বায়োস কি এর কাজ কি পূর্ণরূপ,বায়োসে কিভাবে প্রবেশ করতে হয় এবং কিভাবে কাজ করতে হয় ? বায়োসের কাজটা কি?


বায়োস কি এর কাজ কি পূর্ণরূপ, বায়োসে কিভাবে প্রবেশ করতে হয়
বায়োস কি এর কাজ কিবায়োস কি এর কাজ কি পূর্ণরূপ, বায়োসে কিভাবে প্রবেশ করতে হয়
আজ জানবো বায়োস কি, এর কাজ কি, বায়োস এর পূর্ণরূপ কি এবং বায়োসে কিভাবে প্রবেশ করতে হয়। কারণ কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর সকল ডিভাইস কম্পোনেন্ট সংযোগ স্থলে এ্যাসেম্বালিং মেরামতি সার্ভিসিং করতে কম্পিউটার এর বায়োস ফিউচার সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বায়োস হলো মাদাবোর্ডের সাথে সিমোস ব্যাটারী দিয়ে চলিত সিস্টেম মেনু যা কম্পিউটার এর সকল হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্ট এর ডিসপ্লে সরুপ। কম্পিউটার এর প্রতিটা হার্ডওয়্যার কোনটা কি অবস্থায় আছে তা দেখা যায় এবং বায়োস ফাংশনের মাধ্যমে সেটিং করা যায় তাহার বিস্তারি দেখবো নিচে।


বায়োস এর পূর্ণরূপ কি:
কম্পিউটারের প্রতিটা মাদারবোর্ডে বায়োস মেনু থাকে। BIOS এর পূর্ণরূপ হলো- Basic input output system নামক একটি স্পেশাল প্রোগ্রাম। কম্পিউটার এর বায়োস হলো মাদাবোর্ড সিস্টেমের প্রধান মেনু, যেখানে কম্পিউটারের সকল হার্ডওয়্যারের তথ্য ও কম্পোনেন্ট সংযোগ সম্পর্কে জানা যায়। কম্পিউটার রিস্টার্ট করার পর পিসি চালু হওয়ার সময় ডিসপ্লেতে যখন রিবুট মেনু আসে তখন ডিসপ্লেতে নোটিফিকেশন আসে প্লিজ প্রেস DEL, F2, ESC। পিসি চালু হওয়ার সাথে সাথে DEL, F2, ESC প্রেস করেন তাহলে কম্পিউটারে বায়োস মেনু চলে আসবে। বায়োস সিস্টেম সিমোস ব্যাটারী দ্বারা সব সময় চালু থাকে।

সূচীপত্র

  • বায়োস এর পূর্ণরুপ কি  ?
  • বায়োস কি এর কাজ গুলো কি কি ?
  • বায়োস কতো প্রকার ও কি কি ?
  • বায়োস এর কাজ কিভাবে করে ?
  • বায়োস কিভাবে প্রবেশ করতে হয় ?
  • বায়োস মেনু পরিচিতি ?
  • বায়োস মেনুর ফাংশন গুলো কি কি ?
  • Standard CMOS Features.
  • Advance BIOS Features.
  • Advance Chipset Setup.
  • Integrated Peripherals.
  • PC Health Status.
  • কম্পিউটার বন্ধের তাপমাত্রা।
  • সিপিইউ তাপমাত্রা।
  • সিপিইউ ফ্যানের গতি।
  • পূর্ব নিধারিত সেটিং।
  • Save and Exit Setup.
  • Exit Without Saving.
  • বাস কি কাকে বলে (BUS).
  • ডেটা বাস কি কাকে বলে ?
  • এ্যাড্রেস বাস কি কাকে বলে ?
  • বায়োস কি কাকে বলে (BIOS)?
  • সিমোস ব্যাটারী কাজ কি?
  • আরো নুতন কিছু শিখুন।

বায়োস কি এর কাজ কি:
BIOS হলো বেসিক ইনপুট আউটপুট সিস্টেম প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামের কাজ হচ্ছে কম্পিউটারের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের মধ্যে তথ্য সরবারহ ও নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং সিস্টেমের হার্ডওয়্যার অনুসারে তথ্য গুলোকে ব্যবহার করা। প্রতিবার সিস্টেম অন করার সাথে সাথে ইলেকট্রনিক্স সিগন্যাল পেয়ে বায়োস কাজ শুরু করে এবং প্রথমেই সে কম্পিউটার তার সকল বায়োস পরীক্ষা করে নেয়। এ সময় সিস্টেমের মেমোরী, ভিডিও কার্ড, হার্ড ডিস্ক কন্ট্রোলার, মাউস, কীবোর্ড পরবর্তীতে কাজের জন্য এক্সেস দেয়। এবং কম্পিউটারের প্রতিটা সিস্টেম চালু করে।

বায়োস কত প্রকার কি কি:
বর্তমানে পিসি কম্পিউটারে কয়েক ধরণের বায়োস সিস্টেম বেশি দেখা যায়। বায়োস হলো যার দ্বারা কম্পিউটারের কম্পোনেন্ট এর কনফিগারেশন সম্পর্কে জানা যায়। যেমন- পিসি বুটআপ করা এবং সিপিইউ কর্তৃক বিভিন্ন কম্পোনেন্ট তথ্যের জন্য বায়োস ব্যবহার করা হয়। পিসি কম্পিউটারে সাধারণত কয়েক ধারণের বায়োস সিস্টেম থাকে। যেমন-

অ্যাওয়ার্ড বায়োস (Award Bios)
অমি বায়োস (Ami Bios)
ফোনিক্স বায়োস (Phonex Bios)
মাইক্রোইড বায়োস (Microid Bios)
বায়োস এর কাজ কি ভাবে করে :

কম্পিউটারের প্রতিবার সিস্টেম অন করার সাথে সাথে ইলেকট্রনিক্স সিগন্যাল পেয়ে বায়োস কাজ শুরু করে এবং তখন কম্পিউটার তার সকল বায়োস পরীক্ষা করে নেয়। এসময় সিস্টেমের মেমোরী, ভিডিও কার্ড, হার্ডডিস্ক কন্ট্রোলার, মাউস, কীবোর্ড পরবর্তীতে কাজের জন্য এক্সেস দেয়, কম্পিউটারের প্রতিটা সিস্টেম চালু করে। বিভিন্ন মাদারবোর্ড বায়োস সেটআপ ও প্রবেশের নিয়ম বিভিন্ন হয়। বায়োসে প্রবেশের জন্য কিবোর্ডের বিভিন্ন কী ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বায়োসে প্রবেশের জন্য কম্পিউটার রিস্টার্ট করলে DEL, F2, ESC প্রেস ম্যাসেজ প্রর্দশন করে। ম্যাসেজ প্রদর্শন করা মাত্র আপনি যদি সেই কি প্রেস করেন তাহলে বায়োস মেনু ওপেন হয়ে যাবে।

বায়োসে কিভাবে প্রবেশ করতে হয়:
বায়োসে প্রবেশের জন্য কিবোর্ডের বিভিন্ন কী ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বায়োসে প্রবেশের জন্য কোন কি প্রেস করতে হবে তা মাদারবোর্ডর উপর নির্ভর করে। তবে প্রতিবার কম্পিউটার চালু করার সময় ডিসপ্লেতে বায়োস কী নোটিফিকেশন দিয়ে থাকে। যেমন কম্পিউটার রিস্টার্ট করলে DEL, F2, ESC প্রেস ম্যাসেজ প্রর্দশন করে। ম্যাসেজ প্রদর্শন করা মাত্র আপনি যদি সেই কি প্রেস করেন তাহলে বায়োস মেনু ওপেন হয়ে যাবে। বায়োস মেনুতে প্রবেশ করতে হলে কি কী প্রেস করতে হবে জেনে নিন-

Award Bios এ প্রবেশ করার জন্য Ctrl+Alt+Esc বা DEL কী চাপতে হয় তাহলে আসবে।
Ami Bios এ প্রবেশ করার জন্য F2 কী চাপ দিতে হয় তাহলে আসবে।
Phonex Bios এ প্রবেশ করার জন্য DEL কী চাপতে হয় তাহলে আসবে। ‍

বায়োস মেনু পরিচিতি :
প্রতিটা কম্পিউটার এর বায়োস মেনুর ফাংশন একটির সাথে অন্যটি নাও মিলতে পারে। কারণ বায়োসের স্ক্রিন, ভিন্নতা, ভার্সন, উৎপাদনকারীর উপর নির্ভর করে। এজন্য আপনি যেকোন একটি বায়োস সম্পের্কে জেনে নিতে পারেন, তাহলে আপনার প্রতিটা বায়োসের ফাংশন মেনু চেনা হয়ে যাবে। মেনু ডিজাইন আলাদা হতে পারে কিন্তু বয়োসের ফাংশন লিখা গুলো প্রতিটার সাথে মিল থাকে। তাহলে চলুন একটি বায়োস মেনু সম্পর্কে জেনে ফেলি। আশা করি আপনার একটা বায়োস সম্পর্কে জানা থাকলে প্রতিটা বায়োস ফাংশন চালাতে পাবেন।

বায়োস মেনুর ফাংশন:
প্রতিটা কম্পিউটারের বায়োস মেনুতে প্রবেশ করলে নিচের ফিচার এবং ফাংশন গুলো দেখতে পাবেন। যেখান থেকে আপনার পিসির বায়োস সেটআপ করে নিতে পারেন তাহলে চলুন ফাংশন গুলো দেখে নেই।

STANDARD CMOS FEATURES:
বায়োসের প্রথম মেনুটি হচ্ছে Standard CMOS Features। এটি সিলেক্ট করে ইন্টার দিলে নিম্নের অপশন গুলো পাওয়া যাবে সেখান থেকে কাজ করতে পারবেন।

Date (mm/dd/yyyy): স্ক্রীনের উপর দিয়ে প্রথম মেনুটি হচ্ছে Date (mm/dd/yyyy) এখানে সিস্টেমের জন্য তারিখ র্নিধারণ করা হয়।

Time (hh:mm:ss):এখানে উল্লেখিত ফরমেটে সময় যথাযথ ভাবে নির্ধারণ করতে হয় ।

IDE Primary Master
PC IDE Primary Slave
IDE Secondary Master
PC IDE Secondary Slave

উপরোক্ত অপশন গুলোতে IDE ডিভাইস নির্ধারিত করে দিতে হয় কারণ এ অপশন গুলোতে Auto নির্ধারণ করে রাখলে এবং যে কোন হার্ডডিস্ক সংযোজন IDE ডিভইস করা হলে তা ডিস্ক হিসাবে গ্রহণ করবে সহজে কাজ হবে দ্রুত। একই কন্ট্রোলারে যদি একাধিক ডিভাইস নির্ধারণ করা থাকে তাহলে Slave অপশনে দ্বিতীয় অপশনে দ্বিতীয়টি নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেমন- মাদাবোর্ডের এর IDE 1কন্ট্রোলারের যদি একাধিক ডিভাইস থাকে তাহলে দ্বিতীয় ডিভাইসটিকে IDE Primary Slave করে অপশনে নিধারণ করে দিতে হবে।

ADVANCED BIOS FEATURES:
বায়োস সেটআপ এর দ্বিতীয় মেনুটি হচ্ছে যেমন Advanced BIOS Features.এখান থেকে সাধারণত বুটআপ সিকোয়েন্স এবং অন্যান্য কিছু বিষয়ে নির্ধারণ করা হয় তাও একটু বুজে কাজ করবেন। বুটআপ সিকোয়েন্সে প্রবেশ করে প্রথম Boot CD Rom & দ্বিতীয় Boot Hard Disk করতে হয়। মূলত হার্ডডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম দেওয়ার জন্য বুট সিকোয়েন্স পরিবর্তন করতে হয়। আপনি যদি প্রথম বুট সিডিরুম এবং দ্বিতীয় বুট হার্ডডিস্ক না সিলেক্ট করেন তাহলে উইন্ডেজ সিস্টেম দিতে পরবেন না। এজন্য সব সময় এটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ADVANCE CHIPSET SETUP:
VGA Share Memory বায়োস মেনুর এ অপশন দ্বারা র‌্যাম থেকে ভির‌্যাম এ কিছু মেমোরী শেয়ার করা যায় তার এ ক্ষেত্রে মূল মেমোরী থেকে কিছু মেগাবাইট ভিডিও মেমোরীতে যোগ করা যায় অনায়াসে। Fixed Memory- কম্পিউটারে ভিডিও মেমোরী মোট কতখানি তা এই অপশনের মাধ্যমে বোঝা যায়।

INTEGRATED PERIPHERALS

  1. Onboard IDE Controller- এর মাধ্যমে হার্ডডিস্কের IDE Controller বন্ধ ও চালু করা হয় সহজে।
  2. Onboard SATA Controller- হার্ডড্রাইভ সাটা হলে এ অপশনের মাধ্যমে তা চালু বা বন্ধ করা যায় সহজে।
  3. Onboard LAN Controller- এর দ্বারা নেটওয়ার্ক লাইন বা ল্যান লাইন বন্ধ ও চালু করা যায় সহজে।
  4. Onboard Audio Controller- মাদারবোর্ড থেকে সাউন্ড চালু বা বন্ধের কাজে ব্যবহার করা হয় সহজে।
  5. Onboard USB Controller- এই অপশনের মাধ্যমে পিসিতে প্রেনড্রাইভের লাইন বন্ধ বা চালু করা যায় সহজে ।

PC HEALTH STATUS:
কম্পিউটার বন্ধের তাপমাত্রা :
Shutdown Temperature এই অপশনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা যায় যে কত তাপমাত্র হলে কম্পিউটার বন্ধ বা রির্স্টাট হবে ও Default ভাবে এটি Disabled থাকে পারে বা থাকতে ও পারে আপনি মনে করলে তাপমাত্র ঠিক করে রাখতে পারেন।

সিপিইউ তাপমাত্রা:
CPU Temperature- কম্পিউটারের ভিতরে বর্তমানে কত তাপমাত্র আছে তা এর মাধ্যমে জানা যায়। এটি সেলসিয়াস ও ফরেনহাইটে দেখানো হয়।

সিপিইউ ফ্যানের গতি:
CPU fan Speed- সেন্ট্রাল প্রেসেসরের উপর যে ফ্যান আছে তা মিনিটে কত দ্রুত ঘরছে তা এই অপশনের মাধ্যমে বোঝা যায় খুব সহজে তাহা। ফ্যানের স্পিডের একক আরপিএম আরপিএম দ্বারা ফ্যানের গতি মাপা যায় । আপনি ইচ্ছা করলে এ আপশন থেকে সিপিইউ এর ফ্যান পরিক্ষা করতে পারেন।

পূর্ব নিধারিত সেটিং:
Load Default Setting- BIOS-এর অপশন গুলো পরিবর্তন করার সময় অনেক সময় ভূল বসত: অনেক অপ্রত্যাশিত অন্যকোন অপশন পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার কারণে কম্পিউটাররের কোন সমস্যা হলে বায়োসকে আবার পুনরায় সাজানের জন্য এই ফিসাস Load Default Setting. দিলে আগে কার সেটিং চলে আসে ফলে আবার ঠিক হয়ে যায়। Load Default Setting আপশন সিলেক্ট করে ইন্টার দিলে OK আর Cancel অপশন আসবে OK সিলেক্ট করে ইন্টার দিলে Load Default Setting হয়ে যাবে।

SAVE & EXIT SETUP:
বায়োস অপশন পরিবর্তন করার পর তা সেভ করে বের হতে হলে এইটা সিলেক্ট Save & Exit Setup option. অপশন সিলেক্ট করে ইন্টার দিলে আপনি যে ফাংশন গুলো সেট বা পরিবর্তন করেছেন তার পরিবর্তত সেভ হয়ে যাবে এবং কম্পিউটার চালু হয়ে যাবে কিছুক্ষন সময় নিয়ে।

EXIT WITHOUT SAVING:
আপনি বায়েসে কাজ করার পর যদি কোন অংশ পরিবর্তন করতে না চাইলে তাহলে Exit without saving অপশন সিলেক্ট করে ইন্টার দিলে আর কোন অপশনের পরিবর্তন না হয়ে কম্পিউটার রির্স্টারট হয়ে চালু হয়ে যাবে খুব সহজে। তবে কিছু সময় সময় নিবে

বাস কি কাকে বলে (BUS):
যে সিস্টেমের মাধ্যমে সিপিইউ বিভিন্ন কম্পোনেন্ট ও ডিভাইস যেমন­ হার্ডডিস্ক, মাউস, প্রিন্টর, কীবোর্ড, স্ক্যানার ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাকে বাস বলে থাকে বাস দুই ধরণের হয়ে থাকে যেমন :

ডেটা বাস (Data BUS)
এ্যাড্রেস বাস (Address BUS)


ডেটা বাস কি কাকে বলে :
তথ্য আদান প্রদান করার যে জন্য যে বাস সিস্টেম ব্যবহার করা হয় তাকে ডেটা BUS বলা হয় বা ব্যবহার করা হয় । ইহা প্রসেসর থেকে র‌্যাম, র‌্যাম থেকে প্রসেসর এবং মাদারবোর্ডে এর অন্যান্য কম্পোনেন্ট গুলোর মধ্যে ডেটা আদান প্রদান করে থাকে তার পর কাজ হয় । এজন্য এক ডেটা বাস (BUS) বলা হয়ে থাকে।

এ্যাড্রেস বাস কি কাকে বলে:
যে বাস সিস্টেম ডেটার অবস্থান বলে দেয় তাকে এ্যাড্রেস বাস বলে এবং তার এ্যাড্রেস বাস ডেটা বাসের মতই এ্যাড্রেস বাস কোন ডেটা স্থানান্তর করে না তখন বরং ডেটা মেমেরী কোন জায়গাতে অবস্থান থাকে তাহলে তার এ্যাড্রেস বহন করে সিস্টেমে সংরক্ষণ করে রাখে।

বায়োস কি কাকে বলে (BIOS):
যে প্রোগ্রামের মাধ্যমে কম্পিউটারের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের মধ্যে তথ্য সরবারহ নিয়ন্ত্রণ ও সিস্টেমের হার্ডওয়্যার অনুসারে তথ্য গুলোকে ব্যবহার করে। প্রতিবার সিস্টেম চালু করার সাথে সাথে ইলেকট্রনিক্স সিগন্যাল পেয়ে কাজ শুরু করে সিস্টেমের মেমোরী, ভিডিও কার্ড, ডিস্ক কন্ট্রোলার, কীবোর্ড পরবর্তীতে কাজের জন্য এক্সেস দেয় এবং কম্পিউটারের প্রতিটা সিস্টেম চালু করে তাকে বায়োস বলে। BIOS শব্দের পূর্ণরূপ হলো Basic input output system নামক একটি স্পেশাল প্রোগ্রাম

সিমোস কি কাকে বলে CMOS :
প্রতিটি মাদারবোর্ডে একটি ভিন্ন র‌্যাম চিপস্ রয়েছে যাকে বলে সিমোস। এটি একটি রানিং মেমোরী যা কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও মেমোরী চালু থাকে। একটি ছোট কয়েনের মত লিথিয়াম অয়ন ব্যাটারী দিয়ে সিমোস সব সময় চালু রাখা হয়। যা একটি কম্পিউটারে কনফিগারেশনের বেসিক তথ্য কম্পিউটার বন্ধ থাকা অবস্থাতেও সংরক্ষণ করে থাকে।

সিমোস ব্যাটারী কাজ কি এর ব্যবহার কি :
সিমোসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সংরক্ষিত ডাটা সিস্টেমের টাইম ডেট যা রিয়েল টাইম ব্লক দিয়ে আপডেট যোগ্য করে। যখন কম্পিউটার বন্ধ করা হয় তখন এর লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী সিমোস র‌্যামে পাওয়ার সরবরাহ করতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না কম্পিউটার পাওয়ার পুনরায় অন করা হয় এই সিস্টিম গুলো ফলো করে কাজ করুন।

আশা করছি বায়োস কি এ সম্পর্কে পুরো বিষয় বুঝতে পেরেছেন আমার কথা গুলো । আপনি যদি কম্পিউটার এর একটা বায়োস মেনু সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারেন তাহলে সব বায়োস সম্পর্কে আপনার ধারণা চলে আসবে। কম্পিউটারের বায়োস সম্পর্কে যদি আরো কিছু জনার থাকে তাহলে কমেন্ট করতে ভূলবেন না এবং আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন।

নতুন নতুন আপডেট পেতে এবং অন্য কেটাগরি দেখতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *