বিবি হাজেরা(রাঃ)

বিবি হাজেরা(রাঃ)

যৌবনে ভূবন মোহিনী রূপ-লাবণ্য ধৈর্যের সম্রাজ্ঞী, মা হাজেরা। বিশ্ব
বিখ্যাত জমজম কুয়া পানির এক বরকতময় উৎসে পরিণত হয়েছে, আজও
লক্ষ লক্ষ মানুষ সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দৌড়া-দৌড়ি করছে যার অনুকরণে
তিনি সেই মা হাজেরা। তিনি জন্ম নিয়েছিলেন মিশরের এক মধ্যবিত্ত
পরিবারে । পিতা মাতা তাদের সুযোগ্য কন্যাটিকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিতে
লাগলেন। তার ভূবন-মোহিনী রূপ-গুণের সুখ্যাতি সারাদেশে ছড়িয়ে
পড়লো। দেশ-বিদেশের বহু পাত্রের পক্ষ থেকে হাজেরার বিয়ের প্রস্তাব
আসতে লাগলো । হাজেরার আর কোন ভাই বোন ছিল না। ইতোমধ্যে তার
পিতার ইন্তেকাল হয়ে গেল, তার মা দিবানিশি চিন্তা করতে লাগলেন,
কিভাবে তার সুন্দরী কন্যা হাজেরাকে পাপীদের হাত হতে রক্ষা করবেন।
কেননা, ঐ সময় মিশরের বাদশাহ্ ছিল সাদুন। সে এমন কামুক ছিলো যে
সে যদি কখনও জানতে পারত যে, অমুক স্থানে এক সুন্দরী-যুবতী আছে,
তাহলে আর রক্ষা ছিল না। যেমন করেই হোক তাকে ছিনিয়ে এনে
যৌনক্ষুধা মিটিয়ে ছাড়তো। মিশরের টেনা নগরীতে প্রতি বৎসর এক মেলা
বসত । পিতার জীবিত অবস্থায়, তার সঙ্গে হাজেরা অনেকবার সেই মেলায়
গিয়েছিলেন । তিনি এবারও মাতার সাথে মেলায় গেলেন। এদিকে বাদশাহ
সাদুন ও তার প্রধান উজির এমরান ঐ মেলায় গেল । বাদশাহ সাদুন হাজেরার
রূপ দেখে অস্থির হয়ে উজির ইমরানকে বললো, হে উজির এমন সুন্দরী
যুবতী এই রাজ্যে থাকা সত্ত্বেও তুমি তাকে আমার কাছে হাজির করনি কেন?
অথচ এটাই ছিল তোমার প্রধান কাজ। যাও তুমি এই মুহূর্তে ঐ সুন্দরী
যুবতীকে আমার সামনে হাজির করো নচেৎ তোমার গর্দান যাবে । বাদশাহর
আদেশে তখনি উজির তার কয়েকজন সাথী নিয়ে হাজেরাকে খুঁজতে বেরিয়ে
গেল । এদিকে হাজেরা তার মা সহ মেলার এক পাশ দিয়ে বেরিয়ে ছুটে
চললেন। এমরান সব অলি গলি খুজেও হাজেরাকে না পেয়ে ভয়ে অস্থির
জাহাপনা

4
হয়ে গেলো। আর বাদশাহর পায়ে পড়ে ক্ষমা চেয়ে বলল,
যেভাবেই হোক ঐ সুন্দরীকে আমি আপনার সামনে হাজির করবই । আমার
প্রাণ ভিক্ষা দিয়ে আমাকে সুযোগ দিন। বাদশাহ বললো ৭ দিনের মধ্যেও যদি
ঐ সুন্দরী যুবতীকে আমার সামনে হাজির করতে ব্যর্থ হও, তাহলে তোমাকে
মাটিতে গেড়ে পাথরের আঘাতে হত্যা করা হবে। এদিকে হাজেরা ও তার মা তাদের ঘরে ঢুকেই হাজেরা কান্না বিজড়িত

কণ্ঠে বললেন, আম্মাজান
আমার মনে হয় এই ঘরে আমার আর এক মুহূর্তও থাকা উচিৎ হবে না
বাদশাহর লোকজন হয়তো এক্ষুনি এখানে এসে পৌছুবে। আমি এই রাত্রের
অন্ধকারেই কোন গভীর অরণ্যে চলে যাই। আপনি আমাকে দোয়া করুন
যেন আল্লাহ পাক আমার ইজ্জত রক্ষা করেন। মা, তার কলিজার টুকরা
হাজেরাকে বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বললেন। মা তোমাকে আমি
একা যেতে দিব না আমিও সাথে যাব। হাজেরা বললো মা আমাকে বনে বনে
দৌড়ায়ে পালাতে হবে। আপনি এই দুর্বল শরীর নিয়ে দৌড়াতে পারবেন না।
আমাকে বিদায় দিন । আমি চললাম। আমি সুযোগ পেলে আপনাকে দেখে
যাব। হাজেরা অত্যাচারী বাদশাহ সাদুনের ভয়ে রাত্রে নিজ গৃহ ত্যাগ করে
গভীর অরণ্যের পথে চলতে লাগলেন। আর তার দুঃখিনি মা ঘরের দরজায়
দাঁড়িয়ে রইলেন। তার দুঃখে বুক ফেটে যাচ্ছিল। তিনি ওজু করে এসে
ফজরের নামায পড়ে দু’হাত তুলে হাজেরার জন্য দোয়া করছিলেন।
ইতিমধ্যে তিন চারিজন লোক এসে বলতে লাগলো। এই সুন্দরী হাজেরা
ঘরের বাইরে বেরিয়ে আস আমরা বাদশাহর হুকুমে এসেছি তোমাকে এক্ষুণি
বাদশাহর দরবারে হাজির হতে হবে। হঠাৎ ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে বৃদ্ধাকে
ধমক দিয়ে বলল, হাজেরা তোমার কি হয়? সে কোথায়? তাকে বের করে
দাও। তিনি বললেন, আমি হাজেরার মা, আমি জানি না হাজেরা কোথায়
আছে? এমরানের এক সঙ্গী বললো তাকে উত্তম-মধ্যম দিলেই সত্য কথা
বেরিয়ে আসবে। এই বলে চাবুক দিয়ে বৃদ্ধাকে আঘাত করতে লাগলো।
তার শরীর ফেটে রক্ত পড়তে লাগলো। তাকে বাদশাহর কাছে নিয়ে গেল ।
বাদশাহ যখন শুনতে পেল যে হাজেরার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। তখন
সে আদেশ দিল এই বৃদ্ধাকে কারাগারে বন্দী করে তার পানাহার বন্ধ করে
দাও। যতক্ষণ সে তার কন্যা কোথায় আছে তা না বলে। বাদশার আদেশে
হাজেরার মাকে কারাগারে বন্দী করা হলো। চাবুকের আঘাতে তার শরীর
দিয়ে রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছিল এবং তার রক্ত বমি হচ্ছিল। সে বেহুঁশ হয়ে
সেখানেই তার মৃত্যু হলো। এদিকে হাজেরা ভয়ে গভীর অরণ্যে লুকিয়ে
রইল। বনের পশুদের পায়ের শব্দে শরীর কেঁপে উঠে। সারাদিন গেল।
সন্ধ্যা হলো রাত্র একটু গভীর হয়ে গেলে হাজেরা লুকিয়ে লুকিয়ে নিজের বাড়ীতে এসে দেখে ঘরের দরজা খোলা, ঘরের ভিতরে কোন আলো নেই।

6
হাজেরা মা, মা, ডাকে আর বলে কই আমার মা কোথায়, মাকে না পেয়ে
হাজেরা এক প্রতিবেশীর বাড়ীতে গিয়ে ডাকা মাত্র সে উঠে বসেই বললো।
হাজেরা তুমি এখানে কোথা হতে এসেছ? বাদশাহ্ পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
তোমাকে ধরার জন্য আর আজ সকালে তোমার মাকে মারধর করে
বাদশাহর লোকেরা গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। এই কথা শুনে হাজেরা
চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলেন। ইহা দেখে ঐ মহিলা বলল, হায় তুমি কি
করছ? গ্রামের লোকেরা একটু টের পেলেই তোমাকে ধরে নিয়ে বাদশাহর
কাছে হাজির করবে। হাজেরা তার বৃদ্ধা মায়ের প্রতি অত্যাচারের কথা শুনে
তার নিজের বিপদের কথা ভুলে গেল, তার ইচ্ছে হচ্ছিল, তিনি ছুটে গিয়ে
তার মাকে মুক্ত করে নিয়ে আসবেন। পর মুহূর্তেই কামুক সাদুনের পাপের
কথা মনে পড়েই তিনি থেমে গেলেন। ঐ মহিলা তাকে বললো, হাজেরা
এইখানে বসে থাকা তোমার জন্য নিরাপদ নয়, তুমি এক্ষুণি এখান থেকে
পালাও। এই কথা শুনে হাজেরা গভীর অরণ্যের দিকে চলে গেলেন।
অনাহারে অসহায় অবস্থায় পাঁচটি দিন কেটে গেলো। ক্ষুধায় দুর্বল হয়ে গাছের
পাতা চিবিয়ে খেয়ে ক্ষুধার জ্বালা মিটালেন। গাছের নীচে ঘুমিয়ে থাকেন।
রাত্র হলেই বনের প্রাণীদের ছুটোছুটি ডাকা-ডাকিতে ভয়ে গলা শুকিয়ে যায়।
৬ষ্ঠ দিনে দুর্বল হয়ে গভীর বনের একটা বড় গাছের নীচে ঘুমিয়ে পড়লেন।
বহু লোকের কণ্ঠস্বর শুনে হাজেরার ঘুম ভেঙ্গে গেলো, বাদশাহ্র সৈন্যদের
ছুটোছুটির ফলে বনের মধ্যে একটা হৈ-চৈ পড়ে গেল। বনের পশুরা ছুটে
পালাতে লাগলো, পাখীরা কিচির মিচির করে উড়ে গেল। এক পাষণ্ড
চিৎকার করে বলে উঠল, ঐ তো হাজেরা, এই বলে তারা বিকটভাবে হাসতে
লাগল । হাজেরা ভয়ে ব্যাকুল হয়ে দোয়া করলেন, হে আল্লাহ দয়াময় মহা
প্রভু! দাসীর প্রতি নির্দয় হইও না, তুমিই তো এই দাসীকে এত রূপ লাবণ্য
সৌন্দর্য্য দান করেছো। আমাকে কলঙ্কিত করো না প্রভু। হাজেরার দোয়া
কবুল হয়ে গেল। এমরান হাজেরাকে বন্দী করার জন্য লোকদেরকে নিয়ে।
এগিয়ে যেতে চাইল। সকলের পা গুলোই মাটির সঙ্গে আটকে গেল।
হাজেরা এগিয়ে যেতে লাগলেন। এবার তারা চলার শক্তি পেলো। তারা
হাজেরার পিছু পিছু ছুটলো । হাজেরা জঙ্গল পেরিয়ে নীল নদের তীরে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়লেন নীল নদের ঢেউয়ের মধ্যে বিরাট একটা ঢেউ এসে ভাসিয়ে
নিয়ে গেলো তাকে একেবারে মাঝ নদীতে। তারা দাঁড়িয়ে দেখল, হাজেরা
মাঝ নদীতে ঢেউয়ের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। এমরান বললো, তোমরা নদীতে
ঝাপিয়ে পড়। তোমরা কাপুরুষ নদীর ঢেউ দেখেই ভয় পাচ্ছ। একটি নারী।
হয়ে নদীতে ঝাপিয়ে পড়তে পারলো, আর তোমরা পুরুষ হয়েও সাহস।
পাচ্ছো না। ঐ মেয়েটিকে যদি ধরে নিয়ে যেতে না পারি তাহলে তো আমার
গর্দান কাটা যাবে। তারা বললো, যে নারীর কাছে যেতে পা অচল হয়ে যায়,
যে নারী ভয়ংকর ঢেউয়ের মধ্যে ঝাপিয়ে পড়তে পেরেছে। সে নারী সাধারণ
মানুষ নয়। এই বলে তারা সব চলে গেল। এমরান নদীর তীর দিয়ে ছুটে
চললো। কিছু দূরে গিয়ে দেখলো দুটি জেলে জ্ঞান হারা হাজেরাকে নিয়ে
নদীর তীরে এসেছে। এমরান গিয়ে বললো, এই মেয়েটিকে বাদশাহর কাছে
পৌছার আদেশ হয়েছে। এমরান জেলেদের দিয়েই একটা পাল্কী এনে
হাজেরাকে নিয়ে রওয়ানা হলো। বাদশাহ সাদুনের খাস কারাগারে বেহুঁস
অবস্থায় হাজেরাকে রাখা হলো। সেখানে অতি সুন্দর বালাখানা, সোনার খাট
পালং মনি মুক্তার ঝাড়বাতি। সেখানের প্রহরী সবাই নারী। কোন পুরুষ
সেখানে প্রবেশ করার সাহস পায় না। কারণ সাদুন সুন্দরী যুবতীদেরকে
সেখানে নিয়ে কাম লালসা পূর্ণ করে। হাজেরার জ্ঞান ফিরে এলে সে
বললো । আমি এখানে কেন? একজন প্রহরী নারী এসে বললো, মা, তোমার
জন্যই এই বালাখানা সাজানো হয়েছে, তুমি এখানে আরামে থাকবে।
হাজেরা বললেন, এটা কি বাদশাহ সাদুনের বালাখানা? তারা বললো জি, হ্যাঁ
বাদশাহের আদেশেই তোমাকে এখানে আনা হয়েছে। আমরা সব দাসীরা
তোমার সেবা যত্নে থাকবো। হাজেরা বললেন, আমাকে এখানে কেন আনা
হয়েছে তা তোমরা নিশ্চয়ই জান। আমাকে তোমরা এই বিপদ হতে রক্ষা
কর। তারা বললো মা আমরা যে বাদশাহর হুকুমের দাসী। আমাদের কিছুই
করার নেই। হাজেরা কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন, আর কিছু না পার অন্তত
আমাকে হত্যা করে ফেলো। ইতিমধ্যে তার জন্য খাবার নিয়ে আসলো।
তিনি খেলেন না। দুই চোখের অশ্রুতে বুক ভাসাতে লাগলেন। আর
বললেন, তোমরা কি বলতে পার এক সপ্তাহ আগে বাদশাহর লোকেরা।
বা
তার মনের ধারণা হলো তার মা আর বেঁচে নেই। তিনি সিজদায় লুটিয়ে পড়ে।
বললো, তুমি আগে খেয়ে নাও, তার পরে তোমার মাকে খবর দিব।

কান্নায় কাতর হয়ে বললেন : হে আল্লাহ দয়াময়, এই হতভাগীনির কি
অপরাধ, নিজেরই ইজ্জত বাঁচাবার জন্য কত বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ালাম,
নীল নদে ঝাপ দিলাম, তবু এদের কবলে আমাকে আবদ্ধ করলে। এমন
সময় আওয়াজ এলো, হাজেরা, আমি আমার প্রিয় বান্দাকে দুঃখ বিপদে
ফেলে পরীক্ষা করে থাকি। ধৈর্য্য ধর, ইহা শুনে তিনি বললেন, হে প্রভু!
তোমার ইচ্ছাই পূর্ণ হোক। এর মধ্যে এক দাসি এসে খবর দিল,

image
মা,
বাদশাহ্ আপনার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন । ইহা শুনে হাজেরা ঘৃণায়
চোখ ফিরিয়ে নিলেন । সাদুন হেঁসে বললো, কি হে সুন্দরী, আমাকে দেখে
মুখ ফিরালে কেন? এখানে তুমি আর আমি ছাড়া তো আর কেউ নেই।
আমাকে বরণ করে নিলে তোমারই ভাল হবে। আমি তোমার হয়ে যাব, আর
এই ধন ভাণ্ডার সবই তোমার হাতে তুলে দিবো এবং বালাখানার দাস-দাসী
সবাই তোমার সেবায় নিয়োজিত থাকবে। আমাকে বরণ করে নিয়ে আমার
প্রেম লালসা মিটাও। ইহা শুনে ঘৃণায় হাজেরার দেহটা যেন ফেটে যেতে
চায় । সাদুন তাঁকে নিরব দেখে রাগ হয়ে বললো, সুন্দরী তুমি আমাকে দুর্বল
ভেবনা জীবনে আমি হাজার হাজার নারীকে ভোগ করেছি। আমার কথায়
রাজি না হলে, আমি জোর করে তোমাকে ভোগ করে ছাড়বো। হাজেরা চিন্তা
করে বললেন, এত অধৈর্য হয়েছো কেন? তুমি যদি আমাকে বেগম রূপে
বরণ কর সেটা হবে আমার সৌভাগ্য। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য
আমাকে একটু সময় দাও। সাদুন খুশী হয়ে বললো, বেশ ভাল কথা, তুমি
সুস্থ হলে আমাকে যে আদেশ দিবে আমি তাই পালন করবো। এই বলে
সাদুন রাজ দরবারে চলে গেল। কিছু দিন পর বাদশাহ আবার এসে বললো,
‘কি হে সুন্দরী, তোমার মতামত এখনও কি ঠিক হয়নি? আমি যে আর
ধৈর্য ধরতে পারছি না, হাজেরা বললেন, আমাকে আরও কিছুদিন সময়
দিতে হবে। সাদুন বললো তুমি কি আমার সঙ্গে চালাকি করছ? ভুল করো
না, তুমি আমার হাত হতে কিছুতেই রেহাই পাবে না। আর তিনদিন সময়
দিচ্ছি, এর পর তুমি রাজী না হলে আমি জোর করে তোমাকে ভোগ
করবো। সাদুন একথা বলে চলে গেলে হাজেরা আল্লাহ পাকের দরবারে
কেঁদে কেঁদে প্রার্থনা করতে লাগলেন। হে দয়াময় প্রভু! আমার দেহ মন মান
ইজ্জত তোমার হাতেই সোপর্দ করলাম, তুমিই আমাকে হেফাজত কর।
তিনদিন পরে বাদশাহ সরাব পান করে হাজেরার নিকটে গিয়ে তাকে
ধরার জন্য হাত বাড়ালো। হাজেরা চিৎকার করে বলে উঠলেন, হে প্রভু!.
আমাকে রক্ষা কর, এই বলে কক্ষের এক কোনে ঝাপিয়ে পড়লেন, অল্পের  জন্য বাদশাহ তাকে ধরতে পারলো না। এর মধ্যে বাদশাহ সাদুনের দুই
। ভিতরে ভীষণ যন্ত্রনা শুরু হয়ে গেল। অল্প সময়ের মধ্যে সে অন্ধ
হয়ে গেল। তার চিৎকার শুনে সবাই ধরাধরি করে তার প্রধান বেগমের
কক্ষে নিয়ে গেল । তারপর তার চোখ একেবারে অন্ধ হয়ে গেল ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *