হাওয়া’য় কলকাতা তোলপাড়, কি বলছেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী
যাযাবর পলাশ –
ওপার বাংলার কলকাতার বুকে শুরু হয়েছে “৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব”। গেলো ২৯ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই আয়োজন চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। আগের তিনবারের তুলনায় এবারের আয়োজন যেন দারুণ জমে উঠেছে। নন্দনের বাইরের ভিড়ই বলে দিচ্ছে এবারের আয়োজন কার্যত সুপারহিট।
দেশের এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এবং জনপ্রিয় তারকা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সাম্প্রতিক বাংলাদেশের বক্স অফিস কাঁপানো সুপার হিট সিনেমা ‘হাওয়া’ যে এই উৎসবের মুখ্য আকর্ষণ ছিলো, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইন্টারনেটের যুগে ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানের ঝড়ে দুই বাংলায় তুমুল আলোচিত ‘হাওয়া’ ছবিটি ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনা এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলাতেও গিয়ে পৌঁছেছে অনেক আগেই। আর তাই সেখানেও গিয়েই রীতিমতো ঝড় তুলেছে বাংলাদেশের ‘হাওয়া’।
দেখা যায়, উদ্বোধনী দিনই সকাল থেকে কলকাতার দর্শকরা নন্দনে ‘হাওয়া’ দেখতে প্রচুর ভিড় শুরু করে দেন। এ যেন হুড়োহুড়ি করে সিনেমা দেখার উৎসব। চলমান সময়ে এমন উত্তেজনা কলকাতার সিনেমাতেও দেখা যায়নি। এমনকি ওপার বাংলার অসংখ্য অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং নির্মাতাদের মনেও দাগ কেটেছে বাংলা সিনেমা ‘হাওয়া’।
এমন জমজমাট সাফল্যের চিত্র দেখে ওপারের মিডিয়া গুলো বলছে, “টলিউডকে টেক্কা দিয়ে কি ছাপিয়ে গেল বাংলাদেশ?” কলকাতার প্রভাবশালী এক গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে টলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী গুণী অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী ঢাকাই সিনেমার সাথে টলিউডের তুলনা করে বলেন,
বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পী ওপার বাংলাতেও ভালো কাজ করছেন এবং এপার বাংলাতেও এসে চুটিয়ে কাজ করছেন। অথচ টলিউডের শিল্পীরা বাংলাদেশে গিয়ে কাজ করা তো দূর, এখানেও দর্শকদের মনে সেভাবে দাগ কাটতে পারছে না। বাংলাদেশের নাটকের ভক্ত চিরঞ্জিৎ জানান, তিনি প্রতিদিনই ট্রেডমিলে হাঁটার সময় ৪০-৪২ মিনিটের একটি বাংলাদেশি নাটক দেখেন। কিন্তু টলিউডে ৪০ মিনিটের ছবি কেউ বানায়ই না।”
উল্লেখ্য, মেধাবী নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’য় শক্তিমান অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও অভিনয় করেছেন নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, নাসিরউদ্দিন খান, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল সহ আরও অনেকে। ছবিটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে গত ২৯ জুলাই মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির পর থেকেই দেশ মাতিয়ে বিশ্ব মাতিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের ‘হাওয়া’। এবার সেই হাওয়ায় লণ্ডভণ্ড হচ্ছে কলকাতা।