হযরত আইয়ূব (আ.)-এর স্ত্রী বিবি রহমত
হযরত আইয়ূব (আ.)-এর স্ত্রী বিবি রহমত
হযরত আইয়ূব (আ.)-এর স্ত্রীর নাম ছিল রহমত। তিনি স্বামীর এমন সেবা করেছেন, যা ইতিহাসে প্রসিদ্ধ ।
একবার হযরত আইয়ূব (আ.) খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন । তাঁর সারা শরীর জখমে ছেয়ে যায় পুরো শরীর।
তাঁর আপনজন সকলেই তাঁর কাছ থেকে সরে পড়ে এবং কাছে থাকেন কেবল তাঁর স্ত্রী রহমত বিবি ।
হযরত আইয়ূব (আ.)-এর স্ত্রী বিবি রহমত
তিনি তাঁর খেদমতে থাকেন তখন। সব রকম কষ্ট বরদাশত করেন ও স্বামীর সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেন নিজেকে ।
একবার হযরত আইয়ূব (আ.) কোন কারণে বিবি রহমতের প্রতি রাগান্বিত হয়ে কসম করেন যে,আমি সুস্থ হলে তাঁকে একশত বেত্রাঘাত করব আইয়ূব বললেন।
তিনি যখন সুস্থ হন তখন তাঁর কসম পূরণ করার এরাদা করেন । এখন স্ত্রীকে একশ বেত্রাঘাত করতে হবে।
হযরত আইয়ূব (আ.)-এর স্ত্রী বিবি রহমত
বিষয়টি খুবই কঠিন, এমন সতীসাধ্বী ও স্বামীর খেদমত পরায়ণা স্ত্রীকে একশত বেত্রাঘাত করতে হবে । আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে বিষয়টি সহজ করে দিলেন।
তিনি হযরত আইয়ূব (আ.)কে বলে দিলেন,একশত শলাকা বিশিষ্ট একটি ঝাড়ু নিয়ে একবার আঘাত কর তার পর তাহলে এটাকেই একশত আঘাত হিসেবে গণ্য করা হবে
এবং এভাবে কসম পূর্ণ হয়ে যাবে তিনি তা-ই করলেন এবং বিবি রহমত সহজে একশত বেত্রাঘাত খাওয়া থেকে মুক্তি পেলেন ।
হযরত আইয়ূব (আ.)-এর স্ত্রী বিবি রহমত
ফায়দা : চিন্তা করে দেখার বিষয় হল বিবি রহমত কত সতীসাধ্বী নারী ছিলেন যে, এমন কঠিন দুর্দিনেও স্বামীকে ছেড়ে চলে যাননি।
স্বামী হযরত আইয়ূব (আ.) কসম করেছেন তাকে শাস্তি দিবেন অনেক পরিমানে।
এতে বোঝা যায় হযরত আইয়ূব (আ.)-এর মেজায তখন কঠিন হয়ে পড়েছিল ।
হযরত আইয়ূব (আ.)-এর স্ত্রী বিবি রহমত
কিন্তু স্ত্রী সবই নীরবে সহ্য করেছেন এবং স্বামীর খেদমতে নিয়োজিত থেকেছেন তবুও এরই বরকতে আল্লাহ তাআলা তাঁকে বিশেষ অনুগ্রহ করে বেত্রাঘাত থেকে বাঁচিয়েছেন অসুস্থ থেকে।
বোঝা গেল স্বামীর খেদমত করলে আল্লাহ তাআলা এরকম খুশী হন যে,তার জন্য সব রকম আছানীর ব্যবস্থা করে দেন আল্লাহর পক্ষ থেকে।
হযরত আইয়ূব (আ.)-এর স্ত্রী বিবি রহমত
স্বামীকে অখুশী রাখলে আল্লাহ তাআলাও অখুশী হন । এ বিষয়ে হাদীছে এসেছে এরূপ নারীর প্রতি লানত হতে থাকে।