প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দর হওয়ার উপায়
প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার সহজ কিছু উপায় রয়েছে।
১. ২ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ২ টেবিল চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং আধা টেবিল চামচ বাদামের তেল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে ১৫ -২০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন । তারপর পরিষ্কার করবেন । এই প্যাকটি মুখে শাইন আনবে আর রোদে পোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করবে ।
লেমন দুধ বাদাম তেল মধু – তৈরি
২. বেসন, দুধ ১ চা চামচ এবং লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে, গলায় লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। সপ্তাহে ১ বার এটা লাগাবেন আপনার গায়ের রঙ অবশ্যই উজ্জ্বল হতে সাহায্য করবে ।
৩. আমরা সবাই কমলা খেয়ে খোসাটা ফেলে দেয় । অথচ এই ফেলনা জিনিসটাই আপনাকে পৌছে দিবে আপনার স্বপ্নের অনেক টা কাছাকাছি। কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিবেন । তারপর মিহি করে গুঁড়ো করে নিবেন । তারপর ২ টেবিল চামচ গুঁড়োর সাথে ২ টেবিল চামচ টক দইয়ের পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে কমলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা যায়।
৪. ঝকঝকে ত্বকের জন্য চন্দন গুঁড়োর অবদান অনেক বেশি । চন্দন গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে প্রত্যেক দিন হালকা হাতে ম্যাসাজ করবেন । অল্প দিনের মধ্যে আপনার মুখে হাসি ফুটবে।
মিল্ক ও চন্দন গুঁড়ো দিয়ে মূখে ঘসুন।
৫. আপনার যদি টমেটোতে অ্যালার্জি না থেকে থাকে তাহলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে টমেটো পিউরি মিশিয়ে মুখে মাখুন এবং গলায় ব্যবহার করবেন ফর্সা ত্বকের জন্য এবং ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন ।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে টমেটো ও লেমন প্যাক তৈরি করুন।
৬. আধা কাপ চায়ের লিকার (ঠাণ্ডা) নিবেন। ১ চামচ চালের গুঁড়ো, ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগাবেন । চালের গুঁড়ো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করবে আর মধু মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে ।
চালের গুঁড়ো ও চায়ের লিকার নিবেন।
৭. শশার রস আর মধু সমপরিমাণ নিয়ে ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখবেন । এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। তৈলাক্ত ত্বকে মধুর বদলে লেবু ব্যবহার করতে পারেন ।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে মধু শসা ও লেবুর প্যাক তৈরি করুন।
৮. সপ্তাহে একবার পাকা কলা চটকিয়ে মুখে লাগাবেন আর ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন। মুখে লুকিয়ে থাকা সব ময়লা নিমিষেই পালিয়ে যাবে আর আপনি হয়ে উঠবেন আরো আকর্ষণীয সুন্দর।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে কলা সাহায্য করে।
৯. ১ টেবিল চামচ বেসন, ১ চিমটি কাঁচা হলুদ, ২-৪ ফোঁটা লেবুর রস আর ২ চা চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলবেন। মুখে ১০ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে থাকবেন এই প্যাকটি। তারপর ১৫ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। তবে মনে রাখবেন হলুদ কিন্তু সবার ত্বকের জন্য না ়। তাই আগে একটু টেস্ট করে নিবেন কাঁচা হলুদ আপনার বন্ধু না শত্রু হয় ।
ফর্সা হতে হলুদের প্যাক তৈরি করুন।
১০. কাঁচা আলুর রস অথবা আলু পাতলা করে কেটে অথবা আলুর পাল্প দিনে ১ বার করে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাবেন।
ফর্সা হতে আলুর প্যাক তৈরি করুন.
আশা করছি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় ও টিপসগুলো আপনাদের কাজে দিবে। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন উপাদানগুলোর সাথে আপনার ত্বক মানিয়ে নিতে পারবে কিনা। আপনার এক বন্ধু বা আত্মীয় এক উপাদান দিয়ে উপকার পায় বলে আপনিও পাবেন এমন কোন কথা নেয় । সেজন্য আমি বিভিন্ন উপাদানের ফেসপ্যাকের রেসিপি দিয়েছি। সব সময় আগে অল্প করে হাতে লাগিয়ে দেখবেন কোন ধরনের চুলকানি কিংবা জায়গাটা লাল হয়ে যাচ্ছে কি না। তারপর পছন্দসই প্যাকটি বেছে নিবেন ।
ডিসক্লেইমার: “ফর্সা ত্বক সৌন্দর্যের একমাত্র মাপকাঠি না।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় তো জানতে পারলেন। এখন কথা হলো প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য যে উপাদানগুলোর কথা বললাম অনেক সময় এ সকল উপাদান সংগ্রহ করে তা মূখে লাগাতে পারুন।