ঠান্ডার ঔষধ ঘরোয়া পদ্ধতি

ঠান্ডার ঔষধ ঘরোয়া পদ্ধতি

সর্দিজ্বর হলে বা ঠান্ডা লাগলে কি করবেন তা অনেকেই জানি না একটু ঠান্ডা লাগলেই ঔষধ নিয়ে আসি কিন্তু ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঠান্ডা কমানো যাবে।

image
ঠান্ডা বা জ্বর থেকে মুক্তি পাবার কৌশল আসলে জানা নেই আমাদের যদিও এসব থেকে উপশমের অনেক ব্যবস্থাই জানে অনেক মানুষ। তাই বলে সেসব উপায় যে কাজে আসবেই এমনটাও বলা যায় না তাই না । আর কোন ব্যবস্থা কোন ধরনের সমস্যায় ব্যবহার করা হবে তার ওপরও অনেককিছুই নির্ভর করতে হবে । ঠান্ডা এবং ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকা জ্বর ইনফ্লুয়েঞ্জা যা ফ্লু নামেই অনেক বেশি পরিচিত, এসবের লক্ষণগুলি একইরকম হয়ে থাকলেও এগুলো আসলে ভিন্ন ভিন্ন অসুখ। ঠান্ডা লাগলে আপনি হয়তো খুব অসুস্থ বোধ করেন। কিন্তু ফ্লু আরো বেশি পরিমাণে আপনাকে অসুস্থ করে দেবে এমনকি শয্যাশায়ীও হয়ে পরতে পারেন হয়তো । তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একরকম জ্বর দিয়ে শুরু হয় এসব রোগ আর যখন শেষ হয় তখন আপনি হয়ে যান বেশ কাহিল দূর্বল । জ্বর বা ঠান্ডায় খাবেন কতটুকু? কি পরিমাণ এ বিষয়ে বহু আগে থেকেই মানুষের নানা মত আছে । তবে কার্ডিফে কমন কোল্ড সেন্টার-এর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, জ্বর হলে বেশির ভাগেরই খাবার খাওয়ার আগ্রহ কমে যায়। তাই তাদের পরামর্শ যে, এরকম সময় নিজের শক্তি বাঁচিয়ে রাখতে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই উওম হবে । তবে ক্ষুধা বেশি না পেলে একেবারেই জোর করা উচিৎ হবে না । জবরদস্ত সৈনিকের মতো নাকি শয্যাশায়ী থাকা ? বলা হচ্ছে, নিজের শরীরের মতি গতি অনুযায়ী চলতে হবে । জোর খাটিয়ে কাজ না করে বরং কিছু বিশ্রাম নেয়া শরীলের জন্য অনেক উপকারী ঔষধ হিসেবে কাজ করবে এবং ভালো লাগবে। যতটা ক্লান্তি বোধ হয়, ততখানি বিশ্রাম নেয়াই শরীলের জন্য ভালো হবে । অবশ্য সামান্য ঠান্ডা আপনাকে হয়তো বা আপনাকে বাইরে যাওয়া কিংবা কাজ থেকে বিরত রাখতে পারবে না!

লেবু আর মধু নাকি গরম জলে সামান্য মদ হবে ? যদিও এটি পুরোপুরি প্রমাণিত নয়, তবু বলাই যায় যে হুইস্কির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর গরম পানিতে লেবুর রস ও মধুর মিশ্রণ করলে। ডাক্তাররা প্রচুর পানীয় পানের সুপারিশ করে থাকেন। বিশেষ করে পানি এবং সাথে কিছু পরিমাণ চা বা কফি খেতে হবে । যখন আপনার ঠান্ডা লাগে বা ফ্লু হয় তখন অনেক বেশি হাঁচি, কাশি এবং ঘাম হতে থাকে স্বাভাবিক সময়ের চাইতে বেশি । আর এতে করে শরীর কিছুটা পানি শূণ্যও হয়ে পরে থাকে । আর তাই ঘাটতি পূরণের কথা বলা হচ্ছে যে পরিমাণ মতো গরম পানি পান করতে হবে । তবে, কখনোই মাত্রাতিরিক্ত না । বহু গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত পানি পান বিপজ্জনক হতে পারে এমনকি আপনার মৃত্যুও হতে পারে। প্যারাসিটামল নাকি আইবুপ্রোফেন? দুটোই কার্যকরী। এমনকি প্রয়োজনে প্যারাসিটামল এবং আইবুপ্রোফেন দু’টোই একসাথে ব্যবহার করা যেতে পারে লক্ষণ বুঝে তার পর করবেন । তবে অবশ্যই মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা দরকার । আর আইবুপ্রোফেন খাওয়া উচিৎ ভরা পেটে খেলে ভালো হবে ।

ঠান্ডা লাগলে ;
ঠান্ডা পানি দিয়ে কাজ না করা। একটু বেশি পরিমাণ মতো ঘুমাতে হবে। সব কিছু গরম খাওয়া। ঠান্ডা খাবার না খাওয়া। কালো জিরা থাকলে একটু পর পর চিবিয়ে খাওয়া উচিত কারন, কালো জিরা ঠান্ডা কমাতে সাহায্য করবে। এবং মধু পান করা।

সকালে খালি পেটে মধু আর পানি মিশিয়ে খাবেন।গরম ধুদ খেতে পারলে ঠান্ডার জন্য অনেক উপকারী ঔষধ হিসেবে কাজ করবে।

দুপুরের সময়ে;

বাইরে না গিয়ে, খাবারের পর একটু ঘুমাতে হবে, ঘুমালে ঠান্ডার ঋাবটা কিছুটা কমে যাবে। ঘুম থেকে উঠে গরম ধুদ খাবেন তখন নিজে বুজতে পারবের ঠান্ডা একদম কমে গেছে।

কালোজিরা রসুন ;

আমরা জানি কালোজিরা ঠান্ডার জন্য অনেক উপকারী ঔষধ হিসেবে কাজ করে। ঠান্ডা লাগলে কালোজিরা আর রসুন , কাচা মরিচ দিয়ে ভর্তা তৈরি করতে পারেন। এটা আপনার ঠান্ডা কমাতে সাহায্য করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *