শিশুশ্রম: বাংলাদেশে এই প্রথম শিশুশ্রম মুক্ত উপজেলা হচ্ছে কেরানীগঞ্জ

বাংলাদেশে এই প্রথম শিশুশ্রম মুক্ত  উপজেলা হচ্ছে  কেরানীগঞ্জ

বাংলাদেশে এই প্রথম শিশুশ্রম মুক্ত উপজেলা হচ্ছে কেরানীগঞ্জ তাই আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশকে শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার জন্য পাঁচটি কৌশলগত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ দেশের প্রথম শিশুশ্রম মুক্ত উপজেলা হচ্ছে ঢাকা কেরানীগঞ্জ। তাই আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশকে শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার জন্য পাঁচটি কৌশলগত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয় বলে জানা গেছে। রাজধানী থেকে অদূরের কেরানীগঞ্জ উপজেলাকে শিশুশ্রমমুক্ত প্রথম মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ চলছে। গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রকল্পের অংশীজনরা এ কথা তুলে ধরেন ।

image-148713-1612440874bdjournal

ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে টেকসই ও স্থায়িত্ব উন্নয়ন লক্ষ্য -৮ অর্জনে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশর শিশুশ্রম দূরী করণে প্রেক্ষাপটে প্রণীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়ে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচনা করা হয় আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশকে শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার জন্য পাঁচটি কৌশলগত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব বেগম হাজেরা খাতুন বলেন , গত কয়েক দশকে থেকে বেশি বাংলাদেশ শিশুশ্রম নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তা সত্ত্বেও, দেশের ৫-১৭ বছর বয়সী ৬.৮% শিশু এখন ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের সাথে জড়িয়ে আছে ।

তিনি আরো বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রমমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জাতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধীনে সহিংসতা,সমাজে অধিকার বঞ্চিত ও নির্যাতন থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য এই পরিকল্পনা গুলো গ্রহণ করা হয়েছে । বাংলাদেশের দেশের প্রথম শিশুশ্রম মুক্ত উপজেলা হচ্ছে কেরানীগঞ্জ। তাই আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশকে শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার জন্য পাঁচটি কৌশলগত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয় সেখানে। ঢাকা রাজধানীর অদূরের কেরানীগঞ্জ উপজেলাকে শিশুশ্রমমুক্ত এই প্রথম মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে ।

image

গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রকল্পের অংশীজনরা এ কথা গুলো তুলে ধরা হয় । ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে যৌথ উদ্যোগে টেকসইওস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্য-৮ অর্জনে ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম দূরীকরণে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রণীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশকে শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার পাঁচটি কৌশলগত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে সেখানে । ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব চাইল্ড প্রোটেকশন নাটালি ম্যাককলি বলেছেন , বাংলাদেশকে শিশুশ্রম মুক্ত করতে হলে সামাজিক কর্মকাণ্ডের পরিধি আমাদের গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বাড়াতে হবে।

3

গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিশুদের তথ্য রাখার জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে। ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাপক এলিসা ক্যালপোনা আরো বলেন, চলিত ২০২২ সালে ইউনিসেফ এবং কারখানা ও স্থাপনার পরিদর্শন বিভাগ এবং শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয় এসডিজি লক্ষ্য মাত্রা পূরণের জন্য শিশুশ্রম নির্মূলে কাজ করতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বলে জানান । সাথে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ আরো বলেন শিশু শ্রমমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে একটি জাতীয় কমিটি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *