বন্ধুত্বের গল্প
বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবচাইতে বেশি অমূল্য। যেটা দরে রাখতে গেলে আমাদের অনেক সময় অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয়। বন্ধুত্ব এমন একটা জায়গা যেখানে চাইলেই আমরা সবকিছু শেয়ার করতে পারি। আমাদের হাসি কান্না দুঃখ সব কিছু যা আমরা হয়তো বা অনেক সময় আমাদের ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারিনা।মানুষ বলে না মানুষ যদি প্রকৃতপক্ষে কোন বন্ধু একবার খুঁজে পায় তাহলে নাকি তার লাইফে আর কোনোদিন কষ্ট থাকে না।আমরা যখন আমাদের কষ্ট গুলো অন্য কারো সাথে শেয়ার করি সে কষ্ট কিন্তু একেবারে হালকা হয়ে যায়। আমরা মনটাকে অনেক হালকা ফিল করি। ঠিক ওইরকম ভাবে আমরা যদি বুঝি বা জানি জানতে চেষ্টা করি তাহলে দেখব আমাদের প্রকৃতপক্ষে একটা বন্ধুর প্রয়োজন যে বন্ধুর সাথে আমরা আমাদের সব কথা গুলো অনায়াশেই বলতে পারি।এমন ভাবে বলতে পারি যে তার কাছে যেমন তার কাছে আমাদের কোন কিছুই বলতে দ্বিধাবোধ না হয়। ঠিক ওরকমই বন্ধুত্বের এক গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম আজকের গল্পে আমরা।
আজকের গল্প বেস্ট ফ্রেন্ড বেস্ট ফ্রেন্ড এমন একটা ওয়ার্ড যা হয়তো আমরা ভাষায় প্রকাশ করে বুঝাতে পারব না। তো যাই হোক আমার বেস্ট ফ্রেন্ড যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ 5 ওয়াক্ত নামাজ পড়েন সত্যি কথা বলে।
সত্য পথে অনেক মেহনত অনেক ভালো একটা মনের মানুষ।
স্কুল ছারার পরে অনেক বছর পরে ফ্রেন্ডের সাথে দেখা। তার সাথেও দেখা তার সাথে আবার কথা বলা তার সাথে কথা বলার পর একদিন হুট করে বলে আরে ভাই তুমি তুমি তো এখন আমাকে সেই আপনি আপনি করে বল। আমাকে আপনি আপনি বলবে না তো আমি প্রশ্ন করলাম কি বলে ডাকবো। সে আমাকে উত্তর দাল। কেন তুমি করে বলবেন ফ্রেন্ড ফ্রেন্ড কি বলে ডাকে তুই না। আমাকে কেন আপনি আপনি বলেন।আমি কি সিনিয়র পরে বললাম ও আচ্ছা ঠিক আছে। একটু সময় লাগবে তুমি বলার চেষ্টা করব।
এখন তো ভাবতেই হাসি পায় এখন আমরা দুজন দুজনকে তুই করে বলি। আমার বন্ধুরা আজকে আমার পাশে নেই বাট আমি তোকে অনেক অনেক মিস করি। আমাদের শুরুটা খুব সুন্দর ছিল।আমি একটু ইমোসনাল ছিলাম ।কেউ কিছু বলেই কান্না করে দিতাম। তাই সব সময় ও আমার সাথে কথা বলতে আর বলতো ভাই ঝগড়া কর প্লিজ কান্না করিস না। তুই কান্না করলে না ভালো লাগে না।একটু কিছু হইলেই কান্না করোছ এত ইমোশনাল কেন তুই। আমি তকে এর জন্য আমি একটা কথা বলি ওরা যে রকম করে ইগনোর করে তুই করিস না কেন।তখন আমি বলতাম আমি তো পারি না পারিনা করতে ওরা যেন আমার সাথে এরকম করে।তখন বলত কেন কেন পারবি না অবশ্যই পারবি। যখন ফ্রি থাকো বেশিরভাগ সময় অনলাইনে থাকবি না। অনলাইনে কেন থাকিছ। জানেনও কিন্তু সারাদিন অনেক বিজি থাকে। সারাদিন প্রচণ্ড কাজ করে তারপর কাজের ফাঁকে আমার খবর নিত। তখন ভাবতাম যে আসলে শুধু শুধুই নিজের ব্যস্ত দেখায় ওরা।ওর মত মানুষ যদি আমার খবর নিতে পারে তাহলে ওরা তো তার তুলনায় কোনো ব্যস্ততা নেই।তাদের কাছে যাই হোক মানুষ বলে না যদি খবর নিতে ইচ্ছে থাকে তাহলে হাজার ব্যস্ততার মাঝেও আমরা আমাদের প্রিয়
মানুষটার খবর নিতে পারি।আর আমার বন্ধুরা সবসময় আমাকে বলতো যদি তোর কখনো কোন জিনিসের দরকার পড়ে তাহলে সাথে সাথে কিন্তু আমার ফোন দিছ। আবার চুপচাপ ঘরে বসে থাকিস না। যে তোর এইখানে কেউ নাই কেউ খবর নিতে পারে না। তোর মেয়ের কী খবর প্রতিদিন মাদ্রাসায় দিয়ে আসস তো। মাদ্রাসায় প্রতিদিন দিয়ে আসবি হাইটা যাবি হাইটা আসবি তোর ওজন কমবে। হঠাত একদিন ওর সাথে কথা বলতে বলতে একদিন হুট করে বলল কিরে শাকচুন্নি তোর খবর কি।আমি পুরাই হতবাক তুই আমারে শাকচুন্নি বললি কেন।
আমি বললাম আমি শাকচুন্নি আর তুমি কি তুমি কি ভ্যাম্পায়ার। সারাদিন ঘুইরা ঘুইরা কি মানুষের রক্ত চুসে খাও। বললো তুই বললি আর হলো। পরে আমি বললাম যে না
আমি যদি শকচুন্নি হই তাহলে তুই ভ্যাম্পায়ার।তারপরে তারপর থেকে আমরা একজন আরেকজনকে শাকচুন্নি আর ভ্যাম্পায়ার বলেই ডাকতাম।যাইহোক আমার বন্ধুটা সব সময় আমার খবর নিত দুপুরে লাঞ্চের সময় জিজ্ঞেস করতে কিরে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করছ। নাস্তা কি করলি নাকি রাত্রে খাবারের আগে ওর আম্মু যখন ওর হাতে একগ্লাস দুধ আইনা রাকাত। আমাকে ছবিটা পাঠা তোর জন্য আর বাকিটা আমি খাই তুই দেখ।
ওর তো বেড়াল পালার বড্ড সখ। প্রায় সময়ে বেড়ালে লাইক ছবি দিয়ে ভিডিও দিয়ে আমাকে বলতো দস্থ পুষিপুষি অনেক দুষ্টামি করতাম।
একদিন বন্ধু আমার ফোন দিয়ে বলল চল আজকে বাইরে যাব। বললাম কেনো হুট করে বাইরে যাবি কেন তোর তো সময় নাই।পরে বোলো না তুই অনেক বাহিরে ঘুরাঘুরি করতে চাস তোর অনেক সখ আজকে তোরে নিয়া বাহিরে যাব।হঠাত বাইরে যাবি কেন বলল হ্যাঁ যাবো চল তোর কোন সমস্যা। পরে বললাম না আমার তো কোন সমস্যা নাই। আমরা বললাম আম্মু বলল হ্যাঁ যা তারপরে বলল তুই রেডি থাকিস আমি কিন্তু তোরে বাসায় থেকে নিয়ে যাব তারপরে।