চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, রোগীদের ভোগান্তি
বেস্ট অফ টুডে
চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, রোগীদের ভোগান্তি
১০ নভেম্বর ২০২২, ১০:২৮
হাসপাতালে জায়গা না থাকায় বাইরের বারান্দার মেঝেতে রোগীদের চিকিৎসা চলছে চুয়াডাঙ্গায়।
চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে অনেক । প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ভর্তি হতে দেখা গেছে ।
হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা কম হওয়ায় চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী সাধারণরা। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত ।
বর্তমানে সদর হাসপাতালে ৪৫ জন সহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চারশর অধিক রোগী ভর্তি আছেন আজ অব্দি । প্রতিদিনই জেলার হাসপাতাল গুলোতে নতুন নতুন রোগী আসছেন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাই।
গত এক সপ্তাহে জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু ও হয়েছে। তবে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন হাসপাতালে মারা যাওয়া ওই নারী রোগী ।
জনবল সংকটে রোগীর অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্সদের ও। রোগীর চাপে নাজেহাল হাসপাতালটির চিকিৎসাসেবা ও। এরই মধ্যে ফুরিয়ে গেছে কলেরা স্যালাইনের মজুত ও । তাই বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে স্যালাইন ।
এতে চিকিৎসা খরচ বাড়ছে রোগীদের ও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে , পর্যাপ্ত পরিমাণ কলেরা স্যালাইন চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যে । একই সঙ্গে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন রোগীদেরকে চিকিৎসকরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, দুটি কক্ষ নিয়ে ডায়রিয়া ওয়ার্ড রয়েছে । এই ওয়ার্ডে কোন ও শয্যা খালি নেই আর । মেঝেতে শিশু সহ রোগীদের থাকতে হচ্ছে এখন । জায়গা না থাকায় বাইরের বারান্দার মেঝেতে রোগীদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে ।
রোগী ও স্বজনরা জানিয়েছেন, একটি কক্ষে ১০ – ১২ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে । এতে ও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগীরা । শিশু দের হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে গেলে আবার ও তারা আক্রান্ত হচ্ছে।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে আমাদের কথা হয় সোহানুর সোহান নামে একজনের সঙ্গে। তিনি জানান, মৌলভীবাজার থেকে এসেই তার স্ত্রী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে । ওয়ার্ডে কোন ও জায়গায় স্ত্রীকে রাখতে না পেরে শেষমেশ সিঁড়ির নিচে সামান্য জায়গা হয়েছে তারস্ত্রীর ।
জনি নামে এক রোগীর সঙ্গে কথা হলো তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে কোন ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না আমাদের । পরিবারের সদস্যরা বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনছেন আমার জন্য ।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন বলেন,আরো বলেন ‘শীতের সময় শিশুরা রোটা ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে । এ সময় তাদের বিশেষ যত্নে ওখেয়াল রাখতে হয় রাখতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ফাতেহ আকরাম জানান, শীতজনিত কারণে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ইদানিং । ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া আছে আমাদের ।