নারীদের ব্যাপারে মুহাম্মাদ (সা.) এর ভবিষ্যদ্বাণী

 

নারীদের ব্যাপারে মুহাম্মাদ (সা.) এর ভবিষ্যদ্বাণী

আসসালামুয়ালাইকুম আমাদের নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নারীদের জান্নাত প্রাপ্তির জন্য অনেক অনেক হাদীস বর্ণনা করে গেছেন তার মধ্যে কিছু হাদিস আজকে আমরা বর্ণনা করব। যে হাদীসগুলো ধারা আমরা বুঝতে পারবো যে আমাদের জান্নাতের জন্য নবীজি হযরত মুহাম্মদ (সা:) কি বাণী গুলো করে গেছেন।সে বাণীগুলো আজকে আমরা নিচে আলোচনা করব।

জাহান্নাম থেকে বাঁচো হে নারী!

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আমি জান্নাতের প্রতি নজর করে দেখলাম অধিকাংশ জান্নাতি হচ্ছে দরিদ্র লোক। আর জাহান্নামের দিকে তাকিয়ে দেখলাম অধিকাংশ জাহান্নামি হচ্ছে নারী।’ (মিশকাত) অন্য হাদিসে এসেছে, “একবার ঈদুল ফিতর অথবা ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাচ্ছিলেন। পথে কয়েকজন নারীর সঙ্গে দেখা হল। নবীজী (সা.) বললেন, তোমরা বেশি বেশি সদকা কর। আমি জাহান্নামে নারীদের সংখ্যাই বেশি দেখেছি। তোমরা মানুষকে অভিশাপ দিতে এবং স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতায় এগিয়ে থাকো।’ (বুখারি)

আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা মন্দ কাজ করেছে মন্দের সাজা তার কাজ অনুযায়ীই হবে। আর তাদের চেহারায় অপমানের ছাপ থাকবে। জেনে রেখ! আল্লাহর আজাব থেকে কেউ তাদের রক্ষা করতে পারবে না। তাদের বীভৎস অবস্থা এই হবে যে, চেহারা যেন অন্ধকারের পর অন্ধকার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে।’ (সূরা ইউনুস, আয়াত : ২৭)। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আগুন তাদের চেহারা ঝলসে দেবে, আর তাতে তাদের চেহারা বিকৃত হয়ে যাবে।’ (সূরা মুমিন, আয়াত : ১০৪)। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আগুনে জ্বলার কারণে জাহান্নামিদের চেহারা বিকৃত হয়ে যাবে। তাদের ঠোট কুঁচকে যাবে, মুখ ঝলসে যাবে।’ (তিরমিযি)

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘কোনো জাহান্নামিকে যদি দুনিয়াতে পাঠিয়ে দেয়া হয়, তা হলে তার বীভৎস চেহারা দেখে পৃথিবীবাসী ভয়ে মরে যাবে।’ হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা কাঁদ। কাঁদতে না পারলে কাঁদার অভিনয় করো। কারণ, জাহান্নামিরা এত কাঁদবে যে, এর ফলে তাদের চোখ দিয়ে নালার মত গর্ত হয়ে যাবে। একপর্যায়ে অশ্রুও ফুরিয়ে যাবে। তখন চোখ দিয়ে রক্ত ঝরবে।’

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে নারী মৃতের জন্য বিলাপ করে কাঁদে, কিন্তু তাওবা করে না, কিয়ামতের দিন তাকে এমনভাবে উঠানো হবে যে, তার একটি জামা হবে গন্ধকের আরেকটি জামা হবে খুজলির। অর্থাৎ শরীরে খুজলি সৃষ্টি করে দেয়া হবে এবং এর ওপর গন্ধকের তেল মাখিয়ে দেয়া হবে।’ (মুসলিম)। আল্লাহ বলেন, অতএব যারা কাফের ছিল তাদের পোশাক হবে আগুনের তৈরী।’ (সূরা হজ্জ, আয়াত : ১৯)

রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদীসগুলো ধারা আমরা বুঝতে পারি যে আমরা যদি এরূপ কাজগুলো করি তাহলে অবশ্যই আমরা জাহান্নামে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য আমাদের এই কাজগুলো থেকে বিরত বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে কাজগুলো থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুক এবং নেক আমল করার তৌফিক দান করুক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *