সেতু ভেঙে ১৪১ জনের মৃত্যু ভারতের গুজরাটে, এই বিপুল প্রাণহানির কারণ ব্যখ্যা করলেন এনডিআরএফ প্রধান

সেতু ভেঙে ১৪১ জনের মৃত্যু ভারতের গুজরাটে

মোরবীতে বাড়তে থাকা এই মৃত্যুর ব্যখ্যা হিসেবে পারিপার্শিক অবস্থা – সহ একাধিক বিষয়কে দায়ী করলেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান কর্মকর্তা ।

সেতুর দু’পাশে অগভীর জল ,পাথুরে জমি , গুজরাট ব্রিজ বিপর্যয় কাণ্ডে শতাধিক মৃত্যুর ব্যখ্যা দিলেন এনডিআরএফ প্রধান কর্মকর্তা । ছটো পুজোর দিন রাতে মাচ্ছু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ায় সলিল ঘটে প্রায় ১৪১ জনের বেশি মানুষ । নিখোঁজ ছিল আরও অনেকে জন ।

মোরবীর সেতু দুর্ঘটনায় ক্রমেই বাড়তে থাকে মৃত্যু সংখ্যা গুলি । এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু নিয়ে বার বারই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীদের ।

এবার মোরবীতে বাড়তে থাকা এই মৃত্যুর ব্যখ্যা হিসেবে পারি পার্শিক অবস্থা – সহ একাধিক বিষয়কে দায়ী করলেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান কর্মকর্তা ।
রবিবার ছটো পুজোর দিন গুজরাটে মোরবী শহরে মাঝ নদীতে ভেঙে পড়েছে একটি ঝুলন্ত সেতু।

ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের। এই বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির কারণ হিসেবে এনডিআর এফ প্রধান ভিভিএন প্রসন্ন কুমার জানালেন , সেতুর দু’দিকে জলের গভীরতা মাত্র ১০ ফুট রয়েছে ।

জলের নীচে বিস্তর পাথুরে জমি, ব্রিজ ছিড়ে নদীতে পড়ার ফলে জলের তলায় শক্ত পাথুরে জমিতে কাজ আঘাত পান পুন্যার্থীরা। যার ফলে অধিকাংশ লোকই সাঁতরে পাড়ে আসার বা বাঁচার চেষ্টা করার কোনও সুযোগ ছিল না তাদের । পাথুরে জমিতে আঘাত পাওয়ার জেরে মৃত্যু হয় তাঁদের সবার ।

প্রসন্ন আরও জানান মাচ্ছু নদীর গভীরতা অত্যন্ত কম , বড়জোর ১০ ফুট হবে ।

যার ফলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সহজেই নদীর তলদেশে পৌঁছে যেতে পেরেছে। পাশা পাশি নদীতে স্রোত ও বিশেষ না থাকায় মাঝ নদীতে যারা পড়েছে তাঁদের বয়ে যাওয়ারও কোন ও সম্ভাবনা নেই। মূলত পাথরে আছড়ে পড়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ মানুষদের।

এনডিআরএফ প্রধান জানিয়েছেন জলের তলায় দৃশ্যমানতা কম থাকার জেরে উদ্ধার কাজে সমস্যা হচ্ছে । এখন পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ২ -৩ জনের । তাঁদের খোঁজ চলছে এখনো ।

প্রসঙ্গত , রবিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ জন পর্যটক – সহ গুজরাটের মাচু নদীর উপর ভেঙে পড়ল ঝুলন্ত সেই সেতু। ঘটনায় সলিল সমাধি কম পক্ষে ৯০ জনের। নিখোঁজ শতাধিক। ক্রমেই বাড়ছে হতাহ তের সংখ্যা গুলো ।

উল্লেখ্য ,মেরামতের জন্য দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল এই সেতু।

দীর্ঘ রক্ষণা বেক্ষণের পর গত ২৬ অক্টোবর সেতুটি জন সাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু উদ্বোধনের মাত্র তিনদিনের মাথায়ই ঘটল মর্মান্তিক বিস্ময়কর দুর্ঘটনা।

ঘটনার পরই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল টুইট করে জানিয়েছেন , উদ্ধারকাজে গতি আনার পাশা পাশি একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে , দুর্ঘটনায় ক্ষতি গ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য এবং পরিস্থিতির দিকে সজাগ নজর রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ।

ইতিমধ্যেই ক্ষতি গ্রস্তদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ও ঘোষণা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে একটি টুইট করেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল।

টুইটে তিনি লিখেছে, এই ঘটনায় তিনি মর্মাহত এবং আহতদের চিকিৎসা এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজে গতি আনতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে লেখেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *