ত্যাগের অভ্যাস থাকতে হয়।
সবার আগে নিজের কথাই ভাবতে হবে। ক্ষতি নেই। বরং এটাই হওয়া উচিত। আগেই বলেছি, নিজের মৌলিক ক্ষতি করে অন্যের উপকার করা অর্থহীন।
ত্যাগের অভ্যাস থাকতে হয়
তবে সহনীয় ক্ষতি মেনে নিয়ে যদি অন্যের মৌলিক দুর্দশা লাঘব করা যায় তাহলে খুবই ভালো। এক্ষেত্রে ত্যাগের অভ্যাস থাকতে হবে। তা না হলে নিজের জীবন বিলাসিতায় ভাসলেও অন্যের অনাহারে মন গলবে না।
স্বজনদের অনাহারী রেখে নিত্যদিন ভালো খাবার ভরপেট খেতে আপনার বিবেকে লাগবে না, অনুতাপও হবে না। এখানে আপনি একটু ত্যাগ স্বীকার করতেই পারেন।
ত্যাগের অভ্যাস থাকতে হয়
তবে সেই অভ্যাস না থাকলে আপনি সেটা পারবেন না। ফলে সমাজে সবাই আপনাকে নিষ্ঠুর, নির্দয় বলেই জানবে।
এক্ষেত্রে কী করবেন ?
(ক) ছোট ছোট ত্যাগ স্বীকার করে ত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলুন। মনে রাখবেন, ত্যাগ স্বীকার অভ্যাসের ব্যাপার।
(খ) ভেবে দেখুন, সম্পদ নিয়ে কবরে যাবেন না। অথচ ত্যাগের মহিমায় আপনি ইহজগতেও মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা পাবেন। এতে ইহকালে তৃপ্তি পাবেন, পরকালেও আপনার মঙ্গল হবে।
(গ) সন্তানদের ত্যাগের অভ্যাস গড়তে উৎসাহিত করুন। এতে আপনার সন্তানরা আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে, আপনারও দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে।
(ঘ) ত্যাগের বিনিময়ে কী পেলেন আর কী হারালেন, ওজন করুন। দেখবেন ত্যাগের পাল্লাই ভারী হবে।