মরণীয় বরণীয় ব্যক্তিতে পরিণত করে।
তাই আমাদের উচিত জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজটি বেছে নেয়া এবং নিজের উন্নতির জন্য নানা উপায়ে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া।
আমারেদ সামনে অনেক কাজই আছে যেগুলোতে বেশ ঝুঁকির সম্ভবনা থাকে। আমাদের ভয় করলে চলবে না। ঝুকির মোকাবেলা করেই আমাদেরকে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে; তবেই আমরা জীবনে সফল হতে সক্ষম বাস্তব জীবনে আমরা অনেকেই ঝুঁকি নিতে চাই না।
কিন্তু জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছি। অনেক কাজকে কঠিন মনে করে আমরা হাল ছেড়ে দেই।
অথবা পারব না বলে অজুহাত দেখাই। মনে রাখবেন, “সহজ পথটাই অনেক সময় কঠিন হয়ে যায় আর কঠিন পথটাই প্রায়ই সহজ পথে পরিণত হয়।” স্বাভাবিকভাবে আমরা কেউ-ই ভুল করতে চাই না। অথচ আমরা সবাই ভুল করার মধ্য দিয়েই শিক্ষা লাভ করি। আরা হাঁটতে শিখি আছাড় খেয়ে।
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়
আমরা যদি কখনও না পড়ে যাই তাহলে হাঁটতে শিখি না। সাইকেল চালাতে শেখার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। আমার আজও মনে আছে, আমি যখন প্রথম প্রথম সাইকেল চালাতে শিখছিলাম, তখন এক পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে আরেকজনের গায়ে সাইকেল তুলে দিয়েছিলাম।
সেই দাগটা আমার এখনো আছে। কিন্তু আজ আমি কিছু না ভেবেই চমৎকার সাইকেল চালাতে পারি। জীবনে সফল হওয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা সত্যি, “বিজয়ীরা হারতে ভয় করে না তাই তারা বিজয় অর্জন করে আর চিন্তা করে
কিভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়। আর যারা হেরে যায় তারা বার বার হারবার ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকে তাই তারা হেরে যায়। সাফল্যের প্রক্রিয়ার একটা অংশ বিফলতা।
যে সব লোকেরা বিফলতাকে এড়িয়ে চলতে চায় তারা সাফল্যকে এড়িয়ে যায়। বেশির ভাগ লোক প্রায়ই নিজেদের অন্তরের জ্ঞনকে, ভিতরকার প্রতিভাকে বিশ্বাস না করে জনতার সাহায্যে তাদের সঙ্গে চলতে ভালোবাসে। তারা কাজ করে কারণ সবাই তাই করে।
তারা প্রশ্ন করার বদলে মেনে নেয়। প্রায়ই তারা বুদ্ধি না খাটিয়ে তাদের যা বলা হয়েছে তারই পুনরাবৃত্তি করে। এরা কোনো দিন নিজের মতামতে কাজ করে না। আর তাই এদের কোনো স্বাধীনতা থাকে না। মৃত্যু অবধী এরা অন্যের পরামর্শের কিংবা হুকুমের অপেক্ষায় থাকেন।
কীভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়
এসব নেতিবাচক মানসিকতা হতে দূরে থাকুন। নিজের ওপর আস্থশীল হোন। আত্মবিশ্বাসী হয়ে সঠিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে স্বাধীন স্বাধীন মনে কাজ করতে শিখুন।