জাকির খান কে নিয়ে কারাকাড়ি
নারায়ণগঞ্জ শহরতলীতে আলোচিত সমালোচিত এক নাম জাকির খান। তিনি জেলা ছাত্রদলের একজন সফল সভাপতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগেরও কাছাকাছি সময় ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করেছেন এই নেতা। আর এই দীর্ঘ সময় দেশের বাহিরে অবস্থান করেও তিনি তার কর্মী বাহিনীকে ধরে রেখেছেন। বিএনপি দলীয়
আন্দোলন সংগ্রাম সহ যে কোনো কর্মসূচিতেই তার কর্মী সমর্থকরা নারায়ণগঞ্জের রাজপথে বড় শোডাউন করে থাকেন সব সময়।
৩ সেপ্টেম্বর বিদেশি অস্ত্রসহ জাকির খানকে গ্রেফতার করেন র্যাব- ১১। তার পর থেকে তার কর্মীবাহিনীরা মাঠে আন্দোলন সংগ্রামে আরো বেশি উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন।
পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহ্বায়ক ও আৰু আল ইউসুফ
খান টিপুকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র কমিটি।
পরে মহানগর বিএনপির নবাগত কমিটিকে পকেট কমিটি বলে আখ্যা দিয়ে এই কমিটি থেকে ১৫ জন বিদ্রোহী নেতা পদত্যাগ করেন এতে মহানগর বিএনপির ভিতরে কোন্দলের সৃষ্টি হয় পরে তারা দুইভাবে বিভক্ত হয়ে যান সম্প্রতি মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে জাকির খান সা হতে পারেননি।
বলে জানান জাকির খানের ঘনিষ্টদের কাছ থেকে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, জাকির খানের লোকেরা একসময় সাখাওয়াত হোসেন খানের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নিলেও বর্তমানে তারা সরে গেছেন আহবায়ক হওয়ার পর থেকে।
জাকির খানের অনুসারীদের দেখা গেছে বিদ্রোহী গ্রুপের সাথে সকল প্রকারের মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিতে। এতে রাজনীতিক মহলে বলা হচ্ছে জাকির খানের লোকেরা এখন বিদ্রোহীদের শিবিরে।
আরো জানা যায়, কিছুদিন আগে মহানগর বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন জাকির খানের যে লোকেরা বিদ্রোহীদের সাথে আছে তাদের উদ্দেশ্য করে বলে ‘আমার সাথে জাকির খানের চাচা মনির খান প্রতিনিয়ত আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেয়।
প্রতিটি মিছিল মিটিং এ সে আমাদের পাশে থাকে। আপন চাচার চাইতে বেশী আপন তো কেউ নয়। সুতরাং জাকির খানের লোকজন আমাদের সাথেই আছে। তারা আগেও ছিলো, এখনও আছে।
‘জাকির খানের মুক্তির জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে আসছি। তার মামলা আমি পরিচালনা করছি। উচ্চ আদালতে গিয়ে তার জামিনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছি। আশা রাখছি সে দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে এসে রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিবেন।
তার পর থেকেই নানা আলোচনা হচ্ছে রাজনীতিক মহলে এদিকে সাখাওয়াত হোসেন খান বলছেন জাকির খানের মামলা আমি লড়ছি সে আমার সাথেই আগামীতে রাজনীতিতে অংশ করবেন। বিপরীতে বন্দরের বিদ্রোহী নেতাদের সকল আন্দোলনের ব্যানারে জাকির খানের ছবির দেখা মিলে এবং জাকির খানের মুক্তির দাবি ও জানান তারা।
এই নিয়ে তৃণমূল নেতাদের মাঝে নানান প্রশ্ন জেগে উঠেছে আগামীতে কোন গ্রুপের সাথে মিলে সকল জাকির খান রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া যুগের চিন্তাকে বলেন, আমরা বাংলাদশে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি করি। আর সরকার বিরোধী আন্দোলনের জন্য যে শক্তিশালী সংগঠন হবে আমরা সেই সংগঠনের পক্ষে। জেল থেকে জাকির খান আমাদের বলেছেন যে নতুন কমিটিটা হয়েছে সেটা একটা গ্রহণ যোগ্য কমিটি হয় নাই। এই কারণে জাকির খানসহ নারায়ণগঞ্জের তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। এই সব কিছু বিবেচনা করে জাকির খান বলেছে এই কমিটিকে বর্জন করো। আর আগামী যদি শক্তিশালী একটা কমিটি হয় সেই কমিটির বিষয়ে যারা মুরুব্বী বা প্রবীন নেতা রয়েছে তাদের সাথে মিশো শক্তিশালী একটি কমিটি গঠন করার জন্য।
আর বর্তমানে যে কমিটি আছে সে কমিটি ও বিদ্রোহীদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে হবে। আর সরকার পতনের আন্দোলনে এই কমিটি একার পক্ষে সম্ভব নয় সামাল দিতে পারবে না কারণ এটা একটা শক্তিশালী কমিটি হয়নি। এই কারণে আমারা তাদের সাথে নেই তিনি আরো বলেন, মহানগর বিএনপির যে আহ্বায়ক কমিটিটি হয়েছে। যে জাকির খানের চাচা মনির খান তাকে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে।
এই মনির খান এর আগে ও কালাম সাহেবের কমিটির মধ্যে সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। সে রানিং নেতা মহানগরের তারই প্রেক্ষিতে মহানগরের একটি পদে আছে।
আর জাকির খানের কোন এই নবাগত কমিটির লোকেদের সাথে নেই এবং তাদের সাথে মিছিল মিটিংয়ে ও জাকির খানের লোকজন যায় না। এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক যুগের চিন্তাকে বলেন, আমর এখন মহানগর বিএনপির নবাগত কমিটির সাথে নেই। আমরা আমাদের নেতা জাকির খানের নির্দেশে বিদ্রোহীদের সাথে মিলে সকল আন্দোলন সংগ্রামে মাঠ গরম রেখেছি। তাই আমরা বিদ্রোহীদের সাথেই আছি নেতার নির্দেশ ছাড়াতো আমরা মিশতাম না। রাজনীতিতে সকলেই কাউরে বা কাউরে মিলে রাজনীতি করে। আর আমাদের নেতা বিদ্রোহীদের পক্ষে থাকতে বলেছে তা কারণ হল।
বিদ্রোহীরা যে বিষয়টা নিয়ে বিদ্রোহ করেছে তাদের সেটা সম্প যুক্তিগত। আর এই কমিটিতে যাকে সেভাবে রাখা দরকার ছিল তাক সেখাে
রাখা হয়নি। আর সেই কারণেই আমরা বিদ্রোহীদের সাথে আছি।
আরো এমন নিউজ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এ নজর রাখতে পারেন। ধন্যবাদ।