মাইকেল জ্যাকসন ১৫০ বছর বাঁচতে চেয়েছিলেন অত: পর যা হয়েছিল…

মাইকেল জ্যাকসন ১৫০ বছর বাঁচতে চেয়েছিলেন অত: পর যা হয়েছিল…

মাইকেল জ্যাকসন বিশ্বের সবচেয়ে সফল সেলিব্রেটি। মাইকেল জ্যাকসন গান নাচ এবং ফ্যাশন এ ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তার রহস্য গড়া জিবন এবং তার ১৫০ বছর বেঁচে থাকার কৌশল নিয়ে আজকের এই কাহিনী।  

মাইকেল জ্যাকসন ১৫০ বছর বাঁচতে চেয়েছিলেন। কারো সাথে হাত মেলাবার সময় হাতে দস্তানা পরতেন মুখে মাস্ক লাগাতেন। নিজের দেখাশোনা করার জন্য বাড়িতে ১২ জন অভিগ্য ডাক্তার নিযুক্ত ছিলেন।

যারা তার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত প্রতিদিন পরিক্ষা করতেন। খাবার ল্যাব্রোটারিতে পরিক্ষা করে খাওয়ানো হতো। প্রতিদিন ব্যাম করানোর জন্য ১৫ জন লোক নিযুক্ত ছিলেন। মাইকেল জ্যাকসন ১৫০ বছর বেঁচে থাকার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘুমাতেন অক্সিজেন যুক্ত বিছানায়। নিজের জন্য অর্গান ডোনার প্রস্তুুত করে রেখেছিলেন যাদের সমস্ত খরচ নিজে বহন করতেন।

যাতে প্রয়োজন হলেই তারা কিডনি , লাংস্ছ চোখ এবং ইত্যাদি অঙ্গ মাইকেল কে দিতে পারে। এতো চেষ্টা করেও তিনি জয়ী হতে পারেননি। হেরে গেছেন তাও মাত্র ৫০ বছর বয়সে।

২৫ জুন ২০০৯ সাল এ তার হৃদপিণ্ড স্তব্দ হয়ে যায় ।  নিজের ঘরে থাকা ১২জন অভিগ্য ডাক্তার এর সত চেষ্টাও কনো কাজেই লাগেনি। লসএঞ্জেলস , কেলিফোর্নিয়া সমস্ত ডাক্তার একত্রে চেষ্টা কোরেও তাকে বাঁচাতে পারেননি।

জীবনের শেষ ২৫ বছর ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া এক পাও চলতেন না। যে নিজেকে ১৫০ বছর বাঁচাতে সপ্ন দেখেছিলেন তার এই সপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছিলো…মাইকেল জ্যাকসন এর অন্তিম যাত্রা ২.৫ মিলিয়ন মানুষ একসাথে খবর দেখেছিলেন।

যেটা আজ পর্যন্ত সব থেকে বড় লাইফ টেলিকাস্ট। তার মৃত্যুর দিন অর্থাৎ ২০০৯ সাল ২৫ শে জুন Google এক সাথে ৮ লাখ মানুষ মাইকেল জ্যাকসন সার্চ করেছিল।

অতিরিক্ত সার্চ এর কারনে Google জ্যাম হয়ে যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা Google কোনো কাজ করেনি।মৃত্যুকে চ্যালেন্জ জানাতে গিয়ে নিজেই সেই চ্যালেন্জ এর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। সাজানো পৃথিবী সাজানো জিবন ফেলে সাজানো মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলেন। হুম এটাই নিয়ম,,,

কিসের অহংকার , কিসের গর্ব .. দুই দিন এর এই জিবনে একদিন শূন্য হাতে খালি পায়ে পৌঁছে যাব মৃত্যুর কাছে। একবার একটু ভাবুন দামি বাড়ি গাড়ি বিলাসবহুল দেখিয়ে কাকে আমরা ইমপ্রেস করছি ?

জিবন এর প্রতিটা মুহূর্ত কেনো আমরা পশুর মত খেটে যাচ্ছি আগামী কত প্রজন্মের জন্য খাওয়া দাওয়া লালন পালন এর ব্যাবস্থা করে যাব।

আমাদের অধিকাংশ মানুষেরই দুটি করে সন্তান কারো আবার একটি। আমাদের জিবনে প্রয়োজন কতটা আর কতটা পেতে চেয়েছি এটা কি কখনো ভেবে দেখেছেন !

কী মনে হয় আমাদের সন্তানেরা রোজগার করতে পারবে না? তাই তাদের জন্য অতিরিক্ত সম্পদ জমানোটা এতোটাই দরকার ,, ভাবতে ভাবতে হয়তো আমাদের অনিদ্রা কিংবা হার্ট ব্রলক হয়ে যায় ।

আপনি কি সারা সপ্তাহে একদিন নিজের পরিবার বন্ধুবান্ধব এমন কি নিজের জন্য খরচ করেন? আমরা কি অর্থ উপার্জন এর সাথে সাথে জীবনের আনন্দ গুলো খুঁজে পাচ্ছি???

কথা গুলো ভালো লাগলে একটা শেয়ার করবেন ধন্যবাদ,,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *