সম্প্রতি সরকারি উদ্যোগে আরও দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অনেকেই ধারণা করছেন, এটি ৪৮তম বিশেষ বিসিএস হতে পারে, যা সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নির্দেশনায় এগিয়ে যাচ্ছে। পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম কিছুদিন আগে এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, যা এই প্রক্রিয়া নিয়ে সম্ভাব্যতা আরও বাড়িয়েছে।
চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বিশেষ বিসিএসের আয়োজন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সায়েদুর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে।
বর্তমানে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার বয়স ৩২ বছর। তবে, এর মধ্যে বয়সসীমা ৩৪ বছর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে আরও বেশি তরুণ চিকিৎসক অংশগ্রহণ করতে পারেন। এটি চিকিৎসকদের জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে, বিশেষ করে যারা আগের সময়ে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
চিকিৎসকদের মধ্যে এই বিশেষ বিসিএস নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে, কেননা আগের দুইটি বিশেষ বিসিএস—৩৯তম এবং ৪২তম—পুরনো হয়ে গেছে এবং পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে নেওয়া হয়েছিল। পিএসসির কর্মকর্তারা মনে করছেন, নতুন বিসিএস আয়োজন করা হলে, বিতর্কের অবকাশ থাকবে না এবং প্রকৃত নিয়োগ প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হবে।
এছাড়া, চিকিৎসকদের ধর্মঘট এবং আন্দোলন বিষয়েও সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, গত বুধবার তাদের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত দাবির বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এই ধর্মঘটের পর, আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সরকার তাদের দাবিগুলির সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন।
এই বিশেষ বিসিএস চিকিৎসকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি আশা করা হচ্ছে।