পাওয়া যাবে ক্লিন গ্যাস, চাপও বাড়বে তার জন্য গ্যাস থাকবে না আরো সাত দিন
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই দিনের বেলায় গ্যাস না থাকার অভিযোগ চলছে। অনেক এলাকায় গ্যাস থাকলে ও চাপ এতই কম যে রান্না করাই দুরূহ হয়ে পরেছে ।
এই অবস্থায় গ্যাসের ভোগান্তি কিছুটা কমাতে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ( জিটিসিএল ) সঞ্চালন লাইন পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ ।
গ্যাস লাইন পরিষ্কারের কারণে আগামী সাতদিন (৬ থেকে ১২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ অংশের আংশিক এলাকা , জিঞ্জিরা , কেরানীগঞ্জ , মেঘনাঘাট , সোনারগাঁও , হরিপুর , নারায়ণগঞ্জ , ফতুল্লা এবং মুন্সীগঞ্জ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্ন ঘটতে পারে অথবা স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ ।
তিতাস বলছে , এই পাইপ লাইনের কাজের পর ক্লিন গ্যাস পাবে গ্রাহকরা , গ্যাসের চাপও বাড়বে বলে জানান
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বাংলা বেস্ট অফ টু ডে কে জানান , পাইপলাইনটি দিয়ে গ্যাসের সঙ্গে ময়লা আসছিল, এটি পরিষ্কার ও করা জরুরি ছিল। এক সপ্তাহ কিছুটা সমস্যা হলে পরবর্তীতে শিল্প ও আবাসিক গ্রাহকরা ক্লিন গ্যাস পাবেন বলে জানান । পাশাপাশি কিছু কিছু এলাকায় গ্যাসের চাপ বাড়তে পারে।
তিনি আর ও বলেন ,
কিছু কিছু এলাকায় এখন যে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না তার প্রধান কারণ আমাদের জ্বালানি সংকট। তিতাসের অধীন এলাকায় যে পরিমাণ চাহিদা তার চেয়ে কম গ্যাস পাচ্ছি আমরা । সুতরাং কিছু কিছু এলাকায় চাপ কম থাকছে গ্যাসের ।
তিতাস জানায় , আগামী ৬ নভেম্বর রবিবার হতে ১২ নভেম্বর শনিবার পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহে সমস্যা হতে পারে বলে জানান ।
এমনিতে এসব এলাকায় গ্যাস ঘাটতির কারণে চুলাত জ্বলেই না। তার ওপর সাত দিনের এই ঘোষণায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঘরের গৃহিণীরা।
জিঞ্জিরা থেকে আবুল খায়ের জানান , এমনিতেই দিনের বেলা গ্যাসের চুলা জ্বলে খুব টিম টিম করে। এই অবস্থায় আর ও যদি সমস্যার কথা বলে তাহলে তো রান্না করাটাই সমস্যা হয়ে যাবে গৃহিণীদের জন্য ।
কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা রুমানা করিম জানান , দিনের বেলা গ্যাসের একেবারে চাপ কম থাকে।
তাই খুব ভোরে উঠেই রান্নার কাজ সেরে ফেলি। এরপর আবার রাতে বেলায় গ্যাস এলে রান্না করি। এরমধ্যে যদি আর ও গ্যাসের সমস্যা হয় তাহলে ভোর বা রাতে ও যদি গ্যাস না পাই তখন কী হবে ?
নারায়ণগঞ্জের সেবিকা রানি জানান ,
গ্যাসের সমস্যার সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিয়েছিলাম এই অব্দি ।নিয়ম করেই গ্যাস চলে যায়,সকালে গ্যাস যাওয়া রাত্রিবেলা গ্যাস আস । আমরা হয় এর আগেই রান্নার কাজ শেষ করি নিয়ম করে । তা না করতে পারলে এলপিজি সিলিন্ডার কিনে রেখেছি তাতে কাজ সেরে নেই আমরা ।
এই অবস্থায় সাত দিন যদি আর ও গ্যাস না পাওয়া যায় তাহলে তো বিপদেই পড়তে হবে আমাদের।নারায়ণগঞ্জে কিছু কিছু এলাকা জুড়েতে এখনো রান্না হয় গ্যাস সংকটে মাটির চুলায়।মানুষ লাখ লাখ টাকা খরচ করে গ্যাস সংযোগ নেয়।
তাও নিয়মিত গ্যাস পায় না,বাড়িওয়ালাদের ভাড়া কমাতে হচ্ছে,ভাড়াটিয়ারা স্বল্প আয়ে ঘর ভাড়া দেবে, নাকি এলপিজি কিনবে।বাধ্য হয়ে বাড়িওয়ালাদের ভাড়া কমাতে হচ্ছে।তার উপরে যদি আরো সাত দিন গ্যাস না থাকে তাহলে বিপাকে পড়তে হবে এলাকাবাসীর।