বললাম ওকে আমি তো রেডি ঐদিন হাত মোজা পা মোজা পড়ে একদম মন মত দারিয়ে। অন্য ফ্রেন্ডের ফোন দেওয়া হলো তা আমি আরেক ফ্রেন্ড আর আমরা তিনজনেই যাব।পরে আমি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে ওর জন্য অপেক্ষা করে তার পর আইসা বলে এটা কি তুই আমি বললাম হ্যাঁ রে ভাই এটা আমি। পরে বলল আরে আমি তো তোরে দেখি পুরাই অবাক যাক আলহামদুলিল্লাহ আমিও চাই তুমি এভাবে চল। তারপরে আরেক ফ্রেন্ডের সাথে দেখা হল।ফ্রেন্ডের সাথে দেখা হওয়ার পরে জিজ্ঞেস করলাম কিরে ভাই তর দেরি কেন।ও বলল আমিতো এখানে দাঁড়িয়ে 1 ঘন্টা যাবত এইখানেই দারিয়ে আছে আর কোথাও যায়নাই।তোদের ওই তো দেরি। পরে আমি বললাম কি ওড়না দেরি পরে মুচকি হেসে দিয়ে বললো আহা বুঝলাম আমার দেরি। পরে বল আজকে তোদের জিজ্ঞেস করবো না কোথায় যামু।আমি যেখানে নিয়ে যাবো তরা যাবি।
ওইখানে যাওয়ার পর বন্ধু আমার খুব সুন্দর করে একটা সংবাদ দিল খুশির সংবাদ কি সংবাদ রে বলতো একটু আমিও শুনি পরে বলল আমি আমি দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছি।পরে হুট করে যেন চোখে পলকে চোখের কোনে পানি এসে পরলো।
পরে বলল কি তুই কি কান্না করতেছছ পাগল।আমি কান্না করব কেন তুই আমি কান্না করব কেন তুই যাবি যা। কোথায় যাইতেছছ পরে বলতেছে তোর হাজবেন্ডের যেখানে গেছে। পরে বললাম ওহে ভালো তাহলে তো আরো ভালো যা।পরে বললো তুই কি আবারও কান্না করতেছেছ আমি বললাম না কান্না করবো কেন। আমার জন্য দোয়া করি।পরে বললাম আমি সবার জন্যই দোয়া করি আল্লাহ তাআলা সবার মনের আশা পূরণ করুক। তার দুদিন পরে আমার বন্ধুটা চলে গেল দেশের বাইরে চলে গেলো। অনেক ব্যস্ত থাকে অনেক বিজি মানুষের ফোন দিতে পারে না।এখনো দোয়া করি আল্লাহ তাআলা ওকে অনেক ভাল রাখুক আমার বন্ধু তারে যেখানেই থাক না কেন।ওই যে বললাম না আমি একটু এমোশনাল তো এ কারণে হয়তোবা। আসলে ওর যাওয়ার কিছুদিন আগে আমার এক বেস্ট ফ্রেন্ড অনেক ক্লোজ বান্ধবী ছোটবেলা থেকে আমরা একসাথে বড় হয়েছি ও দেশের বাইরে চলে গেছে। একটা বেস্ট ফ্রেন্ড আছিল সেও চলে গেছে। মানুষ হুট করে আপনার জীবনে এসে অনেক স্মৃতি রাইখা আবার হুট করে অনায়াসেই চলে যায়।মানুষের রেখে যাওয়া স্মৃতি গুলো আমাদের প্রতিনিয়ত কিন্তু মনে পরে। আমি আমার বন্ধুদের জন্য প্রতিনিয়ত অনবরত মনের অন্তরস্থল থেকে অনেক অনেক দোয়া করি আমার বন্ধুটা যেখানেই থাক অনেক ভাল থাক। জীবনে অনেক উন্নতি করুক আর ওর যেন একটা জীবনসঙ্গী হয় ওর জীবনসঙ্গিনী যাতে ওর জীবনের সবচাইতে বড় পাওয়া হয়।