সালফার বাটিক করার নিয়ম

সালফার বাটিক করার নিয়ম

আসসালামুয়ালিকুম আজকে আমরা জানবো সালফার গ্রুপের কি কি উপকরণ লাগবে এবং এটা আমরা কিভাবে করতে পারি অতি সহজে আমাদের ঘরের হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়ে। আমরা জেনে নেই কি কি আমাদের উপকরণগুলো লাগবে।
বাটিকের প্রয়োজনীয় উপকরণ নিম্নে দেওয়া হলঃ
উপকরণ
১। লোহার পাতই
২। কাঠের কাঠের
সাবধানতাঃ
চোখে যে কোনো ক্ষতি না হয় এবং মুখে যেন না লাগে বা তাদের থেকে দূরে রাখবেন বাটিকের সালফার গ্রুপের প্রতি কেজিতে ১ তোলা করে রং লাগে

image

সালফার বাটিক করার নিয়ম

রং তৈরির উপকরণ :-
এক নাম্বার সালফার রং একতলা প্রতি গজের জন্য
দুই নাম্বার সোডিয়াম এক তোলা।
তিন নম্বর খাবার লবণ পরিমাণমতো
চার নাম্বার পানি পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালীঃ পরিমাণমতো ফুটন্ত পানিতে প্রথম সোডিয়াম দিয়ে নিতে হবে।গলাতে একটু সময় লাগে সোডিয়াম দেওয়ার সময় চুলার আঁচ কমিয়ে দেবেন। এরপর খাবার লবণ দিয়ে দেবেন। আর কাঠের লাঠি দিয়ে নাড়তে থাকুন। সোডিয়াম গলে গেলে সালফার রং দিয়ে আবার ভাল করে নাড়তে হবে।

এখন যে কাপড়টা তে আমরা বাটিক করব সেই কাপড়ের মধ্যে আপনারা চাইলে ডিজাইন করে নিতে পারেন। করার জন্য আমাদের প্রয়োজনে হাতের কাছে থাকা যেমন কোন এটার ইটের কনা বা মার্বেল তারপরে, এটাও হতে পারে যে কলমের জিপি যা দিয়ে আমরা সুন্দর করে ভিতর দিয়ে ওটা আমরা সুতা দিয়ে পেচিয়ে বেঁধে নেবেন। এরপর শক্ত করে বেঁধে নেওয়ার পর আমরা খেয়াল রাখব যাতে ওই জায়গাটা কোন অংশে খালি না থাকে।

36

সালফার বাটিক করার নিয়ম

আবার আমরা যদি সেট করতে চাই তাহলে আমরা অনেকাংশ জায়গার মধ্যে অনেকটা জায়গা জুড়ে আমরা সুতা দিয়ে ভারী করে বেঁধে নিতে পারি।

এবং পরবর্তীতে যখন আমাদের রং করা হয়ে যাবে আমরা চাইলে ওই ভাগ্য খুলে যে অংশটুকু রং করেছে ওই অংশটা আবার বেঁধে তারপর আমরা চাইলে ওই সাদা অংশটুকু আবার অন্য কোন কালারের রং করতে পারি।

এভাবে কিন্তু আমরা শেড টাইপের বা কোন কালার যেটা আমরা বলি যে অনেক সময় দেখা যায় একটা বাটিকে অনেক রকমের কালার ফুটে ওঠে তো ঐরকম ভাবে আমরা করতে পারি।

সালফার বাটিক করার নিয়ম

কাপড় সুন্দর করে ডিজাইন করার পর।যে কাপড়টা আমরা রং করব সেই কাপড় টাতে অবশ্যই যদি মাথাকে আমার ছাড়িয়ে দেবো মারা ছাড়িয়ে নিব।রং করার পূর্বে কাপড় টা 30 মিনিট পর্যন্ত আমরা ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখব।

এবার রঙের পানি ফুটে উঠলে কাপড়খানা ফুটন্ত পানির মধ্যে 10 থেকে 15 মিনিট চুলার উপরে রেখে নাড়াচাড়া করতে হবে।

নাড়াচাড়া করার সময় খেয়াল রাখব অবশ্যই আমরা খেয়াল রাখব যাতে আমাদের চোখে মুখের রং গুলো না যায়। কারণ রং মধ্যে যে কেমিকেল থাকে তা আমাদেরকে খুব ক্ষতি হতে পারে।

আর অবশ্যই আমরা এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবে বাচ্চারা যেনো আমাদের আশে পাশে না থাকে। বাচ্চাদের কাছ থেকে এসব জিনিস দূরে রাখা অনেক ভালো। আমাদের বাচ্ছাদে ক্ষতি করতে পারে।যখন এগুলো দিয়ে কাজ করব তখন আমরা সাবধানতা অবলম্বন করব।

সালফার বাটিক করার নিয়ম

এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ধুতে হবে । ঠান্ডা পানিতে ভালো করে ততক্ষণ পর্যন্ত দিতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত এটা থেকে রং বেরিয়ে না যায়।

তারপরে আমরা এটাকে সরাসরি সূর্যের আলোতে সুকাতে দেবো না। এতে আমাদের কাপড়ের রং টা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।তাই আমরা এটাকে ঠান্ডায় স্থানের যেমন ঘরের ভেতরে বা ছাউনিতে আমরা শুকাতে দেবো।

কাপড় গুলা হালকা শুকিয়ে আসে তারপর আমরা যে আমরা যেভাবে কাপড় গুলো বেদে ছিলাম এবং কাপড়ের মধ্যে সুতা দিয়ে পেয়েছিলাম গুলো আস্তে আস্তে খুলে নিতে হবে।

এই ক্ষেত্রে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে কেচি বা ব্লেড দিয়ে সুতা কাটার সময় কাপড় যাতে না কেটে যায়।
আমরা চাইলে কিন্তু সুব সুন্দর করে নিজের মন পছন্দ মত করে জামা বানিয়ে নিতে পারি। দেখতে খুব ভালো লাগে নিজের হাতে করা আমার নিজের জামা।

আমার নিজের জামা আমরা কিন্তু নিজেরা নিজেদের কাজ করতে পারি। এতে আমাদের জিনিস খুব আনন্দ হয়।না আমরা নিজেরা কিছু করতে পারি।অতি সহজে খুব হাতের কাছে থাকা জিনিস গুলো যদি আমরা কিছু করতে পারি আমাদের নিজেদের অনেক ভালো লাগে।

Batiq

সালফার বাটিক করার নিয়ম

এভাবে আমরা কাজ করে কিন্তু আমাদের ছোটখাট যে সিম্পল জামা গুলো আছে ওইগুলো কিন্তু আমরা চাইলেই স্পেশাল করে তুলতে পারি। আমাদের নিজের হাতে কাছে যেটা আমরা চাইলে অনেক সহজেই করতে পারি।অনেকটা সময় আছে আমরা যারা অলসতা সময় কাটায় বা কিছু করতে চাইনা বা কিছু করতে চাইলেও পারিনা। তারা কিন্তু চাইলে আমাদের ঘরের কাজ গুলোও বা আমাদের নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আছে ওইখানে কিন্তু আমরা খুব সুন্দর করতে পারি একটু স্পেশাল করতে পারি যা প্রিয়জনদের কাছে চাইলে আমরা নিজেদেরকে আরো প্রিয় করে তুলতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *