রহস্যময় ভৌতিক স্কুলের গল্প! পার্ট -০২
পর্ব: ০২
* প্রতাপ ।*
* মেঘনা।*
* দীপা ।*
* সুরমা ।*
* পীযূষ ।*
* শবা ।*
* কুহেলি ।*
* দেব ।*
* অমল ।*
* জিনিয়া ।*
* রহমান ।*
* দেবদূত ।*
* অমৃতা ।*
* অনিকেত ।*
এই শেষের নামটির নিচে রক্ত । অনিকেত লিস্টটি কুটি কুটি করে ছিড়তে যাবে তখন তার মনে হলো পায়ে কামরানো দাঁতটার স্থান ঊরু। মৃতদেহ আবার বিশ্রী পৈশাচিক হাসি হেসে ওঠে। অনিকেতর ফোন বেজে ওঠে । ফোন তো গাড়ি তে আর সে গাড়ির বাহিরে । কিন্তু তাও ফোন যেন কে ওকে করে দিল। অনিকেত আর পাড়ছে না এত ভৌতিক ঝড় সামলাতে ।
সে শুনলো ফোনে বলছে — * নালি কাটব আপনার , আপনি কাটবেন আরেকজনের । চলতে থাকবে নারি কাটার অদ্ভুত হত্য নালির রহস্য ও পাশবিকতা ।কেউ পাড়বে না এর সমাধান । হাঃ হাঃ হাঃ* *হাঃ হাঃ।* ফোন অবিশ্বাস্য ভাবে ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গেল এই সাংঘাতিক হাসিতে । আর ফোন ভাঙাতেই বেরিয়ে এলো সেই ব্লেড , যার জন্য তার এমন ভয়াবহ দশা । গাড়িতে যেন দুটি আত্না । একজন পিছনের সিটে এর একজন ফোন টা জুড়ে । স্কুলের দিকে তাকাতেই
সে দেখল তিন তালার ছাদে ঠিক এগারো টা অশরীরী ঘুরে বেড়াচ্ছে , অপেক্ষা করছে কোনো নতুন বন্ধুর ।তাহলে তার দেবদূত এর অমৃতা ।
অনিকেত দীঘশ্বাস ফেলে , তার যেন কোনো পিছুটান নেই । এই প্রেতাত্নাদের সাথে সে যেন এক হয়ে গেছে । এতবার বাঁচার চেষ্টা করেও ব্যথ হওয়ার জন্য নাকি কোনো অজানা , অচেনা টানে তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল পড়তে থাকে । এতকিছু বাবতে ভাবতে হঠাৎ করে তার গলায় বসে গেল একটা ধারালো ব্লেড ।পোঁচ দিল অনিকেতের নাম যত নাম্বারে ছিল অথাৎ চোদ্দো বার।
পরপর কিছু স্থানীয় কিছু লোক এই স্থান দিয়ে যেতেই সন্দেহের আঁচ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় ।পুলিশ এবারও খুজে পায় পঁচিশ বছর আগে অমীমাংসিত খুন হওয়া মৃতদেহর মতো এমনই একটি মৃতদেহ ,একটি বছর চব্বিশের যুবকের।
আর এবারেও অদ্ভুত খুন ! এবং এখানে ও খুনি ধরতে ব্যথ হল সকলে ।
এই খুনের ফলে দমকা বাতাসের মতো মনে পরে গেল গত পঁচিশ বছর আগের সেই ঘটনা সেই অমীমাংসিত ও রহস্যময় খুনের ঘটনা কথা ।
কে করে চলেছেন খুন ? কীভাবেই বা করছে ? আর কেনই বা করছে?
তদন্ত পুরোপুরি বন্ধ হলো না । এর বিহিত চায় । যেই হোক না কেন , তাকে কঠিন শাস্তি পেতেই হবে ।——————-
পুরো খবর টা হস্টেলের লনে বসে ফোনে শুনছিল ঋতুজা ।
*কি সাংঘাতিক !* বলে ওঠে সে ।ও ভাবে ডিটেকটিভ টিম , পুলিস সুপার বা অ্যাস্ট্রলজার কেউই কিছু পাড়রে অবশন দুঃসাহসিকতা এখনই দেখাচ্ছেন না । যাই হোক , যে কজন চিরুনি তল্লাশি করছেন তারা কিছুতেই কিছু ধরতে পারছেন না । তাহলে কি এমন আছে সেখানে ? অত বড় পরিত্যক্ত স্কুলটা তে কি কিছু আছে ?অমৃতাকে টয়লেট খুন করল নাকি খুন করে টয়লেট মৃতদেহ ফেলে দিয়েছে ? ঋতুজা পায়চারি করতে করতে ভাবল ভাবল এসব প্রশ্নের উওর । রাতের খাবার এল , খেয়ে শুয়ে পড়ল । তখন মাঝরাত । ঋতুজা কতক্ষন ঘুমিয়েছে জানে না তবে কেউ যেস তার ঘরে পায়চারি করছে এবং সেই শব্দে তার ঘুম ভেঙে গেছে ।ধড়মড় করে উঠে লাইন অন করতেই শব্দ গেল বদলে । ব্লেড ঘষার শব্দ। ঋতুজা আরও আবাক হয়ে চেযে দেখে হস্টেলে যে নতুন চাকুরে যুবক অনিকেত এসেছে , সে একটা বেশ ধারালো ব্লেড নিয়ে তার ধার পরখ করছে কেবল । ঋতুজা কে কোন অজানা এক ভয় যেন ঘিরে ধরল । আর এই বশেই সে এক অলৌকিক ও অসম্ভব উপলব্ধির সামিল হয় ।
একজন যুক্তিবাদী , শিক্ষিত মেয়ে হয়েও সে এটাকে মিরাকল মনে করে না , ভাবে ব্যাখ্যাতীত বাস্তব ।
তার মন ভাবে , খুনের নথিপএ অনুযায়ী সবশেষ ও সম্প্রতি খুন যেন হয়েছে সে অনিকেত আর এ্ই মূহূত যে তার সামনে দাঁড়িয়ে ব্লেডের ধার দেখেছে সেও অনিকেত । একই নাম হওয়া টা যে স্বাভাবিক একটা ব্যাপার তা ঋতুজা সেই মুহূত টা তে ভুলে গেছিল । কিন্ত দুটো ঘটনার চরেএ নাম এক হলেও ঋতুজা জানে না দুটো ঘটনার হত্যা দ্রব্যটাও ব্লেড।জানবেই বা কী করে রহস্য তো উদ্ধাব হয়নি যে ব্লেডের পোঁচে সব খুন হয়েছে । পুলিশ বা গোয়েন্দা বিভাক এটুকুই জানে , কেউই ধরতে পাড়ছে না ব্লেডের কথা সুতরাং সকলের কাছেই অঙ্গাত।
ঋতুজা বলে –*এত রাতে ব্লেড নিয়ে কি দেখছেন ?*
অনিকেতের হাসি টা বেরিয়ে এল হওয়ার মতো বেরিয়ে এল । কলারের বোতাম গালাটা ঢাকা , তাও ঋতুজা খেয়াল করল ছেলেটার কেমন অনেকবার করে ঘষার কিছু দাগ । সে প্রশ্ন করে -*ওটা কিসের দাগ অনিকেত বাবু * ?
—– * ও কিছু না । *
হেসে উওর দিল অনিকেত ।
এবারও উওর টা কেমন ভাসাভাসা । ঋতুজা আর সন্দেহ করে না ওকে । শুধু বলে–* আপনি ঘুমোননি কেন *?—* আসলে রাত জাগা স্বভাব তো । ঘুম এ জীবনে রাতে আর আসবে না । আচ্ছা ঋতুজা , যদি আপনার ঐ নালির উপর পনেরোটা পোঁচ তাহলে কী হবে বলুন তো ?*
কথাটা শুনে ঋতুজা চমকে ওঠে । সে ভাবে তাহলে কি এই ছেলেটা তাকে খুন করবে বলে না ঘুমিয়ে রাত জাগা স্বভাব বলল ? আর সেই জন্যই রাতে তার ঘরে পায়চারি করছিল , কিন্তু তাকে এ খুন করবেই বা কেন ? উফ ! এসব কি হচ্ছে ।ঋতুজা তাকে সন্দেহ না করলেও , সন্দেহ ঋতুজাকে তারা করে বেড়াচ্ছে । আর তাহ এক অজানা বিপদের আভাস পেয়ে সে নিজেকে প্রবল ভাবের সতক রাখে । কিন্তু অনিকেত কিছুই করে না । বরং সে বলে সে ঋতুজা কে এই দু‘দিনেই খুব ভালোবেসে ফেলেছে ।
সন্দেহ যখন হচ্ছে তখন সন্দেহভাজন ব্যক্তির কোনো কথাতেই ঋতুজার অসতক হবে না । ঋতুজার মুখে বিচলিতভাব দেখে অনিকেত হেসে বলে — * আপনি আমায় খুনী ভাবছেন কি করে আর আপনাকে আমি *
এই কথা শুনে ঋতুজার ভয় ও সন্দেহ একলাফে অনেক গুন বেড়ে গেল । তাও সে অনঢ় । তার কেন মনে হচ্ছে এই চৌদ্দ জনের অস্বাভাবিক খুনে এই অনিকেত ছেলেটা জড়িয়ে । চিস্তিত হয়ে পড়ে বুদ্ধিমতি ঋতুজা এই অনিকেতের অস্বাভাবিকতার রহ্যস উন্মোচন করবে বলে অজ্ঞান হওয়ার ভান করে শুয়ে পড়ে মেড়েতে চোখ আধবোজা করে।ও দেখতে চায় অনিকেত কি করে ।
এবরের ঘটল সবচেয়ে ভৌতিক ঘটনা টা ।
ঋতুজা দেখছে আধবোজা চোখে অনিকেতকে ।
হঠাৎ দেখল অনিকেত এর দুটো চোখের মনি নেই ।
আর গায়র চামরা সরে যাচ্ছে আস্তে আস্তে । এবার গায়ের মাংস সরে যেতেই ঋতুজাদম আটকে ফেলে দেখল অনিকেতের নালির কাছটা ।
প্রায় কয়েকবার পোঁচ নালির ওপর , পরপর অথবা একই জায়গায় ।
অনিকেত কি মানুষ নয় ? প্রেতাত্মা ?
আর নয় ঋতুজা নাফ মেরে উঠল এগিয়ে আসা আনিকেত এর উপর । ভূত আর মানুষ এর লড়াই ।
অনিকেতের হাতে ব্লেড , যেটা দিয়ে সে ঋতুজার নালি কাটবে ।
সে অতৃপ্ত আত্মাদের মধ্যে সবচেয়ে নবীন । এবং প্রাবীন হবার জন্য সে ঋতুজার গলায় বসতে গিয়ে বসতে পাড়লো না । প্রবল বিক্রমে ঋতুজা ভূতের ব্লেডটাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে জানালার বাহিরে পড়তেই যেন সারা হস্টেল জুরে যেন এক ঝড় উঠল । ভূমিকম্প হলো । শোনা গেল প্রেতাত্মাদের হাসি ।
ব্লেডের ধাতব শব্দ
আর সেই ভয়ঙ্কর স্লোগান , ‘‘ ‘‘ * নালি কাটতে গেলে কি পদ্ধতি লাগে তা এখন দেখাচ্ছে ‘‘ ।*
সে এক ভয়াবহ মূহূত আরও ভয়াবহ দৃশ্য ।
ঋতুজা তার ঘড়ের চালটা যেন একটা গলা । আর তাতে প্রেতাত্মা অনিকেত নখ দিয়ে চিরে দিল আর ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটল চাল থেকে ঋতুজার ওপর ।
এতক্ষনে এত ঘটনার পর ঋতুজা পুরোপুরি বুঝে যায় , ঐ চৌদ্দ খুনের খুনী হিসেবে এই ইনকেত জড়িয়ে নয় , এই নিজেই চৌ্দ্দ নাম্বার মৃত ।
আর কোনো নতুন অনিকেত বা মৃত অনিকেত বলেও আলাদা কিছু নেই । দুজনেই সবাগ্রে এক ।
অনেক লড়াই এর পর প্রেত ব্যথ হয় । তবুও সে ক্ষিপ্ত স্বরে বলে –* তোমার মরতে হবে ঋতুজা ।
যেমন আমায় মরতে হয়েছে অকালে ।* আবার একবার পৈশাচিক হাসি হাসে অনিকেত ।
এত ভৌতিক ঘটনা ঋতুজার জীবনে প্রথম ।
বা রক্তে স্নান করাও ।
সে দৃঢ় অথচ ভয়মিশ্রিত কন্ঠে বলে –* কে আপনি * ? কেন এসেছেন * * এখানে ?* *মানুষের স্থানে আপনি প্রেত হয়ে কেন এসেছেন বলুন বলছি * !
প্রেত অনিকেতের কাছ থেকে চৌদ্দজন কে খুন করার ব্লেড টা নেই । তাই সে আরও ক্ষিপ্ত। সে কি একটা খুঁজতে খুঁজতে মিসিয়ে গেল ধোয়ার মতো । আর রেখে গেল একটা চিঠি —-
’’ * ঋতুজা আপনার নালি কেঠট মারার দায়িত্ব ছির আমার * * আর আমাকে মেরেছে গত ২৫ বছর আগে খুন হওয়া অমৃতা । আপনি শেষ * * হলে ।আর ও একজনকে আপনি নিজে বেছে হত্যা করতেন । কিনতু সেটা হলো না ।কারন আমি ভুল করে ফেলছি । মানুষ ছদ্মবেশে থেকে আমার বিবেক বেধেছে । বলা ভালো আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি ।
*কিন্তু তবুও আমি প্রেত আর বিশ্বাসঘাতক প্রেত । আপনাকে তাই বলি এই চিরন্তন * * মৃত্যুর অজানা রহ্যস ।*যে * * স্কুলে অমৃতা খুন হয় সেই স্কুলের মাটিতে পোঁতা আছে সবপ্রথম যে ব্যক্তি* * কোনো কিছু অন্যায় , অপরাধ না করে ও কিছু খুনীর ব্লেডে গলা চিরে নিহত হয়েছিলেন * * তার মৃত দেহ । যাকে আমি প্রথম দেখেছিলাম স্কুল মাঠে ।যাই হোক সেই ব্যক্তি প্রতিশোধ এর নেশায় তাকে যে ব্লেডে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে অতৃপ্ত আত্মা হয়ে খোজে তার খুনীদের।*
কিন্ত বহু বার খোজার ও যখন তার খুনীদের পায় না তখন রেগে গিয়ে ঐ ব্লেডটা দিয়েই নাল কেটে মেরে ফেলে ঐ অঞ্চলের এক সৎ দোকানদার প্রতাপ * * মালিক কে । শুরু হলো বিচার না পাওয়া অপরাধী রূপ নিদোষীর মনের বাগ নেভানো , একের পর এক * * ভৌতিক প্রতিশোধের খুন ।*
*একসময় স্কুল হলো ঐ মাঠের উপর , যেখানে বারোটা * * নিরপরাধ মানুষ নিবিচারে খুন হয়ে অন্য কোনো নিরপরাধ মানুষকে কেবল মাএ প্রতিশোধের বসে হত্যা করেছে তাদের সকলের মৃতদেহে ।*
*আর একদিন অমৃতা একা হাত মুখ ধুয়ে গিয়ে জানালা দিয়ে আসা দেবদূতের আত্মার ব্লেডে তেরোটা পোঁচে মৃত্যুর কোলে ঠলে পড়ে ।
*যে মরবে সে যতনম্বরে থাকবে ততবার পোঁচ পড়বে তার গলায় ।
*অমৃতা হত্যার দীঘ পঁচিশ বছর পর ছিল আমার পালা *। *আমিও মরলাম চৌদ্দবার ব্লেডের নৃশংস ভাবে।হয়ত আমি ও ভালো ছিলাম জানেন * ,* তাই ভালো আত্মার হাতেই আমি শেষ হলাম ।লিস্ট টা তো আমার নামের নিচে যে রক্ত ছিল * * সেটা ততদিনই ছিল যতদিন আপনাকে আমি খুজে পাইনি । কিন্তু আর আপনাকে শেষ করা হলো না । আপনি ব্লেডের অস্তিত ধ্বংস করেছেন । আর আমি ও আমার সঙ্গীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা * * করে জানিয়ে গেলাম সব কিছু ।
চোখে জল এলো ঋতুজার । হৃৎপিন্ড ঠকঠক করে কপছে । মাথা ঘুরে পড়ে গেল চিঠি টা হাতে নিয়ে ।
পরদিন সকালে হস্টেল ম্যানেজার ঋতুজা ঘরের দড়জা অনেক বার নক করা , ডাকাডাকি করা সত্বেও কোনো সারা পেল না তখন দড়জা ভেঙে এক ভয়ানক দৃশ্য দেখেন ।
সারা ঘর রক্তে ভরে গেছে । অনিকেতের মৃতদেহ তখন তারাহুড়োর চোটে কেউ খেয়াল করে না কারন ঋতুজা তখন ও জীবিত । তাকে দ্রুত হসপিটাল নিয়ে যাওয়া হলো ।
নাঃ অনিকেতের মৃত্যু নিয়ে একশ শতাংশ প্রমানিত সে গলায় জ্যাকেটের ফিতে শক্ত করে কলার সমেত বেঁধেছিল এবং খুলতে ব্যথ হয়ে শ্বাস আটকে মৃত্যু বরন করেছে ।
কিন্তু সব স্বাভাবিক হওয়ার পর ঋতুজার কথা কেউ বিশ্বাস করল না ।
এমন কি চিঠিটাও পড়লো না কেউ ।
বহুবার চেষ্টা করে ও সে এই গোটা ঘটনাটা সত্রতা প্রমান করতে পারে না।
কেন ? মানুষ এত অবিশ্বাস করছে তাকে ?
মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে তার ।সে চিঠিটা যত্ন করে রেখে দিল তার কাছে ।
কেউ না বিশ্বাস করলে ও সে বিশ্বাস করে , সে জানে এটাই সত্য ।
একাকীত্ব গ্রাস করছে । আযনার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে চমকে ওঠে সে ।
একি ! তার গলায় এটা কিসের দাগ ?
ঋতুজা নিজের নাম বলে কিন্তু হাওয়ার মত ভেসে যায় সেটা । ঠিক যেমন নালি কাটা আত্মার হয়।
তাহলে কি অনিকেত তাকে খুন করেছে ?
কীভাবে কখন করল ?
সে তো জানে না । আর সে বেচেঁই বা আছে কী করে ?
আর তাই কি সে ভূতের চিঠি বিশ্বাস করেছে আর সে ভূত বলে মানুষ তাকে অবিশ্বাস করছে।
হায় ! সারাজীবনের প্রশ্ন থেকে গেল যে ঋতুজা জীবিত নাকি মৃত ?
***** সমাপ্ত *****