Under The Hawerthon Tree Chinese Emotional
আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা।
আমি জেরিন আফ্রিদি।আজকে আমি একটা সাদামাটা সুন্দর গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি।যে গল্পটা শেষ অব্দি দেখলে আপনাদের চোখের কোনে পানি আসতে বাধ্য।যে গল্পটার নাম Under the Hawerthon tree।এই গল্পটা আঠারোশ শতাব্দীর মাঝামাঝি চায়নার একটি ঘটনার উপর তৈরি।যে গল্পটা তে দেখানো হয়েছে ভালোবাসার এক নির্মম পরিণতি
।যাইহোক এখন বেশি কথা না বলে গল্পে আসা যাক।গল্পের শুরুতে আমরা দেখতে পাই চায়নার একটি শহর থেকে একদল শিক্ষার্থী একটি গ্রামে এসেছিলো তাদের নিজেদের একটি এসাইনমেন্ট পূরণ করা জন্য। গ্রামের বাসস্ট্যান্ডে তাদের নেওয়ার জন্য Mr.jhong নামের একজন ব্যক্তি অপেক্ষা করছিল।Mr.jhong এর সাথে দেখা হওয়ার পরে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গ্রামের পথে রওনা দেয়।
যেতে যেতে বেশ খানিকটা দূরে Mr.jhong একটা গাছের কাছে থেমে ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝাতে থাকে এই Hawerthon গাছকে বলা হয় একটা বীরের গাছ।কারণ চীন জাপান যুদ্ধের সময় জাপানের সৈন্যরা চায়নার অনেক স্বাধীনতাকামী বীরযোদ্ধাদের এখানে বলি দিয়েছিল।
তাদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে এই গাছের ফুল এখনো রক্তাক্ত লাল হয়ে ফুটে ওঠে।এখানে কিছুক্ষণ রেস্ট করার পরে তারা পৌঁছে যায় Mr.jhong এর ছোট সেই গ্রামে।গ্রামে পৌঁছে ছাত্রছাত্রীরা যে যার বন্ধুদের সাথে তাদের আলাদা আলাদা রুমে চলে যায়।কিন্তু এখানে Shi নামের একটা মেয়ের কোন বন্ধু না থাকায় সে Mr.jhong এর বাসায় চলে যায় তাদের সাথে থাকার জন্য।
এখানে Mr.jhong এর পরিবার তাকে সাদরে আমন্ত্রণ জানায়।Mr.jhong এর স্ত্রী Shi কে তাদের পরিবারের সদস্যদের ছবি দেখিয়ে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিতে থাকে।তাদের বড় মেয়ে শহরে পড়াশোনা করে এবং তাদের ছোট ছেলে বিয়ে করে নিয়েছে এবং তাদের ছোট্ট একটি মেয়ে সন্তান আছে।বাচ্চা মেয়েটার সাথে Shi এর অনেক ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায়।Mr.jhong এর ছোট ছেলে leo এর সাথে দেখা হয়ে যায়।
Sho Mr.jhong এর পরিবারকে নিজের পরিবারের মতন মেনে নিয়েছ।সে তাদের সাথে কাজ কর্ম ও কথাবার্তা একদম মিলে মিশে গিয়েছিল।তাই বিকেল বেলা Shi Lina নামের সে বাচ্চা মেয়েটার সাথে Mr.jhong এর মেজো ছেলেকে ডাকতে চলে যায়।
lina নামের সেই মেয়েটি দৌড়ে তার মেজ চাচার কাছে ছুটে চলে যায়। jisho তার ছোট ভাতিজিকে কোলে তুলে নিয়ে Shi এর কাছে চলে আসে। Shi এর সাথে jisho খুব সহজেই বন্ধুত্ত করে নেয়। তারা সেই বীরের গাছটাকে নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে থাকে।
কারণ shi তার স্কুল থেকে এখানে এসেছিল এই গাছটার ব্যাপারে একটা রিসার্চ পেপার লেখার জন্য। রাতের বেলা Shi Mr.jhing এর পরিবারের সাথে খাবার খেতে খেতে অনেক গল্প করতে থাকে।পরদিন সকালে তারা Mr.jhong এর সাথে চাষাবাদের জন্য জমি তৈরি করার কিছু কাজ শিখে নেয়। এছাড়া shi ওই গাছটার ব্যাপারে লিখতে লিখতে জানালা দিয়ে Jihso ও লিনার মাঝে খুনসুটি দেখে প্রচন্ড খুশি হয়ে যায়।
কিছুক্ষণের মধ্যে যীশু সিইওর খোঁজখবর নেওয়ার জন্য চলে আসে। সিওর লেখার যাতে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য তার টেবিলের ওপরে লাইট লাগিয়ে দেয় শুধু তাই নয় কিছুক্ষণ পর শিওর জন্য সুন্দর একটা কলম উপহার নিয়ে আসে।কিন্তু আজকেই Jisho জানতে পারে আগামীকাল Shi ও তার বন্ধুরা একটা কাজের জন্য শহরে চলে যাবে।
যথারীতি পরদিন শহরে এসে সিও তার স্কুলের স্থানীয় একজন রাজনীতিবিদের প্রচারের জন্য বিশাল এক স্টেজের মধ্যে পারফর্ম করতে শুরু করে দেয়।এই স্কুলের মধ্যেই সিওর মা একজন ঝাড়ুদারের কাজ করতো।তিনি অনেক অসুস্থ ও ছিলেন।শুধু তাই নয় সিওর বাবাকেও একজন রাজনীতি বন্দী হিসেবে জেলে রাখা হয়েছিল।তাই সিও তার সংসার চালানোর জন্য তার ছোট ভাই বোনদের কে নিয়ে রাজনীতি প্রচারের চালানোর জন্য লিফ্রেট বানাতে থাকে।
কিন্তু সিওর মা সব সময় চাইত তার মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে তারই স্কুলে শিক্ষকতা করতে শুরু করে। তো সে নিজেদের কাজ শেষ করে আবার সে গ্রামে ফিরে আসে।তো ভোরবেলা বাস এসেছিল বলে তাকে নেওয়ার জন্য অনেক আগেই যীশু বাস স্টেশনে দারিয়ে ছিল তার জন্য।
তারা দুজন হাঁটতে হাটতে যীশু সিও কে নিয়ে প্রথমে তার একজন সহকর্মী বাড়িতে নিয়ে যায়।যেখানে তারা কিছুটা খাওয়া-দাওয়া করে।এবং তারা দুজন জেতে থাকে গ্রামের মেঠোপথ ধরে তাদের বাড়ি দিকে।যীশু তার হাত ধরে এগিয়ে যেতে চাইলে সিও প্রচণ্ড লজ্জা পাচ্ছিলো তাই যীশু একটা লাঠির মাধ্যমে সিইও কে ধরে তার বাড়ির দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
কিন্তু পথের মধ্যেই যীশু সিওর হাত ধরে তাকে সাথে করে নিয়ে যেতে থাকে।যার কারণে পরদিন সকাল থেকেই সিওর অনেক মন খারাপ থাকে।পরদিন সকালে যীশু তার সাথে দেখা করতে আসলে সিও জানাই আগামীকাল তারা গ্রাম ছেড়ে চিরতরে চলে যাচ্ছে।
হয়তো তারা আর কখনোই এই গ্রামে আসবে না।আর তাছাড়া ও তার মা অনেক অসুস্থ। তাকে অনেক দূরত্ব শহরে যেতে হবে।বেচারা যীশু হতাশ হয়ে বলে তাহলে কি আর কোনদিনও আমাদের দেখা হবে না? যাই হোক তারপরে আমরা জানতে পারি সি ও তার বন্ধুদের সাথে করে আবার সেই শহরে চলে এসেছিল।এবং তার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি পার্টটাইম চাকরির জন্য আবেদন করেছিল।
কিন্তু তার শিক্ষক তাকে বলে যে তুমি এখন অনেক ছোট। তোমার জন্য আমাদের কাছে কোন কাজ নেই। সিও তার কাছে অনেক অনুরোধ করে জে তার মা অনেক অসুস্থ। কিন্তু অধ্যক্ষ তার কোন কথাই শোনে না। তাই বাধ্য হয়ে সিও তার মায়ের জন্য তাদের স্থানীয় কৃষকদের সাথে মাঠে কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করতে থাকে।
কাজ সেরে সিও যখন খাওয়া-দাওয়া করছিল তখনই তার এক বান্ধবী তার কাছে চলে আসে। তার বান্ধবী তাকে সাইডে নিয়ে তার হাতে 200 টাকা ধরিয়ে দেয়।যাতে করে সিওর এত কষ্ট ও পরিশ্রম করে কাজ করতে না হয়। কিন্তু সিও কোন ভাবেই তার বান্ধবীর কাছ থেকে এই টাকা নিতে পারছিল না।
সে তার বান্ধবীকে টাকা ফেরত দিয়ে দ্রুত তার স্কুলে চলে আসে।কাজ শেষ করে তারা আস্তে আস্তে প্রায় অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।তারপরও শিক্ষক তার ছাত্রীদের সাথে সিও কে খেলাধুলা করার সুযোগ করে দেন।সেদিনের মতন খেলাধুলা শেষ করে সিও তার বাড়িতে এসে দেখতে পায়।
Mr.jhong এর ছোট ছেলে তার জন্য উপহার সরুপ অনেকগুলো আখরোট নিয়ে এসেছিল।সেও এতগুলো জিনিস বিনা টাকায় নিতে অনেক লজ্জা বোধ করছিল। তাই সিও তার কৃষিকাজ করে পাওয়া সে টাকাগুলো লুকিয়ে লুকিয়ে লিয়ের ব্যাগে ঢুকিয়ে দেয়। কিন্তু সিও নিজেও মনে মনে যীশুকে দেখতে চাইছিলো।
তাই সে লিওর পিছে পিছে যেতে থাকে। একপর্যায়ে সে দেখতে পায় যীশুও তার ছোট ভাইয়ের সাথে এসেছে। সে লিওর কাছ থেকে সিও র খোঁজখবর নিয়ে আবারও বাড়ির দিকে যেতে থাকে।দুই ভাই যখন নৌকা করে চলে যাচ্ছিল তখনই সিও চিৎকার করে বলে দেয় তোমার ব্যাগে টাকা আছে লিও।
সাবধানে রেখে দিও। সিও কে দেখার সাথে সাথে যীশু নৌকা থেকে লাফ দিয়ে নদীর এপারে চলে আসে।যীশু সিওর হাতে আর কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলে একটা জার্সি কিনে নিও। খেলাধুলার সময় তোমাকে জার্সি ছাড়া একদম বেমানান লাগে।এটা বলে সিওর হাতে কিছু টাকা দিয়ে সে আবারও নদী সাঁতরে নৌকায় চলে যায়।আসলে এতদিনে তাদের দু’জনের মধ্যে এক অন্য রকম সম্পর্ক তৈরী হয়ে গিয়েছিল।
তাই সিও পরদিন যথারীতি তার ইউনিফর্ম পড়ে তার বান্ধবীদের সাথে খেলাধুলা করতে থাকে।আর সেদিন ও তার সাথে দেখা করার জন্য যীশু তার স্কুলের বাইরে এসে দাঁড়িয়েছিল।সেদিনের মতন যীশু কে বিদায় দিয়ে সিও বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় যীশুর সিও র ছোট ভাইয়ের হাতে তার জন্য অনেকগুলো স্ট্রবেরী ও গল্পের বই পাঠিয়েছে। সিও সেগুলো নিয়ে ঘরের ভিতরে গিয়ে গল্পের বইটা পড়তে থাকে।
এভাবে প্রায় ১বছর কেটে যায়। যীশু সিওর জন্য একটা চাকরি নিয়েছিল। সে ওভার টাইম কাজ করে হলেও সিও র সব আবদার পুরন করবে।আর আজকে যীশু এসেছিল সিওর সাথে দেখা করতে। তারা দুজন পার্কের ভিতরে বসে অনেক গল্প করতে থাকে। তত দিনে তারা দুজনেই দুজনকে ভালোবেসে ফেলে ছিল।
তারা দুজন সেদিন অনেক গল্প করে। যীশু সিও কে কথা দেয়। তার জীবনে যাই ঘটে যাক না কেন সে কখনো সিও কে ছেড়ে যাবে না। তারা দুজন এই প্রথমবার একটি জেকটের ভিতর মুরিয়ে দুজন দুজনকে জরিয়ে ধরে থাকে।যীশু বাড়িতে চলে গেলে সিও ও তার বাড়িতে ফিরে আসে।
কিন্তু বাড়িতে ফিরতে কিছুটা রাত হওয়ার কারণে সিওর মাথার ওপর বেশ রেগে গিয়েছিল। কারণ সিও বলেছিল সে তার বান্ধবীর সাথে দেখা করতে যাবে।অথচ তার মা তার বান্ধবীর বাসায় তাকে খুঁজতে গিয়ে তার দেখা না পেয়ে প্রচন্ড টেনশনে পড়ে গিয়েছিল। সিও বাঁচার জন্য আজকে তার মাকে বলে যে মা আজকে গ্রাম থেকে একটা মেয়ে এসেছিলো এখানে।ওর সাথে গল্প করতে করতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল।
সিওর মা বলেছে দেখ তুই আমার কাছ থেকে কিছু লুকাবে না। আমি তোর চাকরির জন্য স্কুলে সুপারিশ করেছি। হয়তো অতিশীঘ্রই তোর চাকরি হয়ে যাবে। চাকরি হওয়ার আগে তুই কোন উল্টাপাল্টা কাজ করিস না।কারণ এতে তাঁর ক্যারিয়ার ও জীবন দুইটাই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। সিও তার মার কথায় রাজি হয়ে যায়। এবং সে তার মায়ের কাছ থেকে জানতে পারে। যে তার বাবাকে শীঘ্রই জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর এখানে বেশ কয়েক মাস পরের ঘটনা দেখানো হয়।
যেখানে সিও তার স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তার নিজের স্কুলেই শিক্ষকতার চাকরি পেয়ে গেছে। কিন্তু সিও তার স্কুলের প্রতি অনেক নিষ্ঠাবান ছিল বলে সে স্কুলের কনস্ট্রাকশনের কাজ এসে সাহায্য করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে শুরু করে।কিন্তু বেচারী একা একা এত বড় ঠেলাগাড়ি নিয়ে কিছুতেই কাজ করতেই পারছিল না। আর তখনই কোথা থেকে যেন যীশু এসে হাজির হয়।সে সিওকে সাহায্য করে স্কুল অব্দি পৌঁছে দেয়। তারা দুজনেই খুব সাবধানে থাকতো ।
কারণ তাদের দুজনকে একসাথে দেখলে হয়তো অনেক বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে।এখানে সিও র শরীর নোংরা হয়ে যাওয়ার কারণে যীশু তাকে সাথে করে নিয়ে একটি নদীর ধারে চলে যায় গোসল করার জন্য। এখানে যীশু সিও কে একটা স্মিং সুট দিলে তা দেখে সিও প্রচণ্ড লজ্জা পেতে থাকে।
যীশু তার ঠেলাগাড়ি উঠিয়ে সিও র জন্য একটি চেঞ্জিং রুম তৈরি করে দেয়।মেয়েটা প্রচণ্ড লজ্জা পাওয়ার পরেও সে তার সুইমিং স্যুট পড়ে যীশুর সাথে অনেক মজা করে গোসল করতে নদীতে নেমে যায়। যীশু প্রচন্ড ক্লান্ত থাকার কারণে সিও র কাধের ওপরই ঘুমিয়ে যায়।আসলে যীশু প্রত্যেকটা দিন ওভারটাইম কাজ করার কারণে প্রতিদিনই ক্লান্ত থাকত।সেদিন প্রথম যীষুু সিও কে একটা কপালে চুমু দেয়।
সিও আবার সে কনস্ট্রাকশন কাজে লেগে পরে।কিন্তু সিমেন্ট বালির মধ্যে কাজ করার কারণে তার পায়ে ঘা হয়ে যেতে শুরু করে।সে বাড়িতে বসে তার পায়ে ব্যান্ডেজ করার চেষ্টা করছিল। তখনই যীশু তার বাড়িতে অনেক ধরনের অনেক গুলা খাবার নিয়ে হাজির হয়। খাবারগুলো খেতে খেতে সিওর ভাই বোন দুজনেই বাইরে চলে যায়।আসলে যীশু গতকাল সিও কে খালিপায়ে ইট সিমেন্টের কাজ করতে দেখেছিল।
তাই সে সিওর কষ্ট দূর করার জন্য তার জন্য এক জোড়া রাবাটের বুট জুতা এনেছিল আজ।সে সিও কে তারাতাড়ি জুতাগুলো দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তারপর দিন থেকে সিও যীশুর দেওয়া সেই জুতোগুলো পড়ে কাজ করতে থাকে। কিন্তু ততদিনে সিওর পায়ের ঘা বেশ সংক্রমিত হয়ে গিয়েছিল। তাই আজকে যীশু সাইকেল নিয়ে এসেছিল সি ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাবে বলে।কিন্তু কোনোভাবেই সিও হাসপাতালে যেতে রাজী হচ্ছিল না।
কারন সে ইনজেকশন দিতে অনেক ভয় পায়। সিওকে হাসপাতালে যেতে রাজি করানোর জন্য যীশু নিজেই নিজের হাত কেটে বলে এখন তো আমরা হাসপাতালে যেতে পারি তাইনা।যীশুর এরকম অবস্থা দেখে সিও হাসপাতালে যেতে রাজি হয়ে যায়। তারা দুজন আর্মি হাসপাতালে পৌঁছে যায়।
সেখানে ডাক্তাররা সিওর পায়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়। এছাড়া যীশুর হাতেও ব্যান্ডেজ করে দিয়ে আজকের মতন তাদের রিলিজ করে দেয়।তারা দুজন আজ প্রচন্ড খুশি ছিল। সিও কে যেন কেউ চিনতে না পারে। তাই যীশু তার শার্ট খুলে সিও কে ঢেকে তোদের বাড়ির দিকে যেতে থাকে।
তারা রাস্তা দিয়ে খুব মজা করতে কত যাচ্ছিল। কিন্তু একপর্যায়ে তারা সিওর মার সামনে এসে থামে যায়।আর যথারিতি তার মা তাদের দুজনকে ধরে বাসায় নিয়ে যায়।সেখানে সিওর মা যীশুকে তাদের অবস্থা সম্পর্কে সব খুলে বলে।তারা আসলে রাজনৈতিক ভাবে বিরধীদলের একটি অংশ।
যার কারনে তাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই।এছাড়াও যদি তাদের দুজনকেই স্কুলের কেউ একসাথে দেখে ফেলে। তাহলে হয়তো সিও কেও চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে।তাই তিনি যীশুর কাছে অনুরোধ করে সিওর কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য। যীশু এক মুহুর্তেই তার কথায় রাজী হয়ে তাকে বলে। সিও চাকরি পার্মানেন্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত সে তার সাথে দেখা করবে না।
আমি ওর জন্য অপেক্ষা করব।আপনি কোন চিন্তা করবেন না। আমার জন্যে ওর কোন ক্ষতি হবে না।এসব কিছু বলে যীশু শেষবারের মতন সিওর পায়ে ব্যান্ডেজ টা ঠিকঠাক মতন বেঁধে দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।এরপর সিওর মা ওকে তার কাছে ডেকে এনে বলে তোমাদের মাঝে কি কি হয়েছে সত্যি করে বল।সিও তার মাকে সত্যি বলে যে তাদের মাঝে শারিরীক ভাবে তেমন কিছুই হয়নি।
তবে যীশু তাকে বলেছে সে তার জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করতে রাজি।এটা শুনে তার মা ও বলে যে মুখের কথা বলা অনেক সহজ।যাই হোক সেদিনের মতন নামের কথাবার্তা শেষ হয়ে যায়।এরপর অনেক দিন সময় কেটে যায়। এর পর হঠাৎ করেই সিও একদিন খবর পায়। যে যীশু হাসপাতালে ভর্তি আছে।সে কাউকে কিছু না বলেই যীশুর সাথে দেখা করতে হাসপাতালে চলে যায়।সিও খবর পায়েছিল যীশুর নাকি লিকোমিয়া হয়েছে।
কিন্তু যীশুতো হাসতে হাসতে বলে এমনটা কিছু না। আমার তো শুধু ফ্লু হয়েছে। এই ছোট্ট একটা অসুখে জন্য সিওর ক্যারিয়ারটাকে বিপদে ফেলে এখানে আসার কোনো মানেই হয় না। আসলে সিও তার স্কুলের প্রিন্সিপাল ও তার মাকে কিছু না বলেই এখানে চলে এসেছিল। আর তাছাড়া ওই হাসপাতালে রাতের বেলা অতিথিদের থাকতেও দেওয়া হয় না।
তাই যীশু সিওকে এখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যেতে বলছিল।কিন্তু বাচ্চা মেয়েটা তার সাথে জিদ করে বসে যে সে আজ সারাটা রাত তার সাথে থাকবে। রাতের বেলা নার্স সকল অতিথিদের হসপিটাল থেকে বের করে দিতে থাকলে সিও কোনরকমে প্রথমবার নিজেকে বাথরুমে আটকে বাঁচিয়ে ফেললে কিন্তু দ্বিতীয়বার অন্য একটা নার্স এসে তাকে ধরে ফেলে।ফলস্বরূপ সিওকে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় তিনি।বাচ্চা মেয়েটা সারারাত হাসপাতালের বাহিরে সিড়ির মধ্যে বসে কাটিয়ে দেয়।
আর দোতলার জানালা থেকে প্রিয়মানুষটার ওপর নজর রাখতে থাকে যীশু। এভাবেই সারাটারাত কেটে যায়। পরদিন সকালে বেলা যীশু সিওকে সাথে করে নিয়ে মার্কেটে চলে আসে।তার খাওয়ার জন্য তাকে বিভিন্ন জিনিস কিনে দেয়।এবং তার জেকেট বানানোর জন্য একটা কাপড় কিনে দেয়।
যার মধ্যে লাল কালারের একটা কাপড় ছিল।আর আজ দুজনে একসাথে একটা ছবি ও তুলে নেয়।যেহেতু কাল রাতে বাচ্চা মেয়েটার সাথে একা সিড়িতে কাটিয়ে ছিল। তাই আজ যীশু তার জন্য একটা কেবিন নিয়ে দেয়। যীশু তার প্রিয়তমার পা ধোয়ার জন্য পানি নিয়ে আসে। বাচ্চা মেয়েটার পা ও ধুয়ে দিয় সে। সিও এসব দেখে প্রচন্ড লজ্জা পাচ্ছিল।সে কিভাবে একসাথে থাকবে কিছুই বুঝতে পারছিল না।তাই যীশু যখন একটু বাইরে গিয়েছিল। তখন সে আগে ভাগেই রুমের লাইট অফ করে বিছানার ওপর গিয়ে শুয়ে পড়ে।
যীশুর রুমের ভিতরে এসে তার পাশের চেয়ারে বসে থাকতে চাই।কিন্তু এভাবে সিও তাকে কষ্ট না দিয়ে বরং তার বিছানার পাশে যীশুকে শোয়ার জায়গা করে দেয়। সেদিন রাতে শুয়ে ভয়ে ভয়ে যীশুকে বলে যে আমি শুনেছিলাম ছেলেমেয়ে এক বিছানায় থাকলে নাকি মেয়েরা মা হয়ে যায়।তখন যীশু বলে যে হ্যাঁ তুমি ঠিকই শুনেছো। তবে তুমি মা হবে কিন্তু ভবিষ্যতে।
তারপর নানীও হবে আর এভাবেই আমাদের সংসার এগিয়ে যাবে।আর আমি সে ভবিষ্যতের দিনটার জন্য অপেক্ষা করবো। আর আমি তোমাকে সারা জীবন এভাবেই ভালোবাসে যাব। একথা শুনে বাচ্চা মেয়েটা অঝোরে কান্না করতে লাগলো।আর এভাবেই তারা দুজন দুজনার হাত ধরে সারাটা রাত কাটিয়ে দেয়।পরদিন সকালবেলা যীশু সিওকে সাথে করে নিয়ে তার বাড়ি যেতে থাকে।তারা পাশাপাশি থেকে একসাথে না গিয়ে বরং আলাদা আলাদা গিয়ে সিওকে বাসায় পৌঁছে দেয় যীশু।
কিন্তু শেষ বেলা তারা নদীর দু’পাশে দুজন দাঁড়িয়ে কেউ কাউকে যেমন ছেড়ে যেতে চাচ্ছিল না।তারা দুজনে অনেক কান্না করছিল এবং দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরার অনুমান করতে থাকে।শেষমেস সিও যখন তার ঘরের কাজ করছিল। তখন তার বান্ধবী তার কাছে কান্না করতে করতে চলে আসে।
সে জানায় যে সে গরভবতি হয়ে গেছে।এবং এ খবর শুনে তার প্রেমি তাকে ছেড়ে পালিয়েছে। বেচারি কান্না করতে করতে গরভপাত করার সিদ্ধান্ত নেয়।সে একা একা এত সব কিছু করতে পারবে না। তাই সে সিও কে সাহায্য করতে বলে।সিও সাহায্য করতে চাইলেও ভিতরে ভিতরে সে নিজেও প্রচন্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিল।
তার বান্ধবী তাকে বঝাতে থাকে যে ছেলেদের কোনে ভাবেই বিছানা ওব্দি আসতে দেওয়া ঠিক নয়।সিও জেনো তার বান্ধবীর এমন অবস্থা দেখে এখনি শিক্ষা নেয়। যে কোনে ছেলে জেনো সে কখনোই বিশাস না করে। এদিকে বেচারি সিও প্রচন্ড ভয়ে গুটিশুটি হয়ে আছে।সিওর এমন অবস্থা দেখে তার বান্ধবী তাকে বলে তুমিও কি এমন ভুল করে ফেলেছো নাকি।তাহলেতো তোমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।
খোজ নিয়ে দেখো সেই ছেলে হয়তো এতো দিনে পালিয়া গেছে।এসব কথা শুনে সিও প্রচন্ড টেনশনে হাসপাতালে গিয়ে যীশুর খোজ করতে থাকে। আর সেদিন যীশুকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়ে ছিল।এসব কিছু দেখে সিও তার বান্ধবীর কথা সত্যি ভেবে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়।
সে নিজেও যীশুকে বিশ্বাসঘাতক বলে মনে করতে থাকে।যাই হোক সিও তার বান্ধবীকে নিয়ে হাসপাতালে চলে জায়।যেখানে তার বান্ধবীর গরভপাত করানো হয়।কিন্তু সেখানে সে মেয়েটার মা চলে আসে।আসলে তিনি যেভাবেই হোক এই খবর পেয়ে গিয়েছিল। অসহায়ের মত কান্না করতে করতে নিজের মেয়েকে কিছু ভালো ভালো খাবার খাইয়ে দিয়ে তিনি আবার তার মেয়েকে গালাগালি করে সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যায়।
এতক্ষণে সিও আরও বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিল। এটা দেখে তার বান্ধবীবলে যে তোমাদের মাঝে আসলে হয়েছেটা কি আমাকে সব খুলে বল।সে তার বান্ধবীর কানে আস্তে আস্তে সব সত্যি বলে দেয়। কিন্তু তার বান্ধবী তার কথা শুনে হাসতে হাসতে বলে তোমরা শুধু সারারাত হাত ধরে ছিলে এটাতো কিছুই না।ছেলেটা হয়তো সত্যিই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।এটা শুনেছি সিও মনে মনে অনেক খুশি হয়ে যায়।
কিন্তু বাড়িতে এসে তার মনে হতে থাকে যে সেদিন হয়তো যীশু হাসপাতাল থেকে পালাই নি। বরং যীশুর হয়তো সত্যি সত্যিই লিকোমিয়া হয়েছে। তাই তাকে গ্রামের হাসপাতাল থেকে অন্য কোনো বড় হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।সিও এই চিন্তায় বিভোর হয়ে সে তার মার কাছে সবকিছু খুলে বলে দেয়।
সে তার মাকে বলে যে সে যীশুকে খুজতে যেতে চায়।আর এবার তার মা আর তার মেয়েকে বাধা দিতে পারে না।তাই সিও সবার আগে অনেক দুরের একটা পথ পারি দিয়ে সেই পুরোনো বীরেদের গাছ হরথন গাছ পেরিয়ে যীশুর গ্রামের বাড়ি চলে যায়। সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে যীশু আসলে অনেম মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তারাও জানে না যে যীশুর কি রোগ হয়েছে। কারণ তাদের সাথেও যীশুকে দেখা করতে দেওয়া হতো না।
এসব কথা শুনে সিও যীশুর রোগের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে তার অফিসে চলে যায়।সেখানে খোঁজখবর নেওয়ার পরও যীশুর যে লিকোমিয়া হয়েছে তার শক্ত প্রমাণ সে পায়না।যীশু কোথায় আছে সিও সেটা জানতে না পেয়ে হতাশ হয়ে আবারও তারা স্কুলে ফিরে এসে যথারিতি বাচ্চাদের ক্লাস করাতে থাকে।
এমনই একদিন হঠাৎ করে সিও এক বান্ধবী তাকে যীশুর খবর দেয়। যীশুর কথা শুনে সিও তখনই ছুটে জেতে থাকে তার প্রিয়মানুষটার কাছে।সে গাড়িতে করে বড় একটা হাসপাতালে চলে আসে। যেখানে আগে থেকে যীশুর পুরো পরিবার সিওর জন্য অপেক্ষা করছিল।আসলে সত্যি সত্যি যীশুর লিকোমিয়া ধরা পড়েছিল।জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে যীশু একটাবারের মতন হলেও সিও কে দেখতে চাইছিল।
বেচারি সিও যীশুর এমন অবস্থা দেখে প্রচন্ড কান্না করতে থাকে। কান্না করতে করতে বলতে থাকে যে তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে যে আমার ডাক শুনলে তুমি উত্তর দিবে।তুমি আমাকে একটা লাল জেকেট দিয়েছিলে না।দেখ আজকে আমি ওই জেকেট তোমার জন্য পড়ে এসেছি।তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে যে তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করবে। তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে যে তুমি আমাকে কখনোই ছেড়ে যাবে না।
তাহলে আজকে এমনটা কেন করছো তুমি। কিন্তু যীশুর শরীরে নিজেকে লাড়ানোর মতো শক্তি ও ছিল না।সে বেস তার প্রিয়জনকে কাছে না পাওয়ার একটা বুক ভরা আক্ষেপ দুফোটা চোখের পানি ফেলে চিরতরে এই দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়।সিও দেখতে পায় যীশু তার মাথার উপরে তাদের সেই ছবিটা লাগিয়ে রেখেছে। যেই ছবিটা যীশুর এই ঘ্রিনোজীবনের হয়তো এক আজন্ম স্মৃতি হিসাবে রয়ে গিয়েছে।
এমন এক ইমোসনাল ঘটনার সাথে সাথে এই গল্পটা এইখানেই শেষ হয়ে যায়।