সর্বনিম্ন জান্নাতির জান্নাত

***দু’জন সর্বনিম্ন জান্নাতির জান্নাত***

১. বিখ্যাত সাহাবি হযরত মুগিরা ইবনে শুবা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, হযরত মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ তায়ালাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আল্লাহ! বেহেশতিদের মধ্য থেকে সবচেয়ে নিম্নস্তরের বেহেশতে কে থাকবে? আল্লাহ তায়ালা উত্তর দিয়েছিলেন, যখন সকল বেহেশতি বেহেশতে চলে যাবে, জাহান্নামিরা চলে যাবে জাহান্নামে, তখন একব্যক্তি জান্নাতের বাইরে থেকে যাবে। সে জান্নাতের আশে পাশে কোথাও ঠাঁই নেবে।

jannat-20220123210940

আল্লাহ তায়ালা তাকে বলবেন, দুনিয়াতে থাকাকালে নিশ্চয়ই তুমি বড়ো বড়ো রাজা-বাদশাহর গল্প শুনেছো। সেসবের মধ্য থেকে তোমার পছন্দনীয় গল্পটি আমাকে শোনাও। কতোটা বিস্তৃত ছিলো তাদের রাজত্ব। তোমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমাকে শোনাও। তখন সে ব্যক্তি বলবে, হে আল্লাহ! আমি অমুক অমুক বাদশাহর গল্প শুনেছি। তাদের রাজত্ব ছিলো বিশাল। তারা আপনার পক্ষ থেকে বিপুল নিয়ামত পেয়েছিলো।

2108100246

আহা! আমিও যদি সে রকম রাজত্ব পেতান। এভাবে সে তার জ্ঞানের ঝুলি থেকে চারজন বাদশাহর গল্প শুনাবে, যারা দুনিয়াতে বিভিন্ন সময় রাজত্ব করেছিলো। বিস্তারিত শোনার পর আল্লাহ। তায়ালা বলবেন, তুমি তো তাদের রাজত্বের কথা শুনালে, কিন্তু তাদের জীবনের ভোগ বিলাশের কথা তো শুনালে না। তখন সে তার ইচ্ছেমত তাদের সেসব ভোগ-বিলাসের কথা তুলে ধরবে।
আল্লাহ তায়ালা তখন তাকে জিজ্ঞেস করবেন, আচ্ছা! সেসব রাজা- বাদশাহর গল্প, তাদের রাজত্বের গল্প, তাদের এলাকার গল্প ও ভোগ- বিলাসের গল্প আমাকে শুনিয়েছো, তার সবগুলো যদি তোমাকে একসঙ্গে দেয়া হয়, তাহলে কি তুমি খুশি হবে? তখন সে লোকটি আরয করবে, হে আল্লাহ!

এর চাইতে মহান নিয়ামত আর কি হতে পারে! আমি অবশ্যই খুশি হবো। আল্লাহ তায়ালা বলবেন, তোমার গল্পের চার রাজা-বাদশাহ, তাদের নয়ানাভিরাম রাজত্বও ভোগ বিলাশের চেয়েও দশগুণ প্রাচুর্য আমি তোমাকে দান করলাম। সর্বনিম্ন আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা আলাইহিস সালাম-কে বললেন, বেহেশতির অবস্থা হবে এমনই। এ কথা শোনার পর হযরত মুসা আলাইহিস সালাম বললেন!

jannat-20220123210940

এ যদি হয় সর্বনিম্ন বেহেশতির অবস্থা, তা হলে আপনার সেই প্রিয় বান্দার অবস্থা কি হবে, যাকে আপনি উচ্চতর জান্নাত দান করবেন? আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রিয় বান্দা হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করবে, তার সম্মানে আমি যেসব আয়োজন করবো, সে গুলো তো সৃষ্টি করে আমি এমন এক সুরক্ষিত ভাঙারে এমন ভাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি যে—‘যা কোনো চোখ দর্শন করে নি, কোনো কান যার কথা শ্রবণ করে নি এবং যা কোনো মানুষ আজো কল্পনা করে নি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *