বাচ্চাদের আকাশে তুলে আবার কোলে নিয়ে আমরা অনেক আনন্দ পাই কিন্ত কত বড় ক্ষতি হবে
একদিন এক ঘটনা হয় ।
মেয়ের বয়স পাঁচ মাস।শীতকাল তখন।উঠোনে মেয়েকে নিয়ে রোদ পোহাচ্ছে ময়না। সকালের রোদ শিশুর জন্য খুব প্রযুক্তি। শিশুকে রোদে শুইয়ে রাখল।
সামনেই সেখানে আসর ঘরের রবিন। ইরা চাচা হয় রবিন। এসই ইরাকে কোলে নিল। হাসান ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন কিছুক্ষণ পর সে ইরাকে আকাশের দিকে আবার বল ক্যার মত ধরছে।
পরিকল্পনা ইরা আরও এগিয়ে চলেছে। ময়নাও হাসছে। মেয়ে যেকোন মেয়েই হাসলে দল। ময়নারও ভালো। আর রবিন কেন!সবাই ই তো খেলা করে শিশুকে নিয়ে। রবিন আবারকে আকাশের দিকে ছেড়ে দিল। ঠিকঠাক মত ক্যাচাও ধরল।
কিন্তু একি হল ?
ইরা হাসছে না। দেখ বন্ধ করে আছে। রবিন ভয় পেয়ে গেল। ময়নাকে ডাক দিল। ময়না দৌড়ে এসে ইরাবকে কোলে নিল ইরাকে নানানক ডাকতে শুরু করল। কিন্তু না!ইরা দেখতে খুলছে না।
চিৎকার করে কেঁদে উঠল ময়না। ঘরের সব মানুষ এসে ভিড় করে। সাধ্যমতো চেষ্টা করে ইরাকে জাগানো। কেউ ই পারল না। উঠোনে শুয়ে গড়াগড়ি নিজের কাছে ময়না। তাড়াতাড়ি ছাত্র নিয়ে নেওয়া হল ইরাকে। ইমার্জেন্সিতে নেওয়ার পর ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলতে ইরা মারা গেছে। আর হাসবে না সে।
চিরদিনের জন্য তার হাসি বন্ধ হয়ে গেছে। অজ্ঞান হয়ে যায় ময়না। খেলা মেয়েকে হারানোর কথা সে নিতে পারছে না।
ঘরের উত্তর কবর দেওয়া হয় ইরাকে। রাতের বেলা পাগলের মত আচরণ করে। মেয়ে কবরের কাছে দৌড়ে যায়। বিড়বিড় করে কথা বলে! ইরাকে ভুলতে পারছে না। মনে দাওয়া করছে না।
শুকিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনার ব্যাখ্যাঃ- শিশুদের আকাশে আবার কোলে নিয়ে আমরা অনেক আনন্দ পাই। কিন্তু শিশুদের দেখা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ম্যাচি হতে অনেক দিন সময়। খুব দ্রুত সংবাদ পেতে পারে। ইরা যখন বারবার উপরে উঠলো তখন গ্রাভিটার এস্টে তাকে বারবার উপরে উঠার উপরে তার ব্রেইনের সাথে খুলির খুলির বারবার ধাক্কা ছিল।
যেমন তার ব্রেইন টাও নরম আর মাথা হাড়টাও নরম তাই হাড়ের সাথে বারবার ধাক্কা তার ব্রেইনের ধমনী আমি পড়ে যাই। ধমনী শিরাতে রক্তপাত করে। ব্রেইনের ধমনী আমি রক্তক্ষরণ শুরু করি মাথার ভিতরে।রক্তে থাকে গ্লুকোজ।
গ্লুকোজ না গ্রুপ ব্রেইন ৪-৫ মিনিটের ভিতর মারা যায়।ব্রেইন ডেথ হয় ছোট ইরার। তাই এসব ব্যাপারে সঠিকভাবে জানতে হবে,সতর্ক হতে হবে, সামান্য একটি ভুলের কারণে আমরা আমাদের প্রিয়জনকে হারাতে পারি খুব সাবধান !