ব্লগার

ব্লগার এর অর্থ কি? ব্লগিং এর জনক কে? ব্লগ কি ও কেন? ব্লগার দিয়ে কি আয় করা যায় ?

ব্লগার এর অর্থ কি?

ব্লগার হলেন একজন ব্লগ লেখক বা ব্লগ লেখিকা। ব্লগ একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ যেখানে একজন লেখক নিজের মতামত, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান বা বিচার স্বাধীনভাবে শেয়ার করে। ব্লগ একটি অনলাইন জার্নাল হিসেবে কাজ করে এবং এর পাঠকগণ মন্তব্য করতে পারে যাতে লেখকের সাথে আলোচনা করা যায়।

ব্লগার বিভিন্ন বিষয়ে লেখা করতে পারেন এবং তাদের লেখা সম্পর্কিত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, অনুশাসন, পণ্য রিভিউ, প্রযুক্তি, ভ্রমণ, খেলা, ফিটনেস, রাজনীতি, সাহিত্য, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে লেখা করতে পারেন। তারা ব্যক্তিগত ব্লগ সাইটে আরোহী নির্মাণ করতে পারেন যাতে তাদের পাঠকগণ নতুন লেখার সাথে জড়িত থাকতে পারেন এবং তাদের সামগ্রিক অভিজ্ঞতা উন্নত করতে পারেন।

ব্লগিং এর জনক কে?

ব্লগিং এর জনক হিসাবে বিভিন্ন মানুষের উল্লেখ করা হতে পারে কিন্তু এটি ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবিত হয়েছে এবং প্রথমবারে মানের প্রচারের জন্য ব্যবহার হয়েছে ডক্টর জেকব জিন্নস এরও ব্লগ গাওয়ার সময় । ব্লগ শব্দটি “ওয়েব লগ” (Web log) শব্দের সংকোচন হিসেবে প্রচলিত হয়েছে, যা ওয়েব সাইটের একটি নির্দিষ্ট পৃষ্ঠায় লেখকের মন্তব্য ও অভিজ্ঞতা গুলি ধারণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ডক্টর জেকব জিন্নস এর ব্লগে তিনি তাঁর দৈনন্দিন জীবনের বিবরণ, পর্যটন স্থলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি সংক্রান্ত নবীন খবর ও ব্যক্তিগত মতামত সহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখা করেন। ডক্টর জেকব জিন্নস এর ব্লগ আগামীতে অনেকগুলি ব্লগার এর মতো করে প্রচলিত হয়েছে এবং ব্লগিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েব কমিউনিটির অংশ হিসেবে বিস্তারিত উন্মুক্ত হয়েছে।

ব্লগ কি ও কেন?

ব্লগ হলো একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ যেখানে লেখক একাধিক প্রকার বিষয়ে লেখা প্রকাশ করেন। ব্লগ শব্দটি “ওয়েব লগ” শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ব্লগার বা লেখক ব্লগে প্রতিষ্ঠানিত রকমের নিয়ম বা নির্দেশনা ছাড়াই নিজের মত লেখা পোস্ট করতে পারেন।

ব্লগের একটি প্রধান উদ্দেশ্য হলো লেখকের মতামত, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, সংগঠনগত তথ্য, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ইত্যাদি নিজের লেখা পোস্ট করে অন্যদের সাথে শেয়ার করা। ব্লগ পাঠকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। ব্লগ সাধারণত পাঠকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য মজার ও সুবিধাজনক একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

একটি ব্লগে লেখাগুলি আপডেট হয় নতুনত্বের অনুযায়ী, অন্য লেখকদের মতামত বা প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয় বিস্তারিত করা হয় এবং সাধারণত লেখা পোস্টের নীতি পূর্ববর্তী পোস্টের নীতি ব্যতিবধান নেয়া হয়। পাঠকরা ব্লগে লেখা পোস্টের মাধ্যমে মন্তব্য করতে পারেন, যা লেখকের সাথে আলোচনা করতে দেয় এবং অভিযোগ, প্রশ্ন বা বিষয়ের সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারেন।

ব্লগ প্ল্যাটফর্মগুলি প্রায়শই প্রতিষ্ঠানিত হয়, যেমন WordPress, Blogger, ইত্যাদি, যা লেখকদের সাথে ওয়েবসাইট তৈরির জন্য বিভিন্ন সুবিধা ও টুলস সরবরাহ করে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের অংশ হিসাবে ব্লগগুলি ব্যবহার করা হয় অনলাইন প্রচার, পরিবেশ সংরক্ষণ, প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্যিক উদ্যোগ, ব্র্যান্ডিং ইত্যাদির জন্য।

ব্লগার দিয়ে কি আয় করা যায়

ব্লগার হওয়ার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারেন। এই প্রশ্নের প্রত্যেকটি নিচের উপায়ে আয় করার জন্য বিবরণ দেয়া হলঃ

  1. বিজ্ঞান লেখা: আপনি পছন্দমত বিষয়ে লেখা করে আপনার ব্লগে প্রকাশ করতে পারেন। উপায়টি হলেও আপনাকে বিজ্ঞান বিষয়ে স্পেশালাইজড হতে হবে না, কারণ আপনার লেখাগুলি নিয়ে যেকোনো নিউজলেটার, ওয়েবসাইট বা কমিউনিটিতে প্রকাশ করা হতে পারে। কিছু সময় পর পর আপনি আপনার ব্লগগুলি প্রযোজ্য জগতে মার্কেটিং করে থাকতে পারেন যাতে এদের মাধ্যমে আপনার ব্লগগুলি প্রকাশিত নিউজলেটার এবং ওয়েবসাইটগুলি অধিক পাঠক পায়। এই পদ্ধতিতে আপনি মাসিক বা পর্যায়ক্রমে নগদ টাকা আয় করতে পারেন।
  2. স্পনসরশিপ এবং বিজ্ঞাপন: আপনার ব্লগে আপনি বিজ্ঞাপন স্পনসর করতে পারেন এবং স্পনসরশিপ পোস্ট প্রকাশ করতে পারেন। এটি একটি উপায় যার মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবার প্রচার করতে পারেন এবং সে পরিমাণের টাকা আপনি ক্ষমতা করে নিতে পারেন। বিজ্ঞাপন স্থাপনের জন্য আপনার ব্লগের প্রস্তাব পাঠাতে হবে বা আপনি যোগাযোগ করে আপনার ব্লগটি মার্কেটিং করতে পারেন।
  3. এফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনি অন্যান্য কোম্পানির পণ্যের প্রচার করে বিক্রয়ে সহায়তা করতে পারেন এবং সে প্রচারের প্রতিষ্ঠান আপনাকে কমিশন দিতে পারে। যেমনঃ আপনি কোনো বই সম্পর্কে লেখা করতে পারেন এবং সে বইর অ্যামাজন এফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করে পাঠকদের উপরে ক্লিক করতে প্রার্থী করতে পারেন। এবং ক্লিকের পরে যদি উপযুক্ত ক্রয় করা হয়, তবে আপনি কমিশন পাবেন।
  4. স্বনিয়োগকৃত লেখা: কিছু ব্লগ ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম স্বনিয়োগকৃত লেখা প্রদান করে। এই পদ্ধতিতে আপনি অন্যান্য ব্যক্তিদের জন্য লেখা করতে পারেন এবং তাদের প্রকাশ করতে পারেন। আপনি ক্রাইস্টওয়ার্ড, অনলাইন নিউজপেপার পার্টনার এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটে এই পদ্ধতিতে লেখা প্রকাশ করতে পারেন এবং লেখা প্রকাশের প্রতিষ্ঠান আপনাকে প্রদান করবে প্রতিষ্ঠান করে।
  5. প্রশিক্ষণ এবং ওয়েবিনার: আপনি ব্লগে প্রশিক্ষণ কোর্স, ওয়েবিনার বা ওয়ার্কশপ প্রদান করতে পারেন এবং দারিদ্র প্রাপ্ত লোকদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে কর্মসূচি প্রদান করতে পারেন। আপনি একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত পাবলিক শ্রমিক, ডিজিটাল মার্কেটিং বা ওয়েব ডিজাইন প্রশিক্ষক হিসাবে সেবা প্রদান করতে পারেন। আপনি অনলাইন বা অফলাইন দুটিতেই এই পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।

এগুলি মাত্র কয়েকটি উদাহরণ, আরও উপায় আছে ব্লগার হওয়ার মাধ্যমে আয় করার। সফল ব্লগার হওয়ার জন্য সঠিক পরিকল্পনা, মার্কেটিং এবং ধৈর্য প্রয়োজন।

ব্লগার দিয়ে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

একটি ব্লগার কত টাকা ইনকাম করবে তা বিভিন্ন উপায়ে ভিন্ন হতে পারে। ব্লগারদের ইনকাম প্রায়শই বিজ্ঞাপন, স্পন্সরশিপ, এফিলিয়েট মার্কেটিং, প্রিমিয়াম কন্টেন্ট বিক্রয়, পেইড স্পন্সরশিপ এবং অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে ঘটাতে পারে।

বিজ্ঞাপন ব্লগারদের জন্য একটি প্রধান ইনকামের উপায় হতে পারে। এটি অন্যদের ব্যবহারকারীদের ব্যাপারে তথ্য, পণ্য, পরামর্শ বা সেবা প্রদান করার জন্য কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। ব্লগার তাদের ব্লগ পোস্টে এই বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শন করে এবং বিজ্ঞাপন দাতার সাথে ক্লিক, ভিউ বা বিক্রয়ের জন্য কমিশন পায়। ইনকামটি বিজ্ঞাপনের প্রকার, বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠানের শর্তাবলী এবং ব্লগারের ট্রাফিকের উপর নির্ভর করবে।

স্পন্সরশিপ বা পেইড স্পন্সরশিপ হলো একটি অন্য একটি কোম্পানি বা ব্রান্ড যারা ব্লগারের কাছে তাদের পণ্য বা সেবার প্রচার করার জন্য অর্থ প্রদান করে। ব্লগারদের কাছে অর্থ পেলে তারা তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে একটি পোস্ট লিখতে পারে বা সামগ্রিকভাবে তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করতে পারে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো ব্লগার একটি প্রোডাক্ট বা পণ্যের মাধ্যমে কমিশন পাওয়ার একটি পদ্ধতি। ব্লগার একটি বিশেষ অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রদান করে এবং যখন কেউ এই লিঙ্কের মাধ্যমে পণ্য কিনবে অথবা পরামর্শ কিনবে, তখন ব্লগার কমিশন পায়।

প্রিমিয়াম কন্টেন্ট বিক্রয় হলো ব্লগারের উপভোগকারীদের জন্য সীমিত অ্যাক্সেস প্রদান করার জন্য তৈরি করা কন্টেন্টের বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় করা। ব্লগার প্রিমিয়াম কন্টেন্ট বিক্রি করতে পারেন সাবস্ক্রিপশন মডেলে বা ইনডিভিজুয়ালি প্রকাশিত কন্টেন্টে সংযোজন বা বোনাস প্যাকেজের মাধ্যমে।

অনলাইন কোর্স তৈরি করে ব্লগার আপনার জ্ঞান এবং দক্ষতা সংগ্রহের জন্য টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি নিজেই একটি অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন বা তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার কোর্স প্রদান করতে পারেন এবং ইনকাম করতে পারেন।

এই সব উপায়ে ব্লগার ইনকাম করতে পারেন। তবে, ব্লগার একটি স্থিতিশীল প্রফেশনাল বিষয় হিসাবে ইনকাম করতে চাইলে প্রথমেই ব্লগ পরিচালনায় সময় ও পরিশ্রম নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এছাড়াও, ট্রাফিক, লেখার দক্ষতা, বিষয় নির্বাচন এবং কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের  ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার ইনকাম মানে একটি কার্যকর সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *