গনিতের ইতিহাস (History of Mathematics)

গনিতের ইতিহাস (History of Mathematics)

গণিত কী ?

উত্তর : গনিত একটি বিষয়। যে বিষয়ে পরিমাপ সম্পর্কীয় যাবতীয় জিনিস আলোচনা, পর্যালোচনা করা হয়, তাকে গনিত বলে। বিজ্ঞানের যেকোন শাখায় সঠিক পরিমাপের জন্য গণিতের ব্যবহার করা হয়। তাই গণিতকে বিজ্ঞানের মা নামে অভিহিত করা হয়। গনিত বিজ্ঞানের ভাষা। ভাষা ছাড়া যেমন মানুষ মনের কথা প্রকাশ করতে পারতে পারে না, তেমনি গনি ছাড়া ও বিজ্ঞানের সঠিক তথ্য প্রকাশ করা যায় না।

শাব্দিক অর্থ : গনিত শব্দটির ইংরেজি হল Mathematics, যা গ্রীক ‘Mathematics’ থেকে উদ্ভত। ‘Mathematics’ অর্থ শিক্ষনীয় বিষয়সমূহ। গনিত হলো সাধারণ/সার্বিক ধারণা/ভাব অথাৎ (Universal Idea), যা দ্বারা  Universal truth ( সার্বিক সত্য) বা পরমা সত্য খোঁজ হয় বা সেই সত্যের কাছাকাছি যাওয়া যায়।

গনিতবি ফ্রেডারিক গ’স (জামার্ন) গনিতকে বিজ্ঞানের রাণী বলেছেন।

পারিভার্ষিক অর্থ : Mathemata – গ্রীক শব্দ —-> Mathemata ইংরেজি শব্দ —-> গনিত বাংলা শব্দ।

  • Mathematics is the Science of necessary conclusions” “ গনিত হলো যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্বান্তের বিজ্ঞান’’—-> Benjamin Price.
  • Mathematics is the science Space, Numbers and Quantity” (গনিত হলো স্থান,সংখ্যা এবং পরিমাণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান)– Oxford Dictionary.
  • ``Mathematics is the study of abstract forms of structures and the relations among them” . ( গনিত হলো বিমূর্ত ধারণার সৌধ নির্মাণ এবং তাদের সম্পর্ক বিষয়ে পাঠ)- আধুনিক গনিতবিদগণ। 

ময়ুরেরর মাথায় যেমন শিখা, সাপের মাথায় যেমন মণি ঠিক সেইরকম  শাস্ত্রের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো গনিত। – বেদাঙ্গজ্যাতিষ (খ্রি. পূর্ব ১২০০ অব্দ)

গনিতের জনক (Father of Mathematics) : 

আর্কিমিডিসকে ( খ্রি: পূর্ব ২৮৭-২১২) তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য গনিতশাস্ত্রের জনক বলা হয়। 

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গনিতবিদগন : আকিমিডিস,নিউটন,গাউস।

 

বিষয়জনক
পাটিগনিত আর্য্যভট্ট খিঃ পূ ৪৭৬-৫৫০।
বীজগনিতআল্ খারিজমী খিঃ পূ  ৭৮০-৮৫০।
জ্যামিতিইউক্লিড খিঃ পূ  ৩২৫-৩২৫।
পরিসংখ্যানস্যার রোনাল্ড ফিসার।
সংখ্যাতত্ত্বপিথাগোরাস খিঃ পূঃ ৫৭০-৪৯৫।
ক্যালকুলাস নিউটন।
বলবিদ্যানিউটন।
ত্রিকোণমিতিহিপারচাস।
সেট তত্ত্বফিলিপ ক্যান্টর ।
ম্যাট্রিক্সকেইলে।
লগারিদমনেপিয়ার।
গতিবিদ্যাগ্যালিলিও।
গণণা চার্লস ব্যাবেজ।
অ্যালগরিদম ব্রহ্মগুপ্ত ।
গনিতবিদগন

অংক ও সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য কী ?

উত্তর : অংকঃ কোন একটি সংখ্যা প্রকাশের জন্য যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে অংক বলে । সংখ্যা প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত প্রতিটি চিহ্ন এক একটি অংক। যেমন : ১২ একটি সংখ্যা এখনে ১ এবং ২ প্রত্যেকই এক একটি অংক। 

  • প্রতিটি অংকই একটি সংখ্যা কিন্তু প্রতিটি সংখ্যা একটি অংক নয়।
  • দশভিত্তিক সংখ্যা প্রকাশের জন্য দশটি অংক রয়েছে। অংকগুলো হলো : ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,০.
  • অংক বলতে গানিতিক সমস্যা ও বোঝানো হয়।
  • অংক, সংখ্যা প্রকাশের চিহ্ন এবং গনিত,একটি বিষয়। গণিতে সঠিক পরিমাপ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সঠিক পরিমাপের জন্য সংখ্যার ব্যবহার করা হয়।

আপাদের যদি উপকার হয়ে থাকে আমার তথ্য টির জন্য তাহলে আমার এই পোষ্ট টি ফেসবুক বা গুরুফে শেয়ার করে আরো মানুষকে শিখার সুযোগ করে দিন। আর কোনে মন্তব্য থাকলে কমেন্স করুন। 

প্রতিদিন নিত্য নতুন আপডেট পেতে আমাদের ওয়েব সাইট বা ফেসবুক এর সাথে থাকুন। ভালো থাকবেন আমার জন্য দোয়া করবেন। পরবর্তী আপডেট পেতে একটু অপেক্ষা করুন……

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *