যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বাংলাদেশের ৪৮ জেলার শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবক ও যুব নারীদের জন্য বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে স্বাধীনভাবে আয় করতে পারবেন এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারবেন। এই প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্প্রতি শুরু হয়েছে এবং ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ব্যাচে ৩ মাস মেয়াদী ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
কোর্সের বিস্তারিত
এই ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণটি ৬০০ ঘণ্টাব্যাপী এবং সপ্তাহে ৬ দিন, প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ক্লাস নিতে হবে। প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হবে অফলাইনে, এবং এই কোর্সটি ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড দ্বারা পরিচালিত হবে। এতে অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণের শেষে নিজেদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন।
প্রশিক্ষণ উপলভ্য জেলাগুলি
এছাড়া, যারা এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে চান, তারা দেশের ৪৮টি জেলার মধ্যে যে কোনো জেলা থেকে আবেদন করতে পারবেন। এই জেলার মধ্যে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং রংপুর বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল।
কোনো ফি নয়, ভাতা থাকবে
এ প্রশিক্ষণের জন্য কোনো ধরনের ভর্তি ফি প্রযোজ্য নয়। প্রশিক্ষণার্থীরা দৈনিক ২০০ টাকা হারে ভাতা পাবেন এবং সঙ্গে সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার ও বিকেলের নাশতা প্রদান করা হবে। এটি যুবকদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ, কারণ ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো একটি স্বাধীন পেশার দক্ষতা অর্জন করতে তাদের কোনো আর্থিক বাধা থাকবে না।
আবেদন প্রক্রিয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
যে সকল যুবক ও যুব নারী এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে চান, তাদেরকে কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে চলমান এবং আবেদন করার শেষ তারিখ ২০ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট। নির্বাচিত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে এবং মৌখিক পরীক্ষা ২৫ মার্চ হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা ২৭ মার্চ প্রকাশ করা হবে।
কেন ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং কোর্সটি যুবকদের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ, কারণ এটি তাদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। প্রশিক্ষণ শেষে, ৯০% প্রশিক্ষণার্থীই ডলার আয় করার সক্ষমতা অর্জন করেছেন। আজকাল, ফ্রিল্যান্সিং একটি আন্তর্জাতিক পেশা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যেখানে ব্যক্তিরা নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন এবং পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে আয় করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণকে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে এটি একটি স্থায়ী ও সফল ক্যারিয়ারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ হতে পারে। এর মাধ্যমে যুবরা স্বাধীন পেশায় দক্ষ হয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি নিজের জন্য একটি সম্মানজনক জীবনধারা তৈরি করতে পারবেন।
সামগ্রিকভাবে, ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেবল একটি দক্ষতা উন্নয়ন নয়, বরং এটি যুবকদের জন্য একটি স্বনির্ভর জীবনের ভিত্তি তৈরি করার সুযোগও প্রদান করে